Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ছেলের শোকে কথা হারিয়েছেন সুভাষের মা

স্বামী মারা গিয়েছে বছর কুড়ি আগে। তারপর থেকে তিনিই ঘিরে রেখেছেন চার ছেলে আর তিন মেয়েকে। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী পবিত্রদেবী পুরোপুরি ভাষাহারা তাঁর বড় ছেলের মৃত্যুর খবরে।

শয্যাশায়ী: সুভাষ রায়ের মা পবিত্রদেবী। নিজস্ব চিত্র

শয্যাশায়ী: সুভাষ রায়ের মা পবিত্রদেবী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০৪:৫৯
Share: Save:

স্বামী মারা গিয়েছে বছর কুড়ি আগে। তারপর থেকে তিনিই ঘিরে রেখেছেন চার ছেলে আর তিন মেয়েকে। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী পবিত্রদেবী পুরোপুরি ভাষাহারা তাঁর বড় ছেলের মৃত্যুর খবরে।

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে আটকে রেখে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় পবিত্রদেবীর বড়ছেলে সুভাষ রায়কে। সুভাষবাবু নিজেও এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী। কিন্তু দলের এক শ্রেণির নেতার তোলাবাজি বরদাস্ত করতে পারেননি। সরব হওয়ার খেসারতই দিতে হয়েছে জীবন দিয়ে। তার পরেই বেড়ে গিয়েছে পবিত্রদেবীর অসুস্থতা। সুভাষবাবুর ভাই, পবিত্রদেবীর ছোট ছেলে মানিক বলেন, “মায়ের কিছু হলে দায়ী থাকবেন ওই নেতারাই।”

সুভাষবাবুর ছেলে বাবলা কর্মসূত্রে থাকেন দিল্লিতে। তিনি ফেরার পর শনিবার সুভাষবাবুর দেহ দাহ করা হয়। তাঁদের এক আত্মীয় গণেশ রায় বলেন, “সুভাষের মৃত্যু তাঁর মা মেনে নিতে পারছেন না। কারও পক্ষেই এটা সম্ভব নয়। বার বার ঈশারায় বলছেন কেন তাঁর মৃত্যু হল না। কেন সুভাষের মৃত্যু হল।” কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন,“খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। মানা যায় না।”

সুভাষবাবুকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় মুল অভিযুক্ত পাঁচছড়ার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালীশঙ্কর রায় ও তাঁর অনুগামীরা। ঘটনার পর থেকেই তাঁরা পলাতক। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” ওই এলাকার তৃণমূল কর্মীরাই অভিযু্ক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন বলে সুভাষবাবুর পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Son Mother Shock
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE