চোপড়ায় নির্যাতিতা তরুণীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর পড়াশোনায় সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার দীনবন্ধু মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান মন্ত্রী। বর্তমানে ওই তরুণী কলেজে পড়াশোনা করছেন। গরিব পরিবারের ওই তরুণীকে পড়াশোনা চালাতে লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে হত। সম্প্রতি তা জানতে পেরে মন্ত্রী তাঁকে ওই কাজ ছেড়ে দিতে বলেন। প্রতি মাসে তিনি নিজের বেতন থেকে তাঁকে পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তা ছাড়া কন্যাশ্রীর মতো সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাও যাতে ওই ছাত্রী পান সে ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন বলেও জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই মাসে তাঁর পড়াশোনার জন্য মন্ত্রী পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন।
চোপড়ার নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল ওই ছাত্রী নির্যাতনের শিকার হন। ১৫ দিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। ঘটনার খবর পেয়ে গভীর রাতেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয় ওই ছাত্রী। পড়াশোনা করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও দিয়েছিল। ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। পড়াশোনার জন্য তাঁকে লোকের বাড়িতে কাজ করতে হচ্ছে জেনে তা ছেড়ে দিতে বলেছি। যদিও কোনও কাজই ছোট নয়। তবু ওর পড়াশোনার খরচ আমার বেতন থেকে দেব। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তহবিল থেকে সহায়তা করা হবে। সে জন্যেই ওকে বাড়িতে ডেকেছি। অনুষ্ঠানে নিয়ে এসেছি। ওই ঘটনার স্মৃতি নিয়ে ও যেন বেঁচে না থাকে। আর পাঁচ জনের মতো মাথা উঁচু করে চলতে সমস্ত রকম সহযোগিতা করব।”
এ দিন অনুষ্ঠানে ওই তরুণীর হাতে রবীন্দ্র রচনাবলী তুলে দেন তিনি। ওই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন মঞ্চে উপস্থিত চলচ্চিত্র পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু চোপড়ার ওই তরুণীই নয় বানারহাটের মরাঘাটের বাসিন্দা অপর এক নির্যাতিতা তরুণীর পাশেও দাঁড়িয়েছেন মন্ত্রী। গৌতমবাবু জানান, ৩৫ দিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সার পর ওই তরুণীকে তিনি নিজের গাড়িতে করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তত্কালীন পুলিশ সুপার অমিত জাভালগিও সহযোগিতা করেছিলেন বলে জানান তিনি।
ধূপগুড়ি প্রসঙ্গে এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “আগেও বলেছি ঘটনা দুঃখজনক। ওই পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। এর মধ্যে রাজনীতি জড়ানো উচিত নয় বলেই মনে করি। তাই এখন পর্যন্ত সেখানে যাইনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy