Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

হাতে নতুন প্রযুক্তি

এতদিন ভিডিও রেকর্ডিং করে তা পরে কন্ট্রোল রুমে এনে দেখা হতো। এবার আইন শৃঙ্খলা, যানজট ছাড়াও গাড়ি, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি চলবে ওই ব্যাগপ্যাক দিয়ে। আগে ঘটনা, অনুষ্ঠানের সময় আরও কোনও ছবি প্রয়োজন হলে, সেখানে থাকা অফিসারদের টেলিফোনে নির্দেশ দিতে হত।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০০
Share: Save:

কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের পর যে কোনও ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি ভিডিও পুলিশ কন্ট্রোল রুমে পাঠানোর প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা চালু হল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমিশনারেটে এর উদ্বোধন করেন শহরের পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার সিংহ। তথ্য প্রযুক্তির ভাষায় এই ব্যবস্থাকে ‘ব্যাগ প্যাক’ বলা হয়। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে যা ‘লাইভ ইউ’ নামে পরিচিত। একাধিক মোবাইল ইন্টারনেট নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করে ক্যামেরার তোলা ছবি সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, সিপি এবং ডিসি (সদর) দফতরে থাকা মনিটরে। দুই জন পুলিশ কনস্টেবলকে এর জন্য প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের পর হিলকার্ট রোড হয়ে দার্জিলিং মোড়ের লাইভ ছবি তোলাও শুরু হয়। যা কন্ট্রোলরুমে বসে দেখেন অফিসারেরা।

এতদিন ভিডিও রেকর্ডিং করে তা পরে কন্ট্রোল রুমে এনে দেখা হতো। এবার আইন শৃঙ্খলা, যানজট ছাড়াও গাড়ি, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি চলবে ওই ব্যাগপ্যাক দিয়ে। আগে ঘটনা, অনুষ্ঠানের সময় আরও কোনও ছবি প্রয়োজন হলে, সেখানে থাকা অফিসারদের টেলিফোনে নির্দেশ দিতে হত। তারা ফটোগ্রাফারকে তা বলতেন। এবার সরাসরি পুলিশের দুই ফটোগ্রাফারের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশ যাওয়া মাত্রই ছবি, মনিটরে চলে আসবে। আগামী রবিবার, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচে বিভিন্ন গ্যালারি, গেটে ব্যাগ প্যাক ব্যবহার করা হবে। তার পরে দুর্গাপুজোর রাস্তা, মণ্ডপে মণ্ডপে ব্যাগ প্যাক নিয়ে ঘুরবে পুলিশ।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘টিভির পর্দায় ছবি দেখে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। কলকাতা এবং হাওড়া পুলিশকে এর আগে ব্যাগ প্যাক দেওয়া হয়েছে। আমরা আপাতত একটা ইউনিট পেয়েছি। পর তা বাড়ানো হবে।’’

শনিবার পুলিশের পুজো গাইড ম্যাপের উদ্বোধনও করেছেন পুলিশ কমিশনার। তেমনিই, পঞ্চমীর দিন থেকে শহরে যান নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথমদিন রাত ২টা অবধি নিয়ন্ত্রণ জারি থাকলেও পরের দিনগুলিতে বিকাল ৪টা থেকে ভোর ৪টা অবধি যাননিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রতিবারের মত শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ছোট গাড়ি, বাইক, অটো এবং টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। অসম, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের বাস ছাড়বে নৌকাঘাট থেকে। আর কলকাতা, বিহার-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাস চলবে মাটিগাড়া পরিবহণ নগর থেকে। ইস্টার্ন বাইপাস এবং মাটিগাড়া-খাপরাইল রোডকে ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ট্রাক বা গাড়ি দার্জিলিং, কালিম্পং বা সিকিমের দিকে যাবে।

বির্সজন এবং মহরমকে ঘিরে বিতর্ক প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, ‘‘এখানে কোনও সমস্যা হবে না। আর রাজ্য থেকে এখনও কোনও নতুন নির্দেশিকা আসেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE