মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। —নিজস্ব চিত্র।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়নি জলসেচ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর দুই জেলাতেই একই অবস্থা। সেচ প্রকল্পের এই বেহাল দশা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ক্ষোভের মুখে পড়লেন জেলার আধিকারিকেরা।
গত ৩ বছরে দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৪০টি অগভীর নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চাষিদের জমিতে জল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছে মাত্র ৪০টিতে। জেলায় জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের কাজও তেমন হয়নি। শুক্রবার বিকেলে বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনে ক্ষুদ্র, কৃষিসেচ, জলসম্পদ ও অনুসন্ধান দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী। ছিলেন দফতরের মুখ্য বাস্তুকার দেবদত্ত দত্ত, জেলার মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা-সহ জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা।
দফতরের মুখ্য বাস্তুকার দেবদত্ত দত্ত বলেন, ‘‘এজি বেঙ্গল জানতে চাইছে ২০১৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত ক্ষুদ্রসেচ প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা পেলেও এই জেলায় কেন ওই প্রকল্প রূপায়ণে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি?’’
অগভীর সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগের অবস্থা বেহাল। এই বিষয়ে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা রয়েছে।।
নির্ধারিত সময়ে উত্তর দিনাজপুর জেলায় জলসেচ প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে ১৫ কোটি টাকা রাজ্য সরকারের কোষাগারে ফিরে গিয়েছে। শুক্রবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলাশাসকের দফতরের ওই বৈঠক হয়। মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।
জেলাশাসক আয়েশা রানির দাবি, ‘‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ না হওয়ায় টাকা ফিরে যাওয়ার ঘটনাটি তিনি জানতেন না।’’ এ বিষয়ে তিনি উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।দফতরের জেলা নির্বাহী বাস্তুকার (কৃষি ও সেচ) মানসকুমার দাসের দাবি, একধিকবার আবেদন করা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি বিদ্যুতের সংযোগ ও কোটেশন না দেওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যায়নি।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রায়গঞ্জের ডিভিশনাল ম্যানেজার উত্পল দাসের পাল্টা দাবি, ‘‘বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার আগে সরকারি নিয়ম মেনে ওই দফতরের কর্তাদের সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে সমীক্ষা করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা সাড়া পাওয়া যায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy