প্রতি ভোটের মুখেই একই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। মালদহে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রোখার নির্দেশ দিতে হয় কলকাতায় ডেকে। কিন্তু তাতে যে সব সময় কাজ হয় না, তা প্রতি নির্বাচনেই বোঝা যায়।
এ বারও পঞ্চায়েত ভোটের কথা ভেবে মালদহের পাঁচ মাথাকে ডেকে পাঠায় তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার রাতে কলকাতার ভবানীপুরে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সাংসদ কার্যালয়ে মালদহে দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, দলের প্রাক্তন তিন সভাপতি কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, দুলাল সরকার ও সাবিত্রী মিত্র এবং যুব সভাপতি অম্লান ভাদুড়িকে নিয়ে বৈঠক করেন। ছিলেন দলের জেলার পর্যবেক্ষক পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও। এই পাঁচ জনকে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে জেলার সকলকে নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে আগামী ২৭ তারিখ কলকাতায় দলের রাজ্য কোর কমিটির বর্ধিত সভার আগেই মালদহ জেলার ব্লকগুলিতে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করতে দলীয় ব্লক কমিটিও ঘোষণা করে দেবে রাজ্য নেতৃত্ব।
মালদহে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকবার উদ্যোগী হয়েছেন। তাঁর সাম্প্রতিক মালদহ সফরেও কৃষ্ণেন্দু-সাবিত্রীকে এক সঙ্গে স্টেশনে দেখা গিয়েছে।
কিন্তু দলীয় সূত্রেই খবর, নেত্রীর নির্দেশে প্রতি শুক্রবার করে যে দলীয় জেলা কোর কমিটির বৈঠক হয়, সেখানে এখনও বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন নেতারা। ২০ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণপুরের একটি হোটেলে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সামনেও তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন একাধিক নেতা। সেদিনই শুভেন্দুবাবু জানিয়ে দেন, ১১ অক্টোবর কলকাতায় সুব্রত বক্সি ও তাঁর উপস্থিতিতে বৈঠক হবে।
বুধবার সেই বৈঠকে এই পাঁচজনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে প্রার্থী রাজ্য থেকেই ঠিক করা হবে। এদিকে জেলার ১৫টি ব্লকে এখনও দলীয় কোনও কমিটি নেই। ফলে জেলার ১২টি বিধানসভার প্রার্থীদের কাছ থেকে ব্লক সভাপতি ও কমিটি গড়ার জন্য নামের তালিকা আগে নেওয়া হয়েছিল, সেই তালিকা নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়েছে। তবে কমিটিগুলি ২৭ তারিখের রাজ্য কোর কমিটির বৈঠকের আগে রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়ে দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy