বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
হাইকোর্টের বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকের পর শহরের কাছারি রোড থেকে আদালত সরানোর প্রস্তাবে কিছুটা সুর নরম করলেন শিলিগুড়ি আইনজীবীরা।
সোমবার দুপুরে শিলিগুড়ি আদালতে গিয়ে আইনজীবীদের মৌখিকভাবে ওই প্রস্তাব দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। তিনি আদালত চত্বর ঘুরে দেখেন। পরে বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। একটি আধুনিক কমার্শিয়াল কোর্ট কমপ্লেক্স গড়ার জন্য ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই উত্তরায়ণ উপনগরী লাগোয়া এলাকার কথা বলেন।
আদালত সূত্রের খবর, আইনজীবীরা প্রস্তাব নাকচ না করলেও বর্তমান এলাকাতেই থাকতে চান বলে বিচারপতিকে জানান। তা শুনে জয়মাল্য বাগচি বর্তমান চত্বরে আরও ভবন কী ভাবে তৈরি করা সম্ভব তার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। নতুন প্রস্তাবিত জমিটিকে ঘিরেও নকশা তৈরি করার কথা জানান। দু’টি এলাকার মধ্যে যেটির পরিকাঠামো বিচারক, বিচারপ্রার্থী এবং আইনজীবী-সহ সকলের জন্য ভাল হবে সেখানেই নতুন আদালত চত্বর হবে বলে জানিয়েও দেন। এ ব্যাপারে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি জয়মাল্য বাগচি।
২০১১ সালে নতুন সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর আদালতকে শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেয়। প্রথমে নকশালবাড়ির হাতিঘিসা নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তা নাকচ হতেই কাওয়াখালি, হিমাঞ্চল বিহার এবং উত্তরায়ণ লাগোয়া এলাকার নাম ওঠে। আইনজীবীরা কোনওমতেই শহরের বাইরে যাবেন না বলে আন্দোলনে নামেন। মাস খানেকের উপর কর্মবিরতি হয়। এর পরে হাইকোর্টের তরফেও বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা হয়। আগে রাজি না হলেও এ দিন নরম হন আইনজীবীরা।
তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা অধিকাংশই সরকারের সিদ্ধান্তে রাজি। যদিও কংগ্রেস এবং সিপিএমের সংখ্যাগরিষ্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য তাতে এখনও নারাজ। এ বার বারের ভোটে সভাপতি পদে জিতেছেন তৃণমূলের পীযূষ ঘোষ। সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের চন্দন দে। এ দিনই দু’জনই অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা এখানেই থাকতে চাই। নতুন প্রস্তাবও ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy