এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে ছাত্রভর্তির সহায়তা কেন্দ্র পোড়ানোর অভিযোগ তুলল টিএমসিপি। দুই সমর্থককে টিএমসিপি মারধর করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে এসএফআই-ও।
গত তিন দশক ধরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ছাত্র সংসদ এসএফআইয়ের দখলে। স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য ১২ জুন থেকে কলেজে অনলাইনে ভর্তির ফর্ম পূরণ শুরু হয়েছে। তা চলবে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত। পড়ুয়াদের সহযোগিতা করার জন্য ল্যাপটপ নিয়ে টিএমসিপি কলেজের সামনে দুটি সহায়তা কেন্দ্র খোলে। টিএমসিপির পাশেই রয়েছে এসএফআইয়ের একটি ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র। টিএমসিপির অভিযোগ, তাদের দু’টি ভর্তি সহায়তা কেন্দ্রের একাংশ ও একাধিক ফ্লেক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সোমবার রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনের এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় এসএফআইয়ের পাঁচজন নেতা ও সমর্থকের নামে অভিযোগ জানায় টিএমসিপি। দুপুরে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা চলাকালীন এসএফআইয়ের দুই সমর্থককে কলেজ চত্বরে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপির নামে। টিএমসিপির দাবি, এসএফআই দুই বহিরাগত সমর্থক এদিন নেশাগ্রস্ত হয়ে ঢুকে টিএমসিপি সমর্থকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। টিএমসিপি সমর্থকেরা প্রতিবাদ করলে পালিয়ে যান তাঁরা। কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ রোখার দাবিতে এ দিন বিকেলে টিএমসিপি সমর্থকেরা অধ্যক্ষকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ঘেরাও করে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। অধ্যক্ষ প্রবীর রায় বলেন, “টিএমসিপির ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র কলেজের বাইরে থাকায় এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। বহিরাগতদের রুখতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” টিএমসিপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি অজয় সরকারের অভিযোগ, “নবাগতদের সমর্থন হারানোর ভয়ে এসএফআই সমর্থক আমাদের ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের না ধরলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” কর্তৃপক্ষ বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধের ব্যবস্থা না করলে টিএমসিপির তরফে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কলেজে তালা মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এসএফআই জেলা সম্পাদক প্রাণেশ সরকারের দাবি, “পড়ুয়ারা টিএমসিপিকে সমর্থন করে না। তাই সহানুভূতি কাড়তে টিএমসিপি সহায়তা কেন্দ্র পুড়িয়ে এসএফআইয়ের নামে নালিশ করেছে। এসএফআইয়ের কোনও সমর্থক নেশাগ্রস্ত হয়ে কলেজে ঢোকেননি। টিএমসিপি আমাদের দুই সমর্থককে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy