Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

স্বামী জেলেই থাক, চান স্ত্রী

স্বামী তাঁতে ফেলে ওড়িশায় চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শিলিগুড়ির শিবমন্দির এলাকার গৃহবধূ লক্ষ্মী জায়সবাল। অভিযোগ জানানোর পর ওড়িশা থেকে শিলিগুড়ি পুলিশের একটি দল গত ১৪ এপ্রিল তাঁর স্বামী সতীশ জায়সবালকে সেখান থেকে নিয়ে এসেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৯
Share: Save:

স্বামী তাঁতে ফেলে ওড়িশায় চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শিলিগুড়ির শিবমন্দির এলাকার গৃহবধূ লক্ষ্মী জায়সবাল। অভিযোগ জানানোর পর ওড়িশা থেকে শিলিগুড়ি পুলিশের একটি দল গত ১৪ এপ্রিল তাঁর স্বামী সতীশ জায়সবালকে সেখান থেকে নিয়ে এসেছে। অভিযোগ সতীশবাবু তাঁর আত্মীয়ার সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেছেন।

ওই বধূর পাশে দাঁড়িয়েছে শিলিগুড়ি নারী শক্তি। তাদের নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে লক্ষ্মীদেবী বলেন, ‘‘নিজের ভাগ্নির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে যে অবৈধ কাজ করেছেন আমার স্বামী, তার জন্য আদালত ওকে শাস্তি দিক। ও যেন জামিন না পায়।’’ তা ছাড়া মেয়েকে নিয়ে যাতে বাঁচতে পারেন সে জন্য ভরণপোষণের দাবিও তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, সতীশবাবুর পরিবারের তরফে মামলা তুলে নিতে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। না হলে অ্যাসিড ছুড়ে তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখানো হচ্ছে।

লক্ষ্মীদেবীর অভিযোগ, ১২ ফেব্রুয়ারি ভাগ্নির সঙ্গে নিখোঁজ হন সতীশবাবু। তারপরে সতীশবাবুর পরিবার থেকে লক্ষ্মীদেবীর দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। সতীশবাবুর ভাগ্নি জামিনে রয়েছেন। তাঁর বাবার দাবি, ‘‘আমার মেয়ে এবং পরিবারের নামে মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন লক্ষ্মীদেবী। উনি নানা ভাবে শ্যালক সতীশবাবুর উপর মানসিক অত্যাচার করতেন। তা নিয়েও কয়েকমাস আগে অভিযোগ হয়েছে। আমার মেয়ের সঙ্গে সতীশবাবুর প্রেমের সম্পর্ক নেই।’’

লক্ষ্মীদেবীর পাল্টা দাবি, পুলিশের কাছ থেকে তাঁরা জেনেছেন ওড়িশায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। লক্ষ্মীদেবীর ভাই মিঠু প্রসাদের অভিযোগ, ২০১৫ সালে ২৯ জানুয়ারি বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তাঁর দিদির উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছিল। গয়না, আসবাব উপহার-সহ বিয়ে দেওয়া হলেও ফের ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করতে থাকে সতীশবাবু। সতীশবাবুর দাদা রাজেশ জায়সবাল বলেন, ‘‘সমস্ত মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সতীশ এবং আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Husband jail
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE