Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

নিয়োগপত্র আসেনি, ক্ষোভ

দফতরে ঠান্ডা লড়াইয়ের জেরে নাম প্রকাশের এক মাস পরেও নিয়োগপত্র হাতে পেলেন না জেলা পরিষদের কর্মপ্রার্থীরা। মাসখানেক আগে মালদহে একই দিনে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর এবং জেলা পরিষদের বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২১
Share: Save:

দফতরে ঠান্ডা লড়াইয়ের জেরে নাম প্রকাশের এক মাস পরেও নিয়োগপত্র হাতে পেলেন না জেলা পরিষদের কর্মপ্রার্থীরা।

মাসখানেক আগে মালদহে একই দিনে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর এবং জেলা পরিষদের বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ হয়েছিল। পঞ্চায়েত দফতরের সফল কর্মপ্রার্থীরা এ মাসের শুরুতেই কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু জেলা পরিষদ, প্রকাশিত প্যানেলের কর্মপ্রার্থীদের হাতে এখনও নিয়োগপত্রই তুলে দিতে পারেনি। অথচ ওই কর্মপ্রার্থীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন সবই হয়ে গিয়েছে। নিয়োগপত্র হাতে না পেয়ে সেই কর্মপ্রার্থীরা এখন জেলা পরিষদের আধিকারিকদের দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যানেল প্রকাশ হলেও নিয়োগপত্র দেওয়ার বিষয়টি জেলা পরিষদের অর্থ স্থায়ী সমিতিতে পাশই হয়নি। তা পাশ করা নিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে আধিকারিকদের রীতিমতো ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৯ মার্চ মালদহ জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর নির্মাণ সহায়ক, সহায়ক, সচিব, টাইপিস্ট প্রভৃতি মোট ৯৩টি পদে সফল কর্মপ্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করে। পাশাপাশি সে দিনই মালদহ জেলা পরিষদ সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, টাইপিস্ট, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, করণিক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর ২৩টি পদের সফল কর্মপ্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করে। পঞ্চায়েত দফতরের কর্মপ্রার্থীরা সেই মাসের শেষে কাজে যোগ দিলেও জেলা পরিষদের প্যানেলের কর্মপ্রার্থীরা এখনও নিয়োগপত্র হাতে পাননি।

জানা গিয়েছে, নিয়োগের চুড়ান্ত অনুমোদন নিতে হয় জেলা পরিষদের অর্থ স্থায়ী সমিতিতে। সেই অর্থ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষের অভিযোগ, নিয়োগের বিষয়টি আলোচনার জন্য আধিকারিকদের তরফে নোটশিট দেওয়া হলেও সভাধিপতি আলোচনার বিষয়বস্তুতে তা রাখছেন না। গত মাসের ২৯ তারিখ অর্থ স্থায়ী সমিতির শেষ যে বৈঠক হয়েছিল তার বিষয়বস্তুতে বাজেট পাশের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও নিয়োগের বিষয়টি রাখেননি সভাধিপতি। সভাধিপতি সরলা মুর্মু জানান, নিয়োগ কমিটি তৈরির সময় দু’জন কর্মাধ্যক্ষকে নমিনি হিসেবে চেয়েছিলেন আধিকারিকরা। কিন্তু তারপর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁকে পুরোপুরি অন্ধকারে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন,‘‘আধিকারিকরা যেমন কিছু জানাননি, তেমনি কর্মাধ্যক্ষরাও কিছু জানাননি। আমাকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে। জেলা পরিষদের নিয়োগ অথচ সভাধিপতি হিসেবে আমি কিছু জানব না কী ভাবে নিয়োগ হচ্ছে, স্বচ্ছভাবে হয়েছে কি না। এখন সবকিছু শেষ করে এসে বলছেন অর্থ সমিতিতে পাশ করে দাও। এটা মানব না।’’ তাঁর দাবি, নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার পর তা অর্থ স্থায়ী সমিতিতে পাশ করে নিতে হত।

যদিও জেলা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সভাধিপতিকে জানিয়ে অর্থ স্থায়ী সমিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে। নিয়োগ কমিটিতে দু’জন নমিনিও তিনি ঠিক করে দিয়েছেন। নিয়োগ কমিটির যত সভা হয়েছে সেখানে তাঁর মনোনীত নমিনিরা ছিলেন, তারা ইন্টারভিউতে থেকে নম্বরও দেন। কেন এ সব বলা হচ্ছে জানি না।’’

নিয়ম মেনে প্যানেল প্রকাশের পর অর্থ স্থায়ী সমিতিতে অনুমোদনের জন্য বলা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Zilla Parishad job candidates recruitment letter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE