পাহাড়-জয়। দার্জিলিঙে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছবি: সন্দীপ পাল।
কালিম্পং মেঘলা তো কার্শিয়াং ঝকঝকে। এমন আবহাওয়া মাথায় নিয়েই ঝলমলে পাহাড়ের স্বপ্ন ফেরি শুরু করল তৃণমূল।
সোমবার ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী তথা দলের পাহাড়ের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসকে সামনে রেখে পাহাড়ে জোরদার লড়াইয়ের মহড়া শুরু হয়ে গেল। লক্ষ্য, পাহাড়ের আসন্ন পুরভোট। তার পরেই জিটিএ নির্বাচন। সে দিকে নজর রাখছে মোর্চাও। কারণ, এতদিন অনায়াসে জিতলেও এ বার তা সহজ নয়. সেটা একান্তে মানছেন তাঁরাও। সেই সঙ্গে, অরূপবাবুর সভায় রোজই মোর্চা ছেড়ে তৃণমূলে সামিল হওয়ার ভিড় বেড়েই চলেছে।
সোমবার দার্জিলিঙের জজবাজারে গোর্খা দুখ নিবারণী সমিতির হল ঘরে তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে দার্জিলিং শহরের নানা ওয়ার্ড থেকে কয়েকশো পুরুষ-মহিলা মোর্চা সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়ার পরে তৃণমূলের পাহাড়ের পর্যবেক্ষক বলেছেন, ‘‘কেউ কেউ নিজেকে পাহাড়ের রাজা ভাবেন। এ বার তাঁকে টেনে নামিয়ে প্রজাদের ক্ষমতা দখল করতে হবে। সে কাজেই আমরা সকলকে পাশে চাই।’’ তাঁর অনুরোধ, ‘‘আমরা আপনাদের কাছে পাঁচটা বছর ঋণ চাইছি। কাজের সুযোগ দিন। সুদে-আসলে ঋণ শোধ করে দেব।’’
প্রায় আধ ঘণ্টার বক্তৃতায় অরূপবাবু একাধিকবার অরূপবাবু উন্নয়নের প্রশ্নে মোর্চাকে বিঁধেছেন। রাজ্য জিটিএকে বরাদ্দ দিলেও এলাকায় হরতাল ডেকে নিজেরে ছেলেমেয়েদের বাইরে পড়ান কে তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। উন্নয়নের টাকায় কোনও নেতার ছেলে বিদেশে গিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন কি না সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
কিন্তু, আগের তুলনায় তৃণমূলের শক্তি বাড়লেও পাহাড়ের ৪ পুরসভা দখল যে অত সহজ নয় সেটা মানছেন তৃণমূলের অনেকেই। তবে কাজটা কঠিন হলেও হওয়াটা যে অসম্ভব নয় সেটা বোঝাতে চৈত্রে তুষারপাতের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন অরূপ।
তাঁর কথায়, ‘‘চৈত্রে দার্জিলিঙে তুষারপাত নাকি এক যুগ বছর পরে হল। এটাও তো একটা ইঙ্গিত। ১০ বছর আগে একটা দলকে বিশ্বাস করেছিল পাহাড়ের মানুষ (২০০৭ সালে মোর্চার জন্ম)। এ বার পাহাড়ে পরিবর্তন এনে বিশ্বাসভঙ্গের মাসুল আদায় করবেন তাঁরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy