পুরসভার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু শহরের যে সব পা়ড়ায় নিকাশি বেহাল, তা থেকে বাদ পড়েনি ঋদ্ধির পাড়াও। যা দেখেশুনে তৃণমূলের বক্তব্য, ভারতীয় দলের কিপারের নামকে সামনে রেখে কেবল প্রচারে থাকতে চাইছেন মেয়র। কাজের কাজ করছেন না। মেয়রের পাল্টা দাবি, তৃণমূল রাজনীতি করছে।
শহর পরিচ্ছন্ন, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মু্ক্ত রাখতে, ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতা প্রচারে ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহাকে মুখ করেছে শিলিগুড়ি পুরসভা। তাঁর বাড়ি শক্তিগড় এলাকায়। সেখানে তাঁর বাড়ির সামনেই নিকাশি বেহাল। নর্দমায় আবর্জনা, জল জমে রয়েছে। জমা জল মশার আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। রাস্তার একাংশে পাথর ফেলে রাখা একাধিক জায়গায়। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, দলের কাউন্সিলর মানিক দে এবং কর্মীদের একাংশ। শক্তিগড় এলাকার ১, ২ নম্বর রাস্তা এবং লাগোয়া অংশে গত সাত দিন ধরে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বুধবার তৃণমূল এলাকার একটি রাস্তার কলের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজনীতি করতে এ সব করা হচ্ছে। কিছু বলতে চাই না। পানীয় জল সরবরাহের সমস্যার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মেয়র পারিষদ দেখছেন।’’
এ দিন এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খোঁজ নেন রঞ্জনবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ঋদ্ধিমানের মুখ সামনে রেখে বাজার মাত করা হচ্ছে, অথচ কাজ হচ্ছে না। এলাকায় গত সাত দিন ধরে পানীয় জল নেই। ঋদ্ধিমানের বাড়ির সামনেই জল জমে। কোথাও নিকাশি আগাছায় ভরেছে।’’ কৌশিক দত্তর মতো স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কিছু দিন আগে জঞ্জাল ডাঁই করা ছিল। তাঁরা সরব হলে তা পরিষ্কার করা হয়। রঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘কয়েক দিন দেখব। ব্যবস্থা না-নেওয়া হলে পুরসভায় গিয়ে আন্দোলন করব।’’
এ দিন পুরসভা এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের তরফে এলাকায় মাটি খুঁড়ে পানীয় জল সরবরাহের পাইপ লাইন পরীক্ষা করা হয়। জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাড়িগুলোতে গিয়ে কথা বলছি। কোথাও জল পড়ছে। কোথাও নেই। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর জলের লাইন পরীক্ষা করছে।’’
এলাকার প্রবীণ নাগরিক দুর্গাপদ দাস, সুনন্দ দত্তরা জানান, শক্তিগড় এলাকার ১ নম্বর গলিতে তাঁদের বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ নেই। অনেকটা দূরে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে শিশু উদ্যানের সামনে পুরসভার কল থেকে পানীয় জল আনতে হচ্ছে। প্রীতি আদিত্য জানান, তাদের বাড়ির কলে সরু সুতোর মতো ধারায় জল পড়ছে। ঋদ্ধিমানের পরিবারের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, তাঁদের বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy