Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপি সমর্থককে খুনের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে এক বিজেপি সমর্থককে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার ডাওয়াগুড়ির গয়ারবাড়ি এলাকায়। পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম নির্মল দাস। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পেটে ও মাথায় তিনটি গুলি লেগেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৫ ০৪:৪০
Share: Save:

রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে এক বিজেপি সমর্থককে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার ডাওয়াগুড়ির গয়ারবাড়ি এলাকায়। পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম নির্মল দাস। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পেটে ও মাথায় তিনটি গুলি লেগেছে। শাসক দলের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সমাজবিরোধীদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল নির্মলের। তার জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “ওই যুবক চার জনের নাম আমাদের কাছে বলেছেন। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক কোনও ব্যাপার নেই।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রিপন সংবাদপত্রের হকারি করেন। অভিযোগ, এ দিন রাতে চার যুবক নির্মলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর নাম ধরে ডাকতে থাকে। দরজা খুলে নির্মল বেরিয়ে আসতেই তাঁরা হামলা করে। পর পর চারটি গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তিনটি গুলি নির্মলের মাথায় ও পেটে লাগে। জখম অবস্থায় কোচবিহারে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে শিলিগুড়িতে রেফার করে দেওয়া হয়। বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্মল সিপিএম সমর্থক ছিলেন। পরে দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট দেওয়া নিয়ে শাসক দলের হুমকির মুখে পড়েছিলেন তিনি। তা নিয়ে গণ্ডগোলে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে বলে বিজেপির দাবি।

দলের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “এ দিনের ঘটনার পিছনে শাসক দলের হাত রয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।” রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে বিজেপি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। অভিযুক্তরা ধরা পড়লেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”

গত কয়েক বছর ধরে একাধিক বার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ডাউয়াগুড়ি। জমির কারবার, ইট ভাটায় মাটি সরবরাহ, ট্রাক থামিয়ে তোলা আদায় থেকে ঠিকাদারি নিয়ে ওই এলাকার দু’টি সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে নানা সময় গণ্ডগোল হয়েছে। ২০১৩ সালে তোলা আদায় নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে শুভঙ্কর সরকার (৩০) নামে এক যুবক খুন হন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ওই দু’টি গোষ্ঠী শাসক দলের ছত্রছায়ায় রয়েছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের একাংশ জানান, গত কয়েক বছরে ওই এলাকায় জমির দাম লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। তাতেই নজর পড়ে যায় এলাকার ‘দাদা’দের। তাদের ট্যাক্স না দিয়ে কেউই ওই এলাকায় জমি বিক্রি করতে পারেন না বলে অভিযোগ। পাশাপাশি অসমগামী ট্রাক থেকে তোলা আদায়েও সক্রিয় হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীরা। গয়ারবাড়ি ডাউয়াগুড়ি বাজার থেকে দু’কিলোমিটার দূরের ওই এলাকা থেকেও বাসিন্দারা নিয়মিত ডাউয়াগুড়ি বাজারে যাতায়াত করেন। নির্মলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার পিছনে তোলা বাজি-সহ অন্য কোনও বিষয় রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE