প্রতীকী ছবি।
ফেসবুকে এক তৃণমূল নেতার দেওয়া তথ্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে কোচবিহারে। রবিবার রাতে কোচবিহার ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি পরিমল বর্মন নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও সহ দু’টি ছবি আপলোড করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, “সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসবাদী বিজেপির মদতে আজ সন্ধ্যায় গোপালপুর অঞ্চলের চৌরঙ্গী থেকে দু’জন অসমের জঙ্গি ধরা পড়েছে। তারা বিনা প্ররোচনায় আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপরে সশস্ত্র হামলা চালায়।” ওই বক্তব্য দেওয়ার পর থেকে হইচই পড়ে যায়। অনেকেই ফেসবুকেই পরিমলবাবুর কাছে বিষয়টি জানতে চান। অনেকেই আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কথা জানান।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, জঙ্গি ধরা পড়ার কোনও ঘটনা তো ঘটেইনি, চৌরঙ্গী থেকে কেউ গ্রেফতার হয়নি।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “পুলিশ কাউকে ধরে নিয়ে যাওয়ার মানে এই নয় যে, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বা জঙ্গি ধরা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি।” পুলিশের আর এক কর্তা বলেন, “এমন বিষয় নিয়ে একজন শাসক দলের নেতা কী করে ফেসবুকে লিখে দিচ্ছেন, তা বোঝা কঠিন। আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে ওই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের দলের কর্মীদের মারধর করা হয়। দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরে আমাদের নামেই মিথ্যে অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”
সোমবার পরিমলবাবুকে ওই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি দাবি করেন, মহিলা তৃণমুলের মিটিঙের সময়ে এলাকায় সশস্ত্র মিছিল করে বিজেপি। ওই পরিস্থিতির কথা চাউর হতেই তৃণমূল কর্মীরা সেখানে জড়ো হয়। সেই সময় হামলার চেষ্টা করে বিজেপি। তিনি বলেন, “দুজনকে আমাদের দলের লোকেরা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তাঁদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাঁরা অসমের বলেই আমি জানি। সে জন্যেই জঙ্গির কথা বলেছি।” পাশাপাশি তিনি জানান, পরে পুলিশ তাঁকে জানায় ওই আগ্নেয়াস্ত্র ‘খেলনা’ ছিল। তিনি বলেন, “পুলিশ এমন কেন বলছে, বুঝতে পাচ্ছি না।” এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “ফেসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এখন অশান্তি ছড়াচ্ছে। সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy