হতাশ: বন্ধ গেটের সামনে খুদে পড়ুয়ারা। ছবি: নারায়ণ দে
রাস্তা নিয়ে বিবাদ। আর তারই জেরে স্কুলে ঢুকতে না পেরে বাড়ি ফিরে যেতে হল খুদে পড়ুয়াদের।
যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে টানাপড়েন চলছে আলিপুরদুয়ার মহিলা কলেজ ও সংলগ্ন প্রতিভা আদর্শ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। মহিলা কলেজের ভেতর দিয়ে স্কুলে যেতে হয় পড়ুয়াদের। কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই স্কুলটির জন্য সারাদিন কলেজ চত্বরে বহিরগতদের আনাগোনা চলতে থাকে। এ দিন স্কুলে ঢোকার গেট বাঁশ দিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ আটকে দেয় বলে শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের অভিযোগ। এর ফলে এ দিন আর স্কুলে ঢুকতে পারেনি খুদে পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে, বেসরকারি ওই স্কুলটি চলছে ১৯৯৩ সাল থেকে। ২০০০ সালের পরে তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ার মহিলা কলেজ। তারপর থেকেই যাতায়াতের পথ নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত।
মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় জানান, কলেজের পেছন দিকে শিশুদের স্কুল। ওই স্কুলে যেতে হয় কলেজের ভিতরের রাস্তা দিয়ে। সারাদিন নানা মানুষের যাতায়াত লেগে থাকে। এখন কলেজে নির্মাণ কাজ চলছে। ওই স্কুলে ঢোকার জায়গায় একটি গেট বানানো হয়। বৃহস্পতিবার গেটটি ভেঙে দেয় স্কুলের কয়েকজন। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি থানায় লিখিত ভাবে জানাই। শুক্রবার গেটটি বাঁশ দিয়ে আটকে রাখা হয় যাতে কারও গায়ে না পড়ে। তবে জেলা প্রশাসন বাঁশ খুলে দিতে বলেছে তাই আমরা তা খুলে দেব। তবে মহিলা কলেজে রাস্তা ব্যবহার করে ওই স্কুলে যাওয়া আসায় কলেজের নিরাপত্তার সমস্যা হচ্ছে। ওদের আলাদা রাস্তা দেখতে হবে।’’
স্কুলের শিক্ষক রতনকুমার দাস বলেন, ‘‘গেটটি কে ভেঙেছে আমাদের জানা নেই। তবে এ দিন সকালে স্কুলে এসে পড়ুয়ারা দেখে গেটটি বাঁশ দিয়ে বন্ধ করা আছে। বিষয়টি জেলা শাসককে জানিয়েছি।’’ শিশুদের অভিভাবকরা জানান, এ দিন গেট আটকানো থাকায় দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে অপেক্ষা করতে হয় শিশুদের। কলেজ কর্তৃপক্ষ রাস্তা ব্যবহার করতে না দিলে শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই প্রশাসনের উচিত এর সমাধানের পথ বার করা।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। শিশুরা এ দিন ক্লাস করতে পারেনি। বিস্তারিত খোঁজ নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy