Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ছুরির কোপ প্রতিবাদী যুবককে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকেরা ছুটে যান৷ বেগতিক বুঝে দীপু ও রাজ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ স্থানীয় বাসিন্দারাই এরপর দীপুকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান৷ তার মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে৷

আহত: হাসপাতালে চন্দন। শনিবার। ছবি: সন্দীপ পাল

আহত: হাসপাতালে চন্দন। শনিবার। ছবি: সন্দীপ পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭ ০৪:২২
Share: Save:

নাবালিকার বিয়ের প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই জলপাইগুড়ির কেরানিপাড়ায় এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল৷ শুক্রবার রাতে ওই ঘটনার পর জখম যুবককে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ অভিযুক্ত দুই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম যুবকের নাম চন্দন রায়৷ তার বাড়ি জলপাইগুড়ির দেউনিয়া পাড়ায়। চন্দনের দাদা জয়ন্ত রায়ের অভিযোগ, মাস ছয়েক আগে তাঁদের পাড়ার একটি মেয়েকে বিয়ে করতে চায় পুরাতন পান্ডাপাড়া এলাকার বাসিন্দা দীপু দাস৷ কিন্তু মেয়েটি নাবালিকা হওয়ায় কয়েকজন প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ করেন চন্দন৷ কিন্তু বিয়ে আটকাতে পারেননি। জয়ন্তবাবু বলেন, ‘‘প্রতিবাদ করায় আমার ভাইয়ের ওপর ওর রাগ থেকেই গিয়েছিল৷ শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ আচমকাই কেরানিপাড়া ব্রিজের কাছে আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে যায় দীপু৷ সেখানে সে ও তার বন্ধু রাজ সরকার ভাইকে বেধড়ক মারধর করে মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দেয়৷’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকেরা ছুটে যান৷ বেগতিক বুঝে দীপু ও রাজ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ স্থানীয় বাসিন্দারাই এরপর দীপুকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান৷ তার মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে৷

হাসপাতালের বেডে শুয়ে চন্দন বলেন, ‘‘মেয়েটি নাবালিকা হওয়াতেই দীপু যখন বিয়ে করতে চায় তখন প্রতিবাদ করি৷ তারপর থেকেই দীপু মাঝে মধ্যে আমায় দেখে নেবে বলে হুমকি দিত৷ কয়েকদিন আগে রাস্তায় একা পেয়ে আমায় মারধরও করেছিল৷ শুক্রবার রাতে ভাইপোর সঙ্গে কেরানিপাড়া এলাকায় একটি দোকানে গিয়েছিলাম৷ তখন একজন বলে ব্রিজের কাছে দীপু আমায় ডাকছে৷ ভেবেছিলাম দীপুকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করব কেন আগের দিন ও আমায় মারলো৷ কিন্তু সেখানে যেতেই কোনও কথা বলার আগেই দীপু ও রাজ আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে৷’’

ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারাও দীপু ও রাজের শাস্তি দাবি করেছে৷ চন্দনের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘এমন ঘটনা ঘটলে তো কেউ অন্যায় দেখলেও আর প্রতিবাদ করবে না৷’’ এ দিন দুপুরে দীপু ও রাজের বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চন্দনের দাদা জয়ন্তবাবু৷

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন,‘‘পুলিশ খুবই গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি দেখছে৷ অভিযুক্ত দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE