Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

অনুমোদন নেই, অভিযানে বন্ধ হোম

অনুমোদন নেই, পরিকাঠামোও যথাযথ নয়, এই অভিযোগে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ির একটি হোম বন্ধ করে দিল শিশু কল্যাণ সমিতি। নাবালিকাদের রাখার ওই হোম পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমিতির সদস্যরা।

ঘোঘোমালির এই হোমই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছবি: সন্দীপ পাল

ঘোঘোমালির এই হোমই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছবি: সন্দীপ পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৬ ০১:৪১
Share: Save:

অনুমোদন নেই, পরিকাঠামোও যথাযথ নয়, এই অভিযোগে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ির একটি হোম বন্ধ করে দিল শিশু কল্যাণ সমিতি। নাবালিকাদের রাখার ওই হোম পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমিতির সদস্যরা।

শিলিগুড়ির ঘোঘোমালি এলাকার ওই হোমের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করেছে সমিতি। শনিবার দুপুরে অভিযান চালানোর পরে হোমটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়, আবাসিকদের জলপাইগুড়ির একটি হোমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযোগ, হোম চালানোর ন্যূনতম যে অনুমতি প্রয়োজন হয়, তার কোনওটাই ওই হোমে নেই বলে অভিযোগ। আবাসিকরা শিশু হলে হোমে কী ধরনের পরিকাঠামো রাখতে হয় তা নিয়ে সরকারি নির্দেশ রয়েছে। অভিযানের পরে সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, কোনও পরিকাঠামোই যথাযথ নয়। সে কারণেই আপাতত হোমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সমিতির তরফে জানানো হয়েছে।

ঘোঘোমালির ওই হোমটিকে নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদেরও অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের দাবি, হোমের আবাসিকদের বাইরে বের হতে দেওয়া হয় না। কেউ অসুস্থ থাকলে তাকে হোমেই ফেলে রাখা হয়, চিকিৎসাও করানোও হয় না বলে অভিযোগ। এ দিন অবশ্য হোমের পরিচালন কমিটির কেউ ছিলেন না। তবে হোমের কর্মীরা দাবি করেছেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। আবাসিকদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয় বলে দাবি করা হয়েছ। তবে হোমের অনুমতির প্রসঙ্গে কর্মীরা কিছু বলতে চাননি। শিলিগুড়ি লাগোয়া ঘোঘোমালি এলাকাটি জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক সীমায় রয়েছে। সে কারণে জলপাইগুড়ি শিশু কল্যাণ সমিতির তরফে এ দিন অভিযান চালানো হয়। শিশু কল্যাণ সমিতির ম্যাজিস্ট্রেট সদস্য সুবোধ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হোমের কোনও অনুমোদন আমাদের দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। শিশুদের যথাযথ যত্ন নেওয়া হয় না বলেই দেখা গিয়েছে। সে কারণেই হোমটিকে আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’

এ দিন হোমে ১৭ জন নাবালিকা ছিল। সকলকেই জলপাইগুড়ির একটি হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মীদের দাবি জেলা জুড়েই অনুমোদনহীন হোম চলছে। সরকারি অনুমতি না থাকায় নজরদারির বাইরেই রয়েছে হোমগুলি। সেগুলির অন্দরে কী চলছে তার কিছুই জানা যায় না বলে দাবি। অনুমতি ছাড়া চলা সব হোমে পরিদর্শম চালানোর দাবিও জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Siliguri Child Welfare Society Home Infrastructure
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE