Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

টয়ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে সত্য আড়ালের অভিযোগ যাত্রীদের

টয় ট্রেন দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যুর পরও প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে কর্মীদের দোষ ঢাকতে রেল কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন মৃতের পরিবার এবং যাত্রীদের একাংশ। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে রেলের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন ওই ঘটনায় মৃত কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা মলি পালের আত্মীয় শিলিগুড়ির বাসিন্দা সুমিতাভ পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৪২
Share: Save:

টয় ট্রেন দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যুর পরও প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে কর্মীদের দোষ ঢাকতে রেল কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন মৃতের পরিবার এবং যাত্রীদের একাংশ।

মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে রেলের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন ওই ঘটনায় মৃত কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা মলি পালের আত্মীয় শিলিগুড়ির বাসিন্দা সুমিতাভ পাল। ঘটনার দিন মলিদেবীরা তিনধরিয়া থেকে বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠেছিলেন বলে যে তথ্য রেলের তরফে দেওয়া হয়েছে তাও সঠিক নয় বলে দাবি করেন তাঁরা। সুমিতাভ বাবু দাবি করেন, শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকেই মলিদেবী-সহ পরিবারের ছ’জন ট্রেনে উঠেছিলেন। সহযাত্রীদের অনেকেই তার সাক্ষী রয়েছেন। যাঁদের অনেকেই এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে একই দাবি তুলেছেন।

দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্য না করারও অভিযোগ তুলেছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটির যাত্রী নিকিতা সাহা, সুদীপা রায় (সরকার), ও পম্পি দে। তাছাড়া ঘটনার দিন আচমকা ট্রেনটি ‘ব্রেক ফেল’ করে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ বেগে খাদের ধার দিয়ে লাইন বেয়ে নামার সময় গার্ড, চালক-সহ ট্রেনে থাকা ৪ জন রেলকর্মীই ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। অথচ রেল এই তথ্য গোপন করতে চাইছে বলে তাঁদের অভিযোগ। নিউ জলপাইগুড়ির দায়িত্বে থাকা রেলের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার পার্থ শীল বলেন, “তদন্ত চলছে। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পার্থবাবু জানান, বহু যাত্রীর সঙ্গেই কথা হয়েছে। অপর কোনও যাত্রী বা ব্যক্তির কিছু বলার থাকলে তাঁরা সবাই তদন্ত কমিটিকে তা জানাতে পারেন। সে সবও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।”

নিকিতাদেবী বলেন, “চলন্ত ট্রেনে বসে চালককে রাস্তায় দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। ট্রেন জোরে চললেও চালক ব্যবস্থা নেবে বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু চালককে রাস্তায় দেখে যাত্রীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনার পর চালকের সঙ্গে তা নিয়ে আমাদের বচসাও হয়। চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের অসহায় ভাবে রেখে কেন তিনি নেমে গেলেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি অস্বীকার করেন। অথচ তাঁর গায়ে তখনও মাটি লেগেছিল। পায়ে চোট পেয়ে খোঁড়াচ্ছিলেন তিনি।”

গত ২৬ জানুয়ারি কার্শিয়াং শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে চূনাভাটি এলাকায় ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে। অনেকেই চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন। ওই ঘটনায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় কলকাতার বাসিন্দা মলি পালের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

toy train accident investigation siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE