প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমে নাশকতা এড়াতে জলপাইগুড়ি জেলার বাংলাদেশ ও ভুটান সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ছে৷ জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, পুজোর ক’দিন সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ও এসএসবির সঙ্গে যৌথ নাকা তল্লাশির পাশাপাশি জেলা পুলিশও একক ভাবে নাকা তল্লাশি করবে৷ ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সীমান্ত এলাকার থানাগুলিকে নির্দেশও পাঠিয়ে দিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্তারা৷
পুজোর মুখে জেলা পুলিশের এই তৎপরতায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পুজোর মরসুমে কোনও সংগঠনের জলপাইগুড়িতে নাশকতা ঘটানোর হুমকি রয়েছে? জেলার পুলিশ কর্তারা অবশ্য তেমন কথা মানতে চাননি৷ বরং তাঁদের দাবি, নিরাপত্তা বাড়াতে এটা নিয়মমাফিক কাজ৷ যে কোনও বড় অনুষ্ঠানেই হয়।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘নিজেদের হাইলাইট করতে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিরা উৎসবের সময় বাছে অনেক সময়ে। তাই এই ব্যবস্থা৷’’ পুজোর সময় কোথাও সন্দেহজনক কিছু দেখলে তা পুলিশের নজরে আনতেও জেলার পুলিশ কর্তারা এ দিন সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করেন৷
এ দিকে, এ দিন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুজো গাইড ম্যাপ উদ্বোধন হয়৷ গাইড ম্যাপের উদ্বোধন করেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী৷ সেখানে জেলাশাসক রচনা ভকতও পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতিও উপস্থিত ছিলেন৷
গত কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়িতে এই পুজো গাইড ম্যাপ প্রকাশ হয়ে আসছে৷
পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর গোটা জেলাজুড়েই এই ম্যাপ প্রকাশ হয়েছে৷ ম্যাপে পুলিশের কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি জেলা পুলিশ কর্তাদের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, এ বারের পুজোয় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফে’র ওপরেও জোড় দেওয়া হচ্ছে৷ পুজোর সময় কেউ যাতে বেপরোয়া ভাবে মোটর সাইকেল চালাতে না পারে সে দিকেও কড়া নজর
রাখা হবে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy