আমার ছেলে পাহাড়ে জোড়বাংলোয় রুহিইয়া স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। স্কুলের হস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করতে হয় ওদের। পাহাড় অশান্ত উঠলে ছেলের চিন্তায় ঘুম চলে গিয়েছিল আমাদের।
গত ১৫ দিন ধরে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে আমার মতো পাহাড়ের স্কুলগুলোতে ছেলেমেয়েদের পড়তে পাঠিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা সকলে খুবই উদ্বেগে কাটিয়েছেন বলেই আমার ধারণা। সারাক্ষণ টিভির দিকে তাকিয়ে দিন কেটেছে। খবরের কাগজে পাহাড়ে অশান্তির খবর পড়ে আতঙ্কে বুক কেঁপে উঠত। পাহাড়ের বিভিন্ন স্কুলের সুনামের জন্য দেশটো বটেই বিদেশ থেকেও ছেলেমেয়েরা এখানে পড়তে আসেন। অথচ এ সব ঘটনায় পাহাড়ে স্কুলগুলোর সেই জনপ্রিয়তা নষ্ট হচ্ছে বলে মনে হয়।
প্রথম ভেবেছিলাম হয়তো কয়েকদিনে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে। পরিবর্তে পাহাড়ের পরিস্থিতি যে ভাবে অবনতি হল তা ভাবা যায় না। আমার কোচিং সেন্টার রয়েছে। সেই কাজেও মন দিতে পারছিলাম না। ছেলে স্কুলের হস্টেলে থাকলেও কখন কী পরিস্থিতি হয় বলা তো যায় না। তা ছাড়া পরিবারের লোকেরাও উদ্বিগ্ন। তাতে মানসিক চাপ আরও বাড়ছিল।
এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার খবর পেলাম ২৩ জুন থেকেই স্কুলগুলো ছুটি দিয়ে পড়ুয়াদের পাহাড় থেকে নামানো হচ্ছে। মাঝপথে আবার কী হয় সেই চিন্তা হচ্ছিল। ছেলেকে নিতে বৃহস্পতিবারই তাই আলিপুরদুয়ার হাসিমারার বাড়ি থেকে বাগডোগরায় আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসি। শনিবার থেকে পাহাড়ের স্কুলগুলোতে ছুটি হওয়ার কথা ছিল। বন্ধে ছাড় না দিলে তো হস্টেলেই আটকে থাকতে হত তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy