স্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীদের কুপিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানার রথবাড়ি সংলগ্ন এলাকায়।
এ দিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস পৌঁছয় মালদহ টাউন স্টেশন। ভোর হয়ে যাওয়ায় একদল যাত্রী বাস ধরার জন্য পায়ে হেঁটেই রেল লাইনের ধার দিয়ে রথবাড়ির দিকে আসছিলেন। রথবাড়ি এলাকায় ১২ জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতীদল পথ আটকায়। তাদের দেখে বেশকিছু যাত্রী পালিয়ে গেলেও মৃন্ময়কুমার পাল, অমল মণ্ডল ও সুকুমার মণ্ডলকে ধরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মৃন্ময়ের কাছে নগদ এক হাজার, অমলের কাছে থাকা ছ’হাজার ও সুকুমারের সাত হাজার টাকা ও তিনজনের তিনটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে হাঁসুয়া দিয়ে তাঁদেরকে কোপানো হয়। তিনজনেরই মাথায় এবং শরীরে একাধিক আঘাত রয়েছে। হইচই শুনে স্থানীয় ও অন্য রেলযাত্রীরা ছুটে গেলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তারপরই আহতদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুরের দৌলতপুরের বাসিন্দা মৃন্ময় কলকাতায় বেসরকারি সংস্থায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা বাকি দু’জন চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়েছিলেন। ভোরবেলা শহরের মধ্যে এ ভাবে রেলযাত্রীদের উপরে হামলা ও লুঠের ঘটনায় আতঙ্কিত, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। অভিযোগ, পুলিশের পর্যাপ্ত টহলদারির অভাবেই শহরে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ব্য বাড়ছে। মৃন্ময় বলেন, ‘‘ওই রাস্তা দিয়ে গেলে দ্রুত রথবাড়ি পৌঁছনো যাবে। তাই এ দিন অন্যদের সঙ্গে পায়ে হেঁটেই যাচ্ছিলাম। তবে দুষ্কৃতীদের কবলে পড়তে হবে তা কখনও ভাবতেই পারিনি।’’ দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন অমল ও সুকুমারও। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। টহলদারির বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy