পুরবোর্ড গড়তে কোচবিহারে বামেদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহার জেলা সিপিএম দফতরে বামফ্রন্টের বৈঠক হয়। বৈঠকে কোচবিহার পুরসভার নির্বাচনে বামেদের তরফে বিদায়ী বোর্ডের বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহাকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ, শুক্রবার কোচবিহার পুরসভার বোর্ড গঠন হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ২০ আসনের ওই পুরসভায় তৃণমূল ১০টি, বামেরা ৮টি ও নির্দল প্রার্থীরা ২টি আসনে জিতেছেন। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। তাই আমরা চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সবাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে জয়ী নির্দল প্রার্থীরা দুইজনই ডানপন্থী ঘরানার বলে তাঁরা আমাদের পাশে থাকবেন বলে আশাকরছি।”
ওই নির্দল প্রার্থীদের তরফে অবশ্য ভাইস চেয়ারম্যানের পদের দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব প্রকাশ্যে ওই দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। দলের অন্দরের খবর, ওই দাবি থেকে সরে আসার ব্যাপারে দুই কাউন্সিলরকে বোঝানর কাজ চলছে। ইতিমধ্যে তাতে এক নির্দল কাউন্সিলর কিছুটা ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শম্পা রায়ের আত্মীয় তথা প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর উত্তম রায় বলেন, “ আমরা শাসক দলের সঙ্গেই থাকব বলে মনস্থির করেছি।”মোবাইল বন্ধ থাকায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর গৌতম বড়ুয়ার বক্তব্য অবশ্য জানা যায়নি। এদিকে বোর্ড গঠন ঘিরে তুফানগঞ্জের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা এড়াতে তৃণমূল কাউন্সিলরদের ‘বন্ধ খামে লেখা নাম’ সংক্রান্ত নির্দেশ মেনে চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নিতে হুইপ জারি করা হয়েছে। তুফানগঞ্জ রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে অনন্ত বর্মাকে চেয়ারম্যান করা হয় বলে এক কাউন্সিলর অভিযোগ তোলায় দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন গোলমালের আশঙ্কা এড়াতে কোচবিহার শহর জুড়ে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে জেলা পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy