প্রতীকী ছবি।
জলপাইগুড়ির ছায়া এ বার উত্তর দিনাজপুরের চোপডা়তে। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করে বাড়িতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। চোপড়ার নারায়ণপুরে সোমবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম সুধীন ওঁরাও (৪০)। পুলিশ নিহতের স্ত্রী সরস্বতীকে গ্রেফতার করেছে। জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘এক ব্যক্তিকে খুন করে পুঁতে ফেলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর স্ত্রী বিরুদ্ধে। ওই বধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় আরও কে কে যুক্ত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ জলপাইগুড়িতে জীবন বিমার আধিকারিক উত্তম মোহান্তকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী লিপিকা মোহান্ত ও তার প্রেমিক অনির্বাণ রায়কে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই চোপড়ার নারায়ণপুরের বাসিন্দা সুধীন ওঁরাও নিখোঁজ ছিলেন। এমনকি পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। রবিবার বিকেলের পর থেকে তাঁর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকায়, এলাকার বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। সোমবার ইসলামপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ সাহার উপস্থিতিতেই রান্নাঘর সংলগ্ন একটি ঘরের মাটি খুড়ে দেহটি উদ্ধার করে। চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি জাকির আবেদিন বলেন, ‘‘মাজিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়নপুরে এক বধূ আরও একজনের সঙ্গে মিলে তাঁর স্বামীকে খুন করে বাড়িতে পুঁতে দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিহত সুধীন ওঁরাও এর স্ত্রী সরস্বতী ওঁরাও এর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে সুধীন ওঁরাওকে খুন করে বাড়ির মধ্যেই পুঁতে দেওয়া হয় বলে তাঁদের অভিযোগ।
এ দিনের ঘটনা এলাকা চাউর হতেই বাড়িটি ঘিরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জনরোষ থেকে বাঁচিয়ে সরস্বতীকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছে সরস্বতী। কিন্তু, তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা। সরস্বতীর পাশাপাশি ওই যুবকের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে নিহত সুধীন ওঁরাও এর আত্মীয়রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy