Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ফের সিভিক ভলান্টিয়ার্সের বৈঠক ভেস্তে দিল পুলিশ

সিভিক ভলান্টিয়ার্সের সাংগঠনিক বৈঠক ফের ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মালদহ জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী হাইস্কুলের পাশের মাঠে সিভিক ভলান্টিয়ার্সের বৈঠক ডেকেছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি আবু বক্কর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১৮
Share: Save:

সিভিক ভলান্টিয়ার্সের সাংগঠনিক বৈঠক ফের ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মালদহ জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে।

রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী হাইস্কুলের পাশের মাঠে সিভিক ভলান্টিয়ার্সের বৈঠক ডেকেছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি আবু বক্কর। বৈঠকে যোগ দিতে ভলান্টিয়াররা মাঠে জমায়েত হতে শুরু করলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আবু বক্করের দাবি, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়, বৈঠকে যোগ দিলে সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি এ দিন আরও বলেন, “জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশ আমাদের সংগঠনের সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশন করলে আমাদের সদস্যদের গ্রেফতার করে জেলে পুরে দেওয়া হবে। কেউ বাঁচাতে পারবে না বলে শাসাচ্ছে পুলিশ।”

এই অভিযোগের জবাবে পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়াররা অনুমতি না নিয়ে হবিবপুরে বৈঠক করছিলেন। তাই তাঁদের বৈঠক করতে দেওয়া হয়নি। অনুমতি না নিয়ে কী করে তাঁরা ওখানে বৈঠক করছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় পোড়িয়ার বক্তব্য, “আমরা তো প্রকাশ্যে কোনও বৈঠক করছি না। বৈঠকে আমরা মাইকও ব্যবহার করছি না। আমরা কোথাও ঘরের মধ্যে, কোথাও বা মাঠের মধ্যে খালি গলায় নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া বৈঠক করছি। এই ঘরোয়া বৈঠকের জন্য কেন অনুমতি নিতে হবে?”

সঞ্জয়বাবুর দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনেককে বেআইনি ভাবে চাকরি থেকে খারিজ করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে বড় আন্দোলনে নামতে চান তাঁরা। সেই বিষয়টি নিয়েই বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক আলোচনা করছেন তাঁরা।

গত ৬ সেপ্টেম্বরও চাঁচলের একটি লজে সঞ্জয়বাবুর উপস্থিতিতে সিভিক ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলোচনা শুরুর আগেই চাঁচল থানার পুলিশ ওই লজে হানা দিয়ে বৈঠক ভেস্তে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।

ক্ষুব্ধ সঞ্জয়বাবুর দাবি, দার্জিলিং বাদে রাজ্যের অন্য সব জেলায় তাঁরা সংগঠনের হয়ে সফল ভাবে বৈঠক করছেন। কোনও জেলার পুলিশ সুপার তাঁদের বাধা দিচ্ছেন না। সেই প্রেক্ষিতেই তিনি বলেন, “অথচ মালদহ জেলা পুলিশ সুপার বারবার পুলিশ পাঠিয়ে আমাদের বৈঠক ভেস্তে দিচ্ছেন।” প্রসূনবাবুর অবশ্য দাবি, “অন্য জেলার কথা জানি না। বিনা অনুমতিতে বৈঠক করলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE