Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রবন্ধ ১

প্রথম ধাক্কাটা ছিল নকশাল আন্দোলনের

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাজগতে বামফ্রন্ট আমলে দলীয় আনুগত্যের শাসন জারি হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দৃপ্ত ঘোষণা করেন, শিক্ষাজগতে আমূল পরিবর্তন আনবেন। কিন্তু আজও ছবিটা আগের মতোই। আমরা নিরুপায় দর্শক।পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাজগতে বামফ্রন্ট আমলে দলীয় আনুগত্যের শাসন জারি হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দৃপ্ত ঘোষণা করেন, শিক্ষাজগতে আমূল পরিবর্তন আনবেন। কিন্তু আজও ছবিটা আগের মতোই। আমরা নিরুপায় দর্শক।

শিক্ষাজগৎ। শিক্ষক  সংগঠন ওয়েবকুটা-র মিছিল। কলকাতা, জুলাই ২০১৫। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

শিক্ষাজগৎ। শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা-র মিছিল। কলকাতা, জুলাই ২০১৫। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

কৃষ্ণা বসু
শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:০০
Share: Save:

বে শ কিছু কাল হল একটা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা। রাজ্যের বা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বা অব্যবস্থা নিয়ে কোনও দিন মুখ খুলব না, কলমও খুলব না। ইউনিভার্সিটির পড়াশুনো সাঙ্গ হওয়া মাত্রই নিতান্ত অল্পবয়সে শিক্ষাজগতে যুক্ত হয়েছিলাম। অধ্যাপনার কাজ পেলাম, সাল ১৯৫৫, জুলাই মাস। পরবর্তী ষাট বছর ধরে বিভিন্ন জমানায় শিক্ষাক্ষেত্রকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হল। সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কী বলব, একটা ইংরেজি বাক্য ব্যবহার করতে ইচ্ছা হয়— the less said the better.

এ কথা বলার পর একটা বিষয় পরিষ্কার করে দেওয়া প্রয়োজন। ব্যক্তিগত জীবনে অধ্যাপনা আমাকে আনন্দ দিয়েছে, সাফল্যও দিয়েছে। কত অজস্র স্টুডেন্টের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা আমার জীবন সমৃদ্ধ করেছে। আজও পথেঘাটে, দেশে-বিদেশে ঢিপ করে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে কেউ যখন বলে, ‘ম্যাডাম, সেই যে আপনি ম্যাকবেথ পড়িয়েছিলেন’, অথবা কেউ বললে, ‘টেনিসন, মনে আছে— দ্য কার্স হ্যাজ কাম আপন মি, সেড দ্য লেডি অফ শ্যালট’, তখন মনটা ভরে ওঠে। যে হতাশা বা সিনিসিজম ধীরে ধীরে গ্রাস করল, তার উৎস অন্যত্র। শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে, তা অনেকখানি নির্ভর করে ক্ষমতাসীন শাসক দলের ওপর। লেডি অব শ্যালটের অভিশাপের মতোই এক কালো ছায়া শিক্ষাজগতে নেমে এল। নিরুপায় দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে দেখলাম, ভেঙে পড়ল শিক্ষাব্যবস্থার ঐতিহ্য, চুরমার হয়ে গেল শিক্ষক-ছাত্রের স্নেহ-শ্রদ্ধার সম্পর্ক।

প্রথম ধাক্কাটা এসেছিল নকশাল আন্দোলনের সময়। ছাত্রদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ওপরই কেন আক্রোশ, তা বুঝে ওঠার আগেই আমার কলেজের একতলায় অত্যন্ত সমৃদ্ধ লাইব্রেরি পুড়িয়ে দিল। দগ্ধাবশিষ্ট বইপত্র সরিয়ে নেওয়া হল তিনতলায়। তখন থেকে লাইব্রেরি তিনতলায়। দুষ্কৃতিকারীদের উঠতে অন্তত সময় লাগবে। কেনই বা মনীষীদের স্ট্যাচুর গলা কাটা হতে লাগল, কেনই বা জলজ্যান্ত এক জন উপাচার্য খুন হয়ে গেলেন— এ সব বুঝতে পারার আশায় জলাঞ্জলি দিতে হল। এরা যত নির্মম হয়েছিল, তার থেকে অনেক গুণ বেশি নিষ্ঠুর হয়ে রাষ্ট্র ভেঙে দিল আন্দোলন। নিজেদের পরিচিতের মধ্যেই অনেক পরিবার পুত্রহারা হলেন, প্রাণ গেল বেশ কিছু মেধাবী, আদর্শবান তরুণের।

আমার দীর্ঘ অধ্যাপনাজীবনের মধ্যে চৌত্রিশ বছর জুড়ে শাসনক্ষমতায় আছেন বামপন্থীরা। এ কথা সর্বজনবিদিত যে, সে আমলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়ায়— ভাইস চ্যান্সেলর-প্রিন্সিপাল থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, যা-ই হোক না কেন— কর্মদক্ষতা নয়, দলীয় আনুগত্য ছিল মাপকাঠি। ছাত্র ভর্তির সময়েও মেধা নয়, দলীয় রঙের গুরুত্বের অগ্রাধিকার। সাংবাদিকেরা যাকে ‘অনিলায়ন’ বলে থাকেন, তার সার্থক রূপায়ণ হয়ে গিয়েছে। দৈবচক্রে সেই দুঃসময়ে বেশ কিছুকাল অধ্যক্ষের কাজ করতে হল। আমাদের কলেজ কলকাতা শহরে সাতটি কলেজ নিয়ে এক সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। সকলের মাথার উপরে ছিলেন রেক্টর। তাঁর কাছে গিয়ে এ কাজ নিতে অস্বীকার করেছিলাম, কিন্তু ছাড়া পাইনি।

কলেজ সার্ভিস কমিশন নাম পাঠিয়ে দেন কাকে অধ্যাপক নিযুক্ত করব, তার যোগ্যতা প্রশ্নাতীত নয়। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, রামকৃষ্ণ মিশনের বিভিন্ন কলেজ কিছু আইনগত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে ছাড় পেল, পছন্দমত অধ্যাপক নিয়োগ করতে পারবে। আমাদের একগুচ্ছ কলেজও আইনের পথে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট আদেশ করলেন তিন জনের নাম পাঠানো হবে, কর্তৃপক্ষ এক জনকে বেছে নিতে পারবেন।

আমার অভিজ্ঞতায় প্রথম তিনটি নাম এল। এক জন তো অত্যন্ত উপযুক্ত। পুলকিত হয়ে তাকে চিঠি দিলাম। জবাব এল, ‘দিদি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া সাঙ্গ করে আমি রামকৃষ্ণ মিশনে যুক্ত হয়েছি। আমি সংসারে নেই।’

দ্বিতীয় জন মন্দের ভাল। তাঁর যা ঠিকানা-যোগাযোগ লেখা আছে, তাতে কোথাও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত জানতে পারলাম, তিনি কিছু কাল আগে মারা গিয়েছেন। অগত্যা তৃতীয় জন দেখা করতে এলেন। এক জন অধ্যাপকের প্রথম কাজ, ইংরেজিতে যাকে বলে কমিউনিকেট করতে পারা, বক্তব্য বুঝিয়ে বলতে পারা চাই। তৃতীয় জন ইংরেজি অথবা বাংলা, কোনওটাতেই স্বচ্ছন্দ নন। আমাদের ছাত্রীরা বুদ্ধিমতী। তখন মেয়েদের কমার্স, বাণিজ্য বিভাগ নতুন খোলা হয়েছে। বেশির ভাগ ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে পাশ করছে। সে দিনের ছাত্রীরা আজ বড় বড় ব্যাংকে, বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এই মাস্টারমশাই এদের সামলাতে পারবেন না।

আমার সমস্যার কথা বলতে দৌড়লাম কলেজ সার্ভিস কমিশনে। তাঁদের যা কর্তব্য ছিল, তাঁরা করে দিয়েছেন, জানালেন। কলেজ নিজ দায়িত্বে অল্প দিনের জন্য পার্টটাইম শিক্ষক নিতে পারে। অতএব সেই পথে যেতে হল। যাঁরা পড়াতে এলেন, তাঁরা উজ্জ্বল রত্ন। তাঁদের জিজ্ঞাসা করলাম, এত দিন কোথায় ছিলেন? তাঁরা বললেন, পরীক্ষা নেওয়ার পর কলেজ সার্ভিস কমিশন যে তালিকা টাঙিয়ে দেয়, তাঁরা সেই তালিকার নীচের দিকে আছেন। কাজকর্মের সুযোগ পান না।

ছাত্র ভর্তির সময় মানেই আন্দোলন। শাসক দল এক দিকে অনেক নীতির কথা বলছেন। নম্বর অনুসারে স্বচ্ছতা রেখে ভর্তি করবেন। ক্লাসে ত্রিশ জনের ব্যবস্থা থাকলে কখনওই পঁয়ত্রিশ জন নেবেন না, ইত্যাদি। আমরা কিন্তু তাঁদের দলেরই ছাত্রদের দ্বারা নিত্য ঘেরাও হচ্ছি— কম নম্বরে ভর্তি করতে হবে। ত্রিশ জনের ক্লাসে ষাট জন নিতে হচ্ছে, নানান অযৌক্তিক দাবি।

অসহ্য বোধ হওয়াতে এক দিন শিক্ষা-সচিবকে ফোন করে বললাম, ‘দেখুন, আপনাদের মনের কথা কী, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিন। যদি ফেল করা ছাত্র নিতে আদেশ করেন, অগত্যা তা-ই নেব, দু’রকম বলবেন না।’ তিনি বললেন, ‘একটা ফোন নম্বর দিচ্ছি লিখে নিন।’ একটা নামও দিলেন। বললেন, ‘আমাকে যা বললেন, ওখানে বলুন। পার্টির তরফে উনিই শিক্ষার দিক দেখেন।’ ফোন করলাম। এ পারে আমার কলরব শোনার পর ও পার থেকে শীতল কণ্ঠস্বর ভেসে এল, ‘ঠিক আছে, দেখছি।’ স্বীকার করে পর দিন থেকে অপেক্ষাকৃত সুষ্ঠু ভাবে কাজকর্ম করতে পারলাম।

শিক্ষা নিয়ে সমস্যা রাজ্য এবং কেন্দ্র দুই জায়গাতেই এক। প্রথম এনডিএ সরকারের সময়ে লোকসভার সদস্য ছিলাম। শিক্ষায় গেরুয়াকরণের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হতে পেরেছিলাম। অবশ্য সেই সঙ্গে এ কথাও বলেছিলাম যে, আমার নিজের রাজ্যে শাসক দল শিক্ষার রং রক্তিম বর্ণ করে ছেড়েছেন। ইংরেজিতে ‘ক্রিমসন’ বলেছিলাম। ভেবেছিলাম, এ কথার পর বেজায় হট্টগোল হবে। কিন্তু মিনিট পাঁচেক নির্বিঘ্নে বলে গেলাম, তার পর প্রতিবাদ হল। বন্ধুরা বললেন, রেড না বলে ক্রিমসন বলাতে ব্যাপারটা হৃদয়ঙ্গম করতে একটু সময় লেগেছিল।

এনডিএ সরকারের শরিক দলের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষায় গৈরিকীকরণ বা অযোধ্যা বা গুজরাত প্রশ্নে বিপক্ষে বলে পার পেয়ে যেতাম। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজি ছিলেন উদার মনের মানুষ, বিতর্কের শেষে কখনও প্রশ্রয়ের হাসি হেসে করমর্দন করেছেন।

রাজ্যে ২০১১ সালে এল পরিবর্তনের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন শিক্ষাকে রাজনীতিমুক্ত করবেন। এই আনন্দ সংবাদ এক আশার আলো নিয়ে এল। তিনি আরও বললেন, প্রেসিডেন্সিকে তার পুরনো ঐতিহ্যে ফিরিয়ে দেবেন। তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হল, অমর্ত্য সেনকে পরামর্শদাতা রেখে শিক্ষাবিদদের নিয়ে মেন্টর গ্রুপ করা। লোকপরম্পরায় শুনেছি, এ খবরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছিলেন— এটা একটা মাস্টার স্ট্রোক, এ পরামর্শ কে দিল! ওঁর মনেও সুপ্ত বাসনা ছিল, কিন্তু নিজের দলের জন্যই কার্যকর করতে পারেননি।

শিক্ষাজগতে এক আমূল পরিবর্তন আনবেন, এমন দৃপ্ত ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করার পরও সাধারণ ভাবে ছবিটা আগের মতোই রইল। রোজই খবরের কাগজে পড়ি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য ও হিংসার খবর। প্রতি সন্ধ্যায় বিভিন্ন চ্যানেলে বিশিষ্টজনেরা বিতর্ক সভায় বসেন— কেন এমন হচ্ছে। আগেকার জমানার নেতৃবৃন্দ অপাপবিদ্ধ মুখ করে বলেন, দেখুন, এই জমানা কী খারাপ। বর্তমান নেতারা বলেন, আপনাদের আমলের বিভীষিকা আমরা ভুলে যাইনি। পরস্পর দোষারোপ চলে, কোনও বাস্তবসম্মত সমাধানসূত্র শোনা যায় না।

অসুখের মূল কোথায়, আমরা তা বিলক্ষণ জানি। প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শাখা মাত্র। ছাত্ররা ব্যবহৃত হয় হাতিয়ার হিসেবে। যত সদিচ্ছাই থাক, কোনও দলের পক্ষে একা এই বহুদিনের কু-প্রথা ভেঙে বেরিয়ে আসা কঠিন। মনে সংশয়, আমি রাজনীতিমুক্ত হব আর অন্য দল সেই সুযোগে ক্ষমতা দখল করবে। তার চাইতে সবাই যেমন করে, ক্ষমতায় থাকতে থাকতে শিক্ষাজগৎ দখল করে নেওয়া যাক। অতএব, আমাদের ভাগ্যে যে যখন ক্ষমতায় থাকবে— গৈরিক, লাল, তেরঙা বা আর কোনও রঙে রঙিন হয়ে যাওয়া ছাড়া গতি নেই।

ছাত্র আন্দোলনের নামে যে ধরনের কাণ্ডকারখানা চারিদিকে দেখছি, তাতে বড় আতঙ্ক হয়। আজকের ছাত্ররা আমার পৌত্র-দৌহিত্রদের প্রজন্ম। তাদের মুখ চেয়ে অলীক স্বপ্ন দেখি। কোনও এক পুণ্য প্রভাতে সকল রাজনৈতিক দল মিলিত ভাবে ঘোষণা করবে ‘আজ থেকে আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে হাত তুলে নিলাম’। রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা/ এমন কেন সত্য হয় না আহা!

ছাত্রদেরও ভাবতে হবে, তারা কি দিনের পর দিন নিজেদের এই ভাবে ব্যবহৃত হতে দেবে? টিভি-র কল্যাণে বিভিন্ন দলের ছাত্র-নেতাদের কথা বলতে শুনি। মনে হয় না যে তাঁরা ভাবনাচিন্তা করে নিজস্ব মত বলছেন। তাঁরা শেখানো বুলি আউড়ে যান!

এ কথা সত্য যে, তরুণ সমাজের থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের গর্জন ওঠে। আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামও তার সাক্ষী। আর সাম্প্রতিক কালেও চিনের তিয়েনান মেন স্কোয়ার, মিশরের তাহরির স্কোয়ার, বাংলাদেশের শাহবাগ, তরুণ সমাজের প্রবল প্রতিবাদ প্রত্যক্ষ করেছে। কিন্তু কোনও বৃহৎ আদর্শের জন্য আত্মত্যাগ আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের মধ্যে মারামারি, হাতাহাতি এক পর্যায়ে পড়ে কি?

ভূতপূর্ব লোকসভা সদস্য (১৯৯৬-২০০৪)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE