Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বন্‌ধের জের, দশ ঘণ্টা আটকে ট্রেন

প্রায় দশ ঘণ্টা আটকে থাকার পর চলাচল শুরু করল অসমগামী দূরপাল্লার ট্রেন। অসমের কোকড়াঝাড় এলাকায় বন্‌ধের জন্য সোমবার ভোর পাঁচটা থেকে আটকে পড়ে বহু ট্রেন।

থমকে ট্রেন। এনজেপি স্টেশনে অপেক্ষায় যাত্রীরা। — নিজস্ব চিত্র

থমকে ট্রেন। এনজেপি স্টেশনে অপেক্ষায় যাত্রীরা। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৩০
Share: Save:

প্রায় দশ ঘণ্টা আটকে থাকার পর চলাচল শুরু করল অসমগামী দূরপাল্লার ট্রেন। অসমের কোকড়াঝাড় এলাকায় বন্‌ধের জন্য সোমবার ভোর পাঁচটা থেকে আটকে পড়ে বহু ট্রেন। অসম সীমানা লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার সহ একাধিক জায়গায় দিনভর আটকে থাকে অসমগামী ট্রেন। দিনভর অপেক্ষায় নাজেহাল হতে হয় যাত্রীদের। আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেসে এক মহিলা যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসক গিয়ে চিকিৎসা করান ট্রেনেই।

রেল সূত্রের খবর, অসমে বাসুগাঁও স্টেশনে বোরোল্যান্ডের দাবিতে আবসু-সহ একাধিক সংগঠন বারো ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেয়। তাতেই এ দিন সকাল থেকে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উত্তর দিনাজপুরের আলুয়াবাড়ি স্টেশনে সকালের পর প্রায় তিনঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল গরীব রথ এক্সপ্রেস। অবরোধের জেরে এনজেপি স্টেশনেও আটকে পড়ে তিনটি দূরপাল্লার ট্রেন। প্রায় সাত ঘণ্টা নিউ কোচবিহার স্টেশনে আটকে থাকল ওখা এক্সপ্রেস। রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ফালাকাটা স্টেশনে আটকে ছিল আপ অমরথান এক্সপ্রেস, নিউ আলিপুরদুয়ারে আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেস, ফকিরাগ্রামে আপ দাদর ও শিফং প্যাসেঞ্জার। তা ছাড়া অসম ও এ রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ১৮টি ট্রেনের যাতায়াত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কিশোর বলেন, ‘‘ভোর পাঁচটা থেকে বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাড়িয়েছিল। দুপুর তিনটের পর অসমের দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। শুধু মাত্র যাত্রীবাহী দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মালগাড়ি চালু হয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে ১২-১৫ ঘণ্টা সময় লাগবে।’’

রেল সূত্রের খবর, সকাল থেকে পর পর কামরূপ এক্সপ্রেস, যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস এবং গরীর পথ এনজেপিতে প্রায় ৮ ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল। পরে ধীরে ধীরে একটি একটি করে ট্রেনকে গন্তব্যের দিকে রওনা করানো হয়েছে। সেখানেও ট্রেনগুলিকে আরও কয়েক ঘণ্টা দাঁড়াতে হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে তা নিয়ে ক্ষোভ ছড়ায়। আপ সরাইঘাট এক্সপ্রেসের যাত্রী রমেশ সিংহ জানান, বন্‌ধের জেরে সকাল থেকে চরম হয়রানি পোহাতে হয়েছে তিনটি ট্রেনের যাত্রীদের। এনজেপি স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে দিনভর কাগজ, চাদর থেকে শুয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে যাত্রীদের। শৌচালয় ও জলের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানেও লাইন পড়তে দেখা গিয়েছে।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের এনজেপির সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার পার্থসারথি শীল বলেন, ‘‘বিকেলের পর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু হয়েছে। তবে অধিকাংশ ট্রেনই দেরিতে চলাচল করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

train struck alipurduar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE