জিন্নাতুল হোসেন।
এক মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, নিজের বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না তিনি। সেই ঘটনার তদন্তে সোমবার দুপুরে কোচবিহারের হরিণচওড়াতে গিয়ে অভিযুক্ত এক যুবক জিন্নাতুল হোসেনকে (২২) পুলিশকর্মীরা ধমক দিয়ে যান বলে তাঁর বাড়ির লোকের দাবি। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তাঁর বাড়ির সামনের আম গাছ থেকে জিন্নাতুলের দেহ উদ্ধার হয়। বোনের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা।
জিন্নাতুলের পরিবারের দাবি, পুলিশের ধমকেই ভয় পেয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। সেই রাগ গিয়ে পড়ে পুলিশের উপরেও। জিন্নাতুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ গেলে এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের উপরে চড়াও হন। কোচবিহার কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর রাহুল তালুকদার, কনস্টেবল বিষ্ণু বর্মন, সুশীল রায় এবং গাড়ির চালক বিপুল সরকারকে কিল চড় ঘুঁষি মারা হয়। লাঠি দিয়েও মারধর করা হয়েছে তাঁদের। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের গাড়িটি।। পরে বড় পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। হামলার ঘটনায় ৬ মহিলা সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসআই রাহুলবাবু বলেন, “গণ্ডগোলের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। গাড়ি থেকে নামার আগেই বেধড়ক মারধর শুরু হয়। আমরা যাতে কাউকে জানাতে না পারি, তাই ফোন পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, “গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।”
জিন্নাতুলের জামার পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেই নোটটি তিনি ফেসবুকেও প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। জিন্নাতুলের আত্মীয় মিনু বেগম বলেন, ‘‘পুলিশ জিন্নাতুলকে ভয় দেখায়। অপমান করে। তাতেই ও এই পথ বেছে নিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy