ত্রাণের দাবিতে। চাঁচলে। ছবি: বাপি মজুমদার
বৃষ্টি থেমেছে। কমছে ফুলহারের জল। কিন্তু গঙ্গা ও মহানন্দার জলে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হল মালদহে।
সেচ দফতর সূত্রে খবর, গঙ্গা এখনও বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে বইলেও মহানন্দা চরম বিপদসীমার প্রায় দেড় মিটার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে আতঙ্কিত মালদহ জেলা শহর ইংরেজবাজার ও পাশের পুরাতন মালদহ শহরের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ইংরেজবাজার শহরের ২,৮,৯,১২,১৩ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পুরাতন মালদহ শহরের সাতটি ওয়ার্ডে মহানন্দার জল ঢুকছে। ফুলহরের জল কমতে শুরু করলেও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২, চাঁচল ১ ও ২, রতুয়া ১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের তলায়।
গাজলের ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ককে চিনে নেওয়ার অন্য কোনও উপায় নেই। বৃহস্পতিবার রাত থেকে মহানন্দা নদীটাই যেন বয়ে যাচ্ছে এই সড়কের উপর দিয়ে। যার জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে মালদহ-চাঁচল যোগাযোগ ব্যবস্থা। গত কয়েক দিনে বদলে গিয়েছে গাজলের ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের রোজনামচাও। বানভাসি পরিবার গুলি ভিটে মাটি ছেড়ে কেউ আশ্রয় নিয়েছে জাতীয় সড়কে। কেউ আবার স্কুল বাড়িতে। সর্বত্রই চলছে ত্রাণ নিয়ে হাহাকার। যদিও প্রশাসনের দাবি, ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ চলছে।
শুক্রবার গাজলের শ্রমতি নদী ফুলে ফেঁপে ওঠায় করকচ, আহোড়া পঞ্চায়েত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার বানভাসি পরিবারের দুর্ভোগ বাড়ছে। রশিদপুরের বাসিন্দা বাদল সরকার, বিনোদপুরের দিলীপ কবিরাজদের ক্ষোভ, ‘‘প্রশাসনের তরফে এক কিলো করে শুকনো চিড়ে, আর ১০০ গ্রাম করে গুড় দিচ্ছে। সেই খাবার খেয়ে কি পেট ভরে?’’
এ দিকে, ত্রাণ শিবিরগুলিতে থাকার জায়গার অভাবও এখন প্রকট। যেমন, চিন্তামনি বালিকা বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৫০টি ঘর রয়েছে। একেকটি ঘরে জিনিসপত্র-সহ অন্তত ১০ থেকে ১২টি করে পরিবার রয়েছেন। নতুন করে আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সংলগ্ন এলাকার বানভাসিদের ভিড় বাড়ছে এই স্কুলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy