প্রতিমন্ত্রী: রানিডাঙায় সাংসদ অহলুওয়ালিয়া।—নিজস্ব চিত্র
উন্নয়নের আশ্বাসেই পাহাড়ে ঘাসফুল ফুটেছে বলে পুরভোটের গণনার দিন থেকে দাবি করে আসছে তৃণমূল। এ বার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার মন্তব্যেও সেই সুর। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এসে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ অহলুওয়ালিয়া দাবি করলেন, সদ্য মহকুমা ঘোষণা এবং লেক সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকারের ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা মিরিকের পুরভোটে প্রভাব ফেলেছে। তাঁর আরও অভিযোগ, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাহাড়বাসীকে বঞ্চনা করছে রাজ্য সরকার।
এ দিন অহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘‘ভোটের কয়েক দিন আগে মিরিককে মহকুমা ঘোষণা করা হয়েছে। লেক সংস্কারের জন্য ১১০ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মানুষকে এমন মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে তৃণমূল প্রতারণা করেছে। এমন রাজনীতি বেশি দিন চলবে না।’’ এ দিন বিকেলে শিলিগুড়ির চার্চ রোডে মারওয়াড়ি পঞ্চায়েত ভবনে বিজেপির কর্মিসভায় যোগ দেওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তবে মহকুমা ঘোষণা অথবা লেক সংস্কারের আশ্বাসে ভোট হওয়া মানেই উন্নয়নের আশায় পাহাড়বাসী ভোট দিয়েছেন বলে মানতে রাজি নন সাংসদ। অহলুওয়ালির দাবি এতে বিষয়টি সরলীকরণ হবে। অহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার তো মিথ্যে আশ্বাস দিয়েছে। মিরিকের জনসংখ্যা খুবই কম। তা দিয়ে পাহাড়কে বিচার করা যাবে না।’’ এ প্রসঙ্গে মিরিকে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা খুবই সমস্যায়। পাহাড়বাসী যে উন্নয়নের আশাতেই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন তা বুঝেও সরাসরি স্বীকার করতে পারছেন না।’’
আগামী মাসের গোড়াতেই শুরু হচ্ছে বিজেপির ‘পার্টি ক্লাস’। শিলিগুড়ি মহকুমার সব ব্লকের নেতাদের নিয়ে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ‘ক্লাস’ নেওয়া শুরু করবে বিজেপি। শুক্রবার দলের শিলিগুড়ির নেতাদের এমনই জানিয়েছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ। সাংগঠনিক ব্লক কমিটি থেকে কোন কর্মীরা ‘ক্লাসে’ থাকবেন তা আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন সাংসদ। ক্লাস শেষের পরে প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে জেলা এবং রাজ্যকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy