সৌজন্য: অক্ষয় ঠাকুরকে রাখি পরাচ্ছেন খোকন মিঁয়া। নিজস্ব চিত্র
রাখিবন্ধন উৎসবকে হাতিয়ার করে জনসংযোগে দু’দলের অলিখিত প্রতিযোগিতা চলল কোচবিহারে।
শাসকদল তৃণমূলের তরফে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাখিবন্ধন উৎসব পালন করা হয়। পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে বাস-টোটোর যাত্রীদের হাতে রাখি পরানো হয়। বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের কর্মীদেরও রাখি পরানো হয়েছে এ দিন। অন্য দিকে, বিজেপির তরফে জোর দেওয়া হয় সীমান্ত এলাকায়। তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙার সীমান্তবর্তী গ্রামে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মী-সমর্থকেরা। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের পাশাপাশি থেকে বাসিন্দাদের রাখি পরান তাঁরা।
তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার শহরের হাসপাতাল চৌপথি মোড় এলাকায় জেলা পর্যায়ের রাখিবন্ধনের মূল অনুষ্ঠানটি হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শুচিস্মিতা দেবশর্মা, জেলা তৃণমূল নেতা খোকন নাগ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে পঙ্কজ ঘোষ, আইএনটিটিইউসি নেতা প্রাণেশ ধর প্রমুখ। শহর লাগোয়া গুড়িয়াহাটি, এমনকী তুফানগঞ্জেও অনুষ্ঠান হয়। জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে আধিকারিক, কর্মীদেরও রাখি পরিয়ে দেন দলের নেতাকর্মীরা। পঙ্কজবাবু নিজে জেলাশাসককে রাখি পরান। শুচিস্মিতা বলেন, ‘‘প্রতিবারের মতো এ বারও জেলা জুড়ে রাখিবন্ধন উৎসব করা হয়েছে। রাজনৈতিক লড়াইয়ের ব্যাপার নেই।” পঙ্কজবাবু বলেন, “সর্বত্র দারুণ উৎসাহ, উদ্দীপনা ছিল।” বলরামপুর চৌপথিতে অনুষ্ঠান করে তৃণমূল।
একই ধরনের যুক্তি দিয়েছেন বিজেপি নেতারাও। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “রাজনৈতিক কোনও কর্মসূচির সঙ্গে রাখিবন্ধনকে গুলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।” এ দিন কোচবিহারের চান্দামারিতে কর্মিসভা করে রাখিবন্ধনে সামিল হন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। নিখিলবাবুর দাবি, ‘‘আমি নিজে সেখানে তৃণমূলের এক যুব নেতাকেও রাখি পরিয়েছি।’’ যদিও তৃণমূলের ওই ব্লক সভাপতি সে কথা অস্বীকার করেছেন।
এর মধ্যে অন্য ছবিও রয়েছে। সোমবার কোচবিহার ১ ব্লকের ধলুয়াবাড়ি এলাকা তৃণমূলের তরফে রাখিবন্ধন চলার সময় ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক অক্ষয় ঠাকুর সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। তৃণমূল ব্লক সভাপতি খোকন মিয়াঁ অক্ষয়বাবুর গাড়ি থামিয়ে তাঁকে রাখি পরিয়ে দেন। পরে বলেন, “সৌভ্রাতৃত্ব, সৌজন্য এমনই হওয়া উচিত।” অক্ষয়বাবু বলেন, “ভাল উদ্যোগ। ভোটের সময়ও এটা ওদের মাথায় রাখতে হবে।” এ দিন কোচবিহারের চাকির মোড় এলাকাতেও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে একটি হোমের আবাসিক মেয়েদের রাখি পরিয়ে দেওয়া হয়। চকলেট, স্মারক উপহারও দেন তারা। চলে উচ্ছ্বাস, আনন্দ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy