লম্বা চেহারার যুবক। পরনে টি শার্ট-জিনস। দুই পায়ে দামী স্নিকার। জুতোর উপরের অংশে নীল জিনসের কিছুটা ফোলা। আর তা দেখে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের।
সোমবার রাতের গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে ধরে ওই যুবককে পাকড়াও করে পুলিশ। দেখা যায়, হাঁটুর নীচ থেকে তিনি ‘নি-ক্যাপ’ পরে আছেন। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৫৮৯টি একশো ডলার নোট। ভারতীয় বাজারে যার মূল্য ৩৮ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার কিছু বেশি।
যুবকের নাম কিশোরকুমার পাল। নিবাস দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বেলাবাড়িতে। সম্প্রতি মায়ানমার থেকে পাচারের সময় শিলিগুড়িতে একের পর এক সোনা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে এই যুবকের খোঁজ পান কেন্দ্রীয় রাজস্ব দফতর বা ডিআরআইয়ের গোয়েন্দারা। তাঁদের সন্দেহ, সোনা লেনদেনের ব্যাপারেই সম্ভবত তিনি কাউকে টাকা দিতে এখানে এসেছিলেন।
জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ধরা হলেও কিশোরকে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। শুল্ক দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, কারও কাছ থেকে ১ কোটি টাকার কম ডলার পাওয়া গেলে নথিপত্র দেখানোর জন্য তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়। সেই মতো কিশোর এ দিন জামিন পেয়ে যান।
তবে ডিআরআই-র আইনজীবী রতন বণিক জানান, মায়ানমার ও উত্তর-পূর্বে যে সোনা পাচার চক্র সক্রিয়, অনেক ক্ষেত্রেই শিলিগুড়িকে তার করিডর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিদেশের সেই সোনা এ দেশে ঢুকলে ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় তার মূল্য চোকানো হয়। তাই হয়তো ডলার ছিল। রতনবাবুর দাবি, এই যুবক কোনও চক্রকে সোনা পাচারের জন্য টাকা দিতে এসেছিলেন। তবে তিনি নেহাতই এক জন ‘ক্যারিয়ার’। চক্রের বাকিদের খোঁজ চলছে।
ডলার নিয়ে ধৃতের আইনজীবী অবশ্য এ দিন আদালতে দাবি করেছেন, মিথ্যা মামলায় তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। গোয়েন্দারা জানান, অন্তর্বর্তী জামিন পেলেও ডলারের উৎস, নথিপত্র এবং কোন লেনদেনের জন্য তা আনা হয়েছিল, সে সব কথা অভিযুক্তকে আদালতে প্রমাণ করতে হবে। তা না করতে পারলে, ফের তাকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়া হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy