জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে স্বর্ণব্যবসায়ীর দোকানের কারখানা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। বুধবার গভীর রাতে ইংরেজবাজার থানার গৌড় রোডে খেজুরতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি বাসিন্দাদের নজরে আসতেই হীরা শেখ নামে ওই পুলিশ অফিসার দলবল নিয়ে সরে পড়েন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে ওই দোকানের মালিক সমর রায় ও স্থানীয় বাসিন্দারা ওই অফিসারের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হীরা শেখ গাজলে ট্রাফিকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি ওই এলাকাতেই সপরিবারে বসবাস করেন। তাঁর বাড়ি লাগোয়া এলাকায় সমরবাবুর সোনার দোকান রয়েছে। তাঁর বাড়ি ইংরেজবাজারের পুড়াটুলি এলাকায়। সমরবাবুর অভিযোগ, ৩০ ডিসেম্বর হীরাবাবু নিকাশির জন্য দোকানের পাঁচিল ভেঙে দেন। তিনি প্রতিবাদ করায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। সমরবাবুর কথায়, “আমাকে গুলি করে মারবে বলে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে হীরা শেখের অবশ্য দাবি, “এখানে আমার বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। আমি নিজের জায়গায় নিকাশি নালা তৈরি করেছি। আমার জমিতেই ওই দোকানের কিছুটা অংশ রয়েছে। ভাঙচুর করার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার নিকাশি নালা উনি ভেঙে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আমি বুধবার একটি থানায় অভিযোগ করেছি।”
মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি। মামলাও রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এএসআই হীরা শেখের নেতৃত্বে সাত থেকে আট জনের একটি দল ওই সোনার দোকানের পিছনে থাকা কারখানায় ভাঙচুর চালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দিতে এলে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাদের ভয় দেখানো হয়। তাতে বাসিন্দারা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়লে ওই দলটি এলাকা থেকে সরে পড়ে। এর পরে ঘটনাস্থলে যান সমরবাবু ও তাঁর স্ত্রী রিনাদেবী। সমরবাবু বলেন, “২০০৬ সালে আমরা ফুলরানি দাসের কাছ থেকে কারখানার জমিটি কিনেছিলাম। এখন ওই অফিসার জমিটি তাঁর বলে দাবি করছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয় দেখিয়ে জমিটির দখল নিতে চাইছেন। এটা চলতে পারে না।”
ওই ঘটনার পরে সমরবাবু-সহ এলাকার বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর করে অভিযোগ করেন। বাসিন্দাদের দাবি, “পুলিশ হওয়ায় হীরা শেখ এলাকায় খুবই অত্যাচার করেন। জোর করে তিনি সমরবাবুর জায়গা দখল করে নিতে চাইছেন। আমরা তাঁর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছি। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করলে পরবর্তীতে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy