সাফাই: ব্লিচিং ছড়াচ্ছেন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চারশোর কাছাকাছি। নতুন করে কারও মৃত্যুর খবর না থাকলেও জ্বর এবং ডেঙ্গি সন্দেহে রোগীর ভিড় বা়ড়ছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিতে।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মাটিগাড়ায় উত্তরায়ণ উপনগরীর একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন শিলিগুড়ির এক ইউরোলজিস্ট। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেটরেও রাখতে হয়।
বুধবার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ১০ বছরের বালক অভিষেক সিংহ বমি করে অসুস্থ হয়ে মারা গেলে বাসিন্দাদের মধ্যে ডেঙ্গির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিহারে বাড়ি হলেও শিলিগুড়িতে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সে। মামা সন্তোষ সিংহ, অর্জুন সিংহরা জানান, কয়েকদিন ধরে অভিষেক জ্বরে ভুগছিল। জ্বরের ওষুধ খেয়ে রবিবার জ্বর কমে। ওই দিন ভোরে বমি করে শরীর অবসন্ন হয়ে পড়ে অভিষেকের। একাধিক নার্সিংহোমে জায়গা মেলেনি। পরে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানে ইঞ্জেকশন, স্যালাইন দেওয়ার পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। সেখানে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কী ভাবে ওই বালকের মৃত্যু হয়েছে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে রক্তের নমুনা সংগ্রহ না করায় তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। নার্সিংহোমগুলো রোগীকে ভর্তি করাতে না চাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন ওই বালকের পরিবার।
এ দিন পুরসভার দুই এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা প্রচার করেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বে উদ্যোগে বাসিন্দাদের রোগ নিয়ে সচেতন করা হয় এবং ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়। মন্ত্রী বলেন, ‘‘পুরসভা কাজ করতে পারছে না বলে এসজেডিএ’র মতো সংস্থাকে সাফাইয়ের কাজে নামতে হয়েছে। আমি সচেতনতা প্রচারে কিছু ওয়ার্ডে যাচ্ছি। মেয়র সীমার বাইরে গিয়ে কথা বলছেন। আমরা সহ্য করছি। এর পর মানুষই প্রতিবাদ করবে।’’ মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের জবাব, ‘‘আমি নিজের সীমা সম্পর্কে সচেতন। আমি শাসক দলে নেই। তাই গৌতমবাবুদের মতো ঔদ্ধত্যও নেই। মুখ্যমন্ত্রীই তো সরকারি কর্মীদের অপমানজনক কথা বলছেন। তিনিই সীমা ছাড়াচ্ছেন।’’
অন্য দিকে পুরসভার ২-৪, ১১, ১২, ১৬-১৮, ২০, ৩৯, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাফাই অভিযান শুরু করে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ জানান, পুরসভা সাফাইয়ের কাজ ঠিক মতো করতে পারছে না বলে এসজেডিএ সেই কাজ করে দিচ্ছে। ৮০ জন কর্মী দিয়ে এ দিন সাফাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়। সেই সঙ্গে ব্লিচিং ছড়ানো, জঙ্গল কাটার কাজও করা হচ্ছে। সৌরভ বলেন, ‘‘ধোঁয়া ছড়ানোর যন্ত্র এবং স্প্রে মেশিন কিনতে বরাত দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেগুলো চলে এলে এসজেডিএর তরফেই মশা মারতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy