বাগরাকোট বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতীক্ষালয় ও শৌচালয় দরকার বাগরাকোটে
শিলিগুড়ির বাগরা কোর্ট বাসস্ট্যান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ছোটবড় প্রায় দেড়শো বাস এখান দিয়ে যাতায়াত করে। স্ট্যান্ডের পাশেই পাইকারি সব্জিবাজার। এখানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় না থাকায় রোদ-বৃষ্টির মধ্যে মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ ছাড়াও স্ট্যান্ডে কোনও শৌচালয় নেই। ফলে যাত্রীদের, বিশেষ করে মহিলাদের খুবই অসুবিধা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে অনুরোধ : এখানে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার তৈরির ব্যবস্থা করুন।
রতন পালচৌধুরী, রবীন্দ্র সরণি, শিলিগুড়ি
সীমান্ত শিথিল, বাড়ছে বন্যপ্রাণি পাচার
জবছর বারো-চোদ্দো আগে চাঁচল উত্তর মালদার মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও, এখনও এখানে কোনও পুরসভা গঠিত হয়নি। অথচ জনবহুল চাঁচল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র। চাঁচল বাজারের রাস্তার দু’ধারে আছে গরুর দুধের হাট। আছে অনেক মিষ্টি ও খাবারের দোকান। পুরসভা না থাকায় এখান জলনিকাশি ড্রেন পরিষ্কার করা হয় না। ড্রেনের জল উপচে রাস্তায় এসে পড়ে। বন্ধ হওয়া নিকাশি নালার নোংরা গন্ধ, স্তূপীকৃত আবর্জনার দুর্গন্ধে দমবন্ধ করা পরিস্থিতি। এমনকী ব্যক্তিগত বাড়িগুলির শৌচাগারের আবর্জনাও পড়ছে বুজে যাওয়া ড্রেনগুলিতে। এরকম মনুষ্যবর্জ্যে আচ্ছাদিত পরিবেশে কি ব্যবসাবাণিজ্য চালানো সম্ভব? এমএলএ, এমপি-দের দেখা পাওয়া যায় না। তাঁরা থাকেন ৭০-৮০ কিমি দূরে মালদাতে। প্রশাসক বা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কোনও হেলদোল নেই। ১৪-১৫ লক্ষ মানুষের বাসভূমি চাঁচলে কোনও সাফাই কর্মী নেই। চাঁচল থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর, ভাদো থেকে রতুয়া, আশাপুর থেকে চূড়ামন— সর্বত্র স্তূপীকৃত জঞ্জাল। তার পাশেই চপ-ঝালমুড়ি-ফুচকার দোকান। হুমড়ি খেয়ে পড়ে খাচ্ছে কিশোর-কিশোরী, ছাত্রছাত্রী, গৃহবধূ, জনমজুর, কে না! সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ডাম্পিং গ্রাউন্ড, সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার প্রভৃতি ব্যাপারে কোনও ধারণাই গড়ে ওঠেনি মালদহের উত্তরাংশের ১০-১২ লক্ষ মানুষের জীবনে।
শান্তনু বসু, চাঁচল কলেজ, মালদহ
অরণ্যের আয়তন নিয়ে ভাবি না
উন্নয়ন বলতে নতুন রাস্তাঘাট, সড়ক, নগোরন্নোয়ন, কলকারখানাই বুঝি। কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় নতুন বনভূমি তৈরি, দেদার বৃক্ষ রোপণ, জলাভূমি সংস্কার আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবি না। যে কোনও দেশের মোট জমির ৩৩.৩৩ শতাংশ ঘন বনভূমি থাকা জরুরি। পশ্চিমবঙ্গে আছে ১৩.৫০ শতাংশ। সারা ভারতে ১৯.২৭ শতাংশ। প্রাকৃতিক ভারসাম্য, অক্সিজেন উৎপাদন, উত্তাপ নিয়ন্ত্রণ, বৃষ্টিপাত ঘটানো, সর্বোপরি বন্য জীবজন্তুর আশ্রয়দান প্রভৃতি হাজারো পরিষেবা বনভূমি দু’হাত ভরে দিচ্ছে। তাই বনভূমির আয়তন ও ঘনত্ব বাড়িয়ে পরিবেশ বাঁচাতে ফি বছর বার্ষিক বাজেটে উপযুক্ত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। উদ্যোগ নিয়ে খাসজমিতে কিংবা চরভূমিতে শাল-সেগুন-মেহগনি ইত্যাদি বৃক্ষ লাগিয়ে রেন ফরেস্ট গড়ে তোলা দরকার।
ভীমনারায়ণ মিত্র, দেবীনগর, রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর
মোটরবাইকের শব্দ-তাণ্ডবে কান ঝালাপালা
উঠতি বয়সের বাইক-আরোহীরা উচ্চ আওয়াজের হর্ন ব্যবহার করে। রায়গঞ্জে এই উৎপাতে আমাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। শিশু-বৃদ্ধ-রোগীদের কথা বাদই দিলাম, সাধারণ মানুষও এই শব্দদৈত্যের আক্রমণে নাজেহাল। হেলমেট নিয়ে যেমন কড়াকড়ি হচ্ছে, তেমনই কড়াকড়ি হোক উচ্চ আওয়াজের হর্ন বাজানো নিয়েও। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ প্রশাসন অবিলম্বে এ ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠুন।
সামিম আখতার বানু, সোনাবাড়ি, মিরুয়াল, রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর
অবহেলিত জলপাইগুড়ি
দুর্বল, বঞ্চিত, অবহেলিত শহর জলপাইগুড়ি। প্রায়ই গালভরা একটি শব্দ শুনি, ‘উত্তরবাংলার প্রশাসনিক রাজধানী’। সত্যিই কি তাই? প্রশাসনের কী আছে জলপাইগুড়িতে? কোন দফতর আছে, যা সমগ্র উত্তর বাংলাকে নির্দেশ দেয়? কোন আমলা বা মন্ত্রী আছেন যাঁর অঙ্গুলিহেলনে চলবে সমগ্র উত্তর বাংলা? বাঙালিদের চা-বাগানগুলি সব বেহাত। কোনও অফিস নেই, এক সময় যা ছিল জেলার আর্থিক বুনিয়াদ। মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে অনেক দরবার হয়েছিল। সব শেষ। পরিকাঠামো থাকতেও পাওয়া গেল না কলেজ খোলার অনুমতি। সার্কিট বেঞ্চও অন্ধকারে। সব এখন শিলিগুড়িতে। সরকারি কোনও দফতর আসেনি। বাজার যা আছে তা বলার মতো নয়। স্টেশন আছে। সারা দিনে দুটি ট্রেন চলে। জরাগ্রস্ত এই জলপাইগুড়িকে ‘রাজধানীর মর্যাদা’ দিয়ে জলপাইগুড়িবাসীদের অপমান না করাই শ্রেয়।
জ্যোৎস্না দত্ত, কদমতলা, জলপাইগুড়ি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy