ফাইল চিত্র।
মহকুমা থেকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত হওয়ার পর কেটে গিয়েছে আড়াই দশক। এমনকী, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ইন্ডোর বিভাগ চালু হওয়ার পরেও কেটে গিয়েছে তিন মাস। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল ও রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে গড়ে ওঠেনি প্লেটলেট ইউনিট।
ফলে প্রতি বছরই ডেঙ্গু সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্লেটলেট দেওয়ার জন্য তাঁদের কখনও মালদহ আবার কখনও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতি বছর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর শরীরে প্লেটলেটের অভাব দেখা দেয়। হাসপাতালে প্লেটলেট ইউনিট না থাকায় তাঁদের রেফার করতে বাধ্য হন তাঁরা। হাসপাতাল সুপার গৌতম মণ্ডলের বক্তব্য, জেলা হাসপাতালে প্লেটলেট ইউনিট চালুর ব্যপারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিকল্পনা রয়েছে! আগামী বছরের মধ্যে সেই ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুধু ডেঙ্গি নয়, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ভাইরাল ফিভার, যক্ষ্মা, ক্যানসার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত আশঙ্কাজনক রোগীদের শরীরে অনেক ক্ষেত্রে প্লেটলেট কমে যায়। রোগীদের শরীরে দেড় লক্ষ থেকে চার লক্ষ প্লেটলেট থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু রক্ত পরীক্ষার পর কোনও রোগীর শরীরে যখন ৬০ হাজারের কম প্লেটলেট ধরা পড়ে, সে ক্ষেত্রে তাঁদের শরীরে প্লেটলেট না দিলে রোগীদের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। তখনই চিকিত্সকেরা তাঁদের মালদহ বা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন।
অন্য দিকে, এ বছর জুলাই মাস থেকে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিত্সাধীন পাঁচ জন পুরুষ রোগীর শরীরে এনএস-ওয়ান পরীক্ষার পর ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। তবে তাঁদের শরীরে প্লেটলেট স্বাভাবিক থাকায় রেফার করা হয়নি। তাঁরা ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে গিয়েছেন। গত তিন মাস ধরে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন রোগী জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিত্সা করাতে আসছেন। চিকিত্সকদের সন্দেহ হলে তাঁদের মধ্যে কিছু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চিকিত্সা করানো হচ্ছে।
বর্তমানে হাসপাতালে পাঁচ জন মহিলা সহ ১৫ জন রোগী জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ে। তাঁদের মধ্যে যে সমস্ত রোগীর তিন দিনের বেশি জ্বর ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার উপসর্গ থাকে তাঁদের এনএস-ওয়ান ও প্লেটলেট কাউন্ট পরীক্ষা করানো হয়।
ডেঙ্গি আক্রান্ত ১৭ জন রোগীর মধ্যে ৮ জনের শরীরে প্লেটলেট কমে যাওয়ায় তাঁদের প্লেটলেট দেওয়ার জন্য মালদহ ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy