Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রবন্ধ

বাজেটে রাজ্যের আর্থিক স্বাধীনতা বেড়েছে

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জায়গায় অনুদান হিসেবে যে-টাকা দেওয়া হবে, সেটা খরচ করার ব্যাপারে রাজ্যগুলোর অনেক বেশি স্বাধীনতা থাকবে। কেন্দ্র থেকে যে-অর্থ রাজ্যগুলো পায়, তার পরিমাণও তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের সদিচ্ছাকে স্বাগত জানাতেই হবে। অভিরূপ সরকারনতুন সরকারের নতুন বাজেটে প্রথমেই বলে নেওয়া হয়েছে, এই বাজেট যেহেতু বিজেপি সরকারের প্রথম বাজেট এবং যেহেতু এর মেয়াদ পুরো এক বছরের নয়, তাই এ বছরের বরাদ্দগুলোকে বরাদ্দ হিসেবে না দেখে, সরকারি অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত হিসেবে দেখাটাই সমীচীন। অর্থমন্ত্রী মূল বাজেটে ঢোকার আগে আরও কয়েকটা দরকারি কথা বলেছেন।

মুখোমুখি। প্রাক্-বাজেট আলোচনার আসরে অমিত মিত্র ও অরুণ জেটলি। দিল্লি, জুন, ২০১৪। ছবি: রমাকান্ত কুশবহা।

মুখোমুখি। প্রাক্-বাজেট আলোচনার আসরে অমিত মিত্র ও অরুণ জেটলি। দিল্লি, জুন, ২০১৪। ছবি: রমাকান্ত কুশবহা।

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

নতুন সরকারের নতুন বাজেটে প্রথমেই বলে নেওয়া হয়েছে, এই বাজেট যেহেতু বিজেপি সরকারের প্রথম বাজেট এবং যেহেতু এর মেয়াদ পুরো এক বছরের নয়, তাই এ বছরের বরাদ্দগুলোকে বরাদ্দ হিসেবে না দেখে, সরকারি অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত হিসেবে দেখাটাই সমীচীন। অর্থমন্ত্রী মূল বাজেটে ঢোকার আগে আরও কয়েকটা দরকারি কথা বলেছেন। বাজেটের ভাল-মন্দ কিংবা নতুন সরকারি নীতির যথার্থতা সেই কথাগুলোর নিরিখেই বুঝতে হবে। অর্থমন্ত্রী বললেন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, মূল্যবোধ হ্রাস এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চলতি খাতে ঘাটতি কমানো এই তিন লক্ষ্য সরকারের কাছে সর্বাধিক প্রাধান্য পাবে। তা ছাড়া বললেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি বর্তমান সরকারের অবিচল দায়বদ্ধতা রয়েছে।

অর্থাৎ, চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি আমরা বাজেট থেকে পাচ্ছি: আর্থিক বৃদ্ধি, জিনিসপত্রের দাম কমানো, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি দায়বদ্ধতা। আমাদের দেখতে হবে, এই বাজেট, যা সম্ভবত সরকারের ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতির প্রতিফলন, এই সব প্রতিশ্রুতি রক্ষার সঙ্গে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট-বক্তৃতা থেকে এই ধারণা স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয় যে, অনুৎপাদক ভর্তুকির পুরনো আমল থেকে নতুন সরকার বেরিয়ে আসতে চাইছে। একটা কমিটির কথা ঘোষণা করে হল, যার সদস্যরা প্রতিটি ভর্তুকির প্রয়োজনীয়তা-অপ্রয়োজনীয়তার দিকগুলো খতিয়ে দেখবেন। বলা হয়, মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চিতিকরণ প্রকল্পটি এত দিন তেমন ভাবে সম্পদ তৈরি করতে পারেনি। এ বার থেকে ভর্তুকি-ভারাক্রান্ত সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরির পেছনে অর্থব্যয় না করে যথার্থ গ্রামীণ পরিকাঠামো তৈরির মাধ্যমে গ্রামে কর্মসংস্থান করা হবে। তা ছাড়া, নতুন রাস্তাঘাট বানানো, নগর-বন্দর নির্মাণ, পুরনো জলপথ সংস্কার, নতুন আই আই টি, আই আই এম, এইমস তৈরির কথা বাজেটে বলা হয়েছে। সবই পরিকাঠামো তৈরির ঘোষণা। এই সব ঘোষণার মধ্য দিয়ে সরকার বোধকরি এই বার্তাটাই দিতে চাইছেন যে, মানুষকে অনন্তকাল ভর্তুকি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখাটা সুনীতির পরিচয় নয়, বরং উপযুক্ত পরিকাঠামোর সাহায্যে তার উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে, তাকে স্বনির্ভর এবং প্রতিযোগিতার উপযোগী করে তুলতে পারলে ব্যক্তি এবং দেশ সকলেরই লাভ। এ তো খুব ভাল কথা। এই রকম একটা নীতিতে অবিচল থাকতে পারলে দেশের যে আখেরে লাভ হবে, তাতে সন্দেহ কী? এবং সেই লাভ যে উচ্চতর আর্থিক বৃদ্ধির আকারে অচিরেই দেখা দেবে, তা নিয়েও সংশয়ের অবকাশ নেই। কিন্তু সত্যিই কি বাজেটে ভর্তুকি কমানোর কোনও চেষ্টা দেখা যাচ্ছে?

ইন্টারনেট ঘাঁটলেই এ বছরের বাজেট, সমস্ত সংখ্যা-টংখ্যা সমেত, পাওয়া যাবে। বাজেটের পাটিগণিতে যাঁদের অরুচি নেই, তাঁদের কাছে এটা একটা লাভ। এই পাটিগণিত থেকে দেখতে পাচ্ছি, ২০১২-১৩-তে ভর্তুকি খাতে মোট খরচ হয়েছিল ২,৫৭,০০০ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪-তে এই খরচ খানিকটা কমে হল ২,৫৫,০০০ কোটি টাকা, কিন্তু ২০১৪-১৫-তে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ হয়েছে গত বছরের তুলনায় আরও ২০০ কোটি বেশি। অর্থাৎ, বাজেট-বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী যা-ই বলুন না কেন, অন্তত প্রথম বছরে তিনি ভর্তুকি কমানোর সাহস দেখাতে পারেননি। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এটাও জানি যে, বরাদ্দ যা থাকে ভর্তুকি খাতে, কার্যত খরচ হয় তার থেকে বেশি। অতএব প্রশ্ন উঠছে, ভর্তুকি কমানোটা কি শুধুই কথার কথা?

সমস্যা আরও আছে। আর্থিক বৃদ্ধির জন্য নতুন সরকারের একটা বড় ভরসা বিদেশি বিনিয়োগ। বিমা এবং প্রতিরক্ষা খাতে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি ক্ষেত্র বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বিদেশি বিনিয়োগকে যাঁরা অচ্ছুৎ মনে করেন, বর্তমান লেখক তাঁদের দলে নেই। বরং আমরা মনে করি, বিদেশি বিনিয়োগের কিছু সুবিধে আছে। উন্নততর প্রযুক্তি, জিনিসের উন্নততর মান, এ সবই বিদেশি বিনিয়োগের হাত ধরে আসে। তা ছাড়া, বিদেশিরা এলে দেশের বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ে, দেশি কোম্পানিদের আরও তৎপর হতে হয়। ফলে লাভবান হন সাধারণ ক্রেতা। কিন্তু এ সব সত্ত্বেও পরিষ্কার করে বলা দরকার, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনও দেশ নেই যে শুধুমাত্র বিদেশি বিনিয়োগের ঘাড়ে চেপে উন্নয়নের বৈতরণী পার হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া নয়, চিন নয়, জাপান নয়, ইউরোপ-আমেরিকা তো অবশ্যই নয়। পক্ষান্তরে, যেখানে প্রায় সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিদেশি বিনিয়োগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, সেই মহাদেশটির নাম আফ্রিকা। তার অবস্থা তো দেখতেই পাচ্ছি। অর্থাৎ আমরা বলতে চাইছি, বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসুক ক্ষতি নেই, কিন্তু তাকে কখনওই স্বদেশি উদ্যোগের বিকল্প হিসেবে ভাবা যাবে না। দেশে শিল্পের জোয়ার আসতে হলে তা দেশি শিল্পপতিদের উদ্যোগের মধ্য দিয়েই আসতে হবে। কোরিয়া জাপান চিন ইউরোপ আমেরিকা সর্বত্রই এই ভাবে শিল্পায়ন এসেছে।

প্রতিরক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগের কিছু বাড়তি অসুবিধা আছে। যে দলই ক্ষমতায় থাকুক, প্রতিরক্ষা খাতে সরকার একটা বিপুল অর্থ ব্যয় করে থাকে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সামাজিক ক্ষেত্রগুলিতে সম্মিলিতভাবে যত খরচ হয়, প্রতিরক্ষা খাতে খরচ হয় তার পাঁচ গুণেরও বেশি। এই দুঃখজনক একপেশে খরচের সমর্থনে বলা হয়ে থাকে: দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস নয়। কিন্তু প্রতিরক্ষার ভার বিদেশিদের হাতে চলে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে আপস করা হবে না কি? কেউ বলতে পারেন, এখনও তো আমরা বিদেশি কোম্পানিদের কাছ থেকেই অস্ত্রশস্ত্র কিনছি। সেই বিদেশিরাই যদি দেশের উৎপাদনে অংশ নেয়, তা হলে ক্ষতি কী? এর উত্তরে বলি, বিদেশিদের কাছ থেকে আমরা যখন অস্ত্র কিনছি, তখন আমাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করার জন্য বিদেশিদের মধ্যে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা হচ্ছে, যার ফলে আমরা ক্রেতা হিসেবে লাভবান হচ্ছি। আমরা কোনও একটি বিদেশির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি না। অপরপক্ষে ধরে নেওয়া যেতে পারে, আমাদের দেশের প্রতিরক্ষায় সব বিদেশিরা বিনিয়োগ করবে না। যে করবে, আমরা কিন্তু তার ওপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ব, যেটা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অনাঙ্ক্ষিত। আমরা বলতে চাইছি, গবেষণা করে দেশের মধ্যে খাঁটি দেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে পারলে সব থেকে ভাল হয়।

মূল্যবৃদ্ধি কমানোর প্রসঙ্গে আসি। আমাদের দেশে গত চার-পাঁচ বছরে যে মূল্যবৃদ্ধিটা ঘটেছে, তার সিংহভাগ ঘটেছে খাদ্যদ্রব্যে, বিশেষ করে কৃষিজাত খাদ্যদ্রব্যে। এই মূল্যবৃদ্ধি বশে আনার জন্য নতুন সরকার কিছু বিশেষ ধরনের গ্রামীণ বাজার তৈরি করার কথা ভেবেছেন, যার উল্লেখ বাজেটে করা হয়েছে। এই বাজারগুলো তৈরি হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে, ফলে আশা করা যায় কৃষিজাত খাদ্যদ্রব্যের দামও কমবে। এটা ভাল একটা পদক্ষেপ। কিন্তু বোঝা দরকার, সেই দাম কমাটা হবে এককালীন। মূল্যবৃদ্ধি মানে মূল্যের যে একটানা ঊর্ধ্বগতি, তার পেছনে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। অর্থাৎ, বাজারে ক্রমাগত নগদের জোগানবৃদ্ধি। এই জোগান বৃদ্ধির মূল কারণ আবার রাজকোষ ঘাটতি। প্রশ্ন হল, এ বারের বাজেটে রাজকোষ ঘাটতি আদৌ কমল কি? আমাদের দুর্ভাগ্য, এ বারের বাজেটেও ঘাটতি তেমন কমেনি। বস্তুত পূর্ববর্তী সরকার যে রাজকোষ ঘাটতিকে জাতীয় উৎপাদনের ৪.১ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখতে চেয়েছিলেন, বর্তমান সরকারও তাকেই লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ধরে নিয়েছেন। উপরন্তু অর্থমন্ত্রী দেশবাসীকে এই বলে সাবধান করে দিয়েছেন যে, এই লক্ষ্যমাত্রা হাসিল করাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তা হলে, মূল্যবৃদ্ধি কমবে এমন আশা আমরা কী ভাবে করব?

এ বার বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কথা। বাণিজ্য ঘাটতি কম হবে রফতানি বাড়লে কিংবা আমদানি কমলে। বর্তমান বাজেটে রফতানি বাড়াবার কিংবা আমদানি কমাবার কোনও সরাসরি ব্যবস্থা চোখে পড়ল না। আসলে, কিছু দিন যাবৎ চলতি খাতে বাণিজ্য ঘাটতি খানিকটা কমেছে। তাই হয়তো এই ঘাটতি কম রাখা দরকার মনে করলেও এটা কমানো নিয়ে সরাসরি কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন অর্থমন্ত্রী এখনই বোধ করছেন না। কিন্তু বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে মুখ্যত শেয়ার বাজারে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে বলে। এই বিনিয়োগ অতি চঞ্চলমতি, সামান্যতম প্ররোচনায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে। তাই এর ওপর ভরসা না করে রফতানি বাড়ানোর বা আমদানি কমানোর সঙ্গে শেয়ার বাজারে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলতি খাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর একটি বিরোধ আছে। বিদেশিরা যখন আমাদের শেয়ার বাজার থেকে দেশি কোম্পানিগুলোর শেয়ার বেশি করে কিনতে চাইছেন, তখন তাঁরা রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ডলার ভাঙিয়ে টাকা নিচ্ছেন এবং সেই টাকা দিয়ে বাড়তি শেয়ার কিনছেন। সেই টাকা দেশের মধ্যে সঞ্চালিত হচ্ছে। অর্থাৎ, শেয়ার বাজারে ডলার ঢোকার ফলে যেমন রিজার্ভ ব্যাংকের ডলারের ভাণ্ডারটি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনই দেশের মধ্যে টাকার জোগানও বাড়ছে। এবং এই কারণে মুদ্রাস্ফীতিও বাড়ছে।

পরিশেষে বলি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোটি পুনরুজ্জীবনের জন্য কিন্তু বর্তমান সরকার তাদের প্রথম বাজেটে প্রচুর সদিচ্ছা দেখিয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যগুলো এফ আর বি এম আইন মেনে তাদের নিজস্ব ঘাটতি একেবারে কমিয়ে ফেলেছে। এবং যেহেতু বেতন, পেনশন ইত্যাদি দায়বদ্ধ খরচ রাতারাতি কমানো যায় না, এই ঘাটতি কমাতে গিয়ে রাজ্যগুলো তাদের উন্নয়নের খরচ কমাতে বাধ্য হয়েছে। রাজ্যে উন্নয়ন হয়েছে মূলত কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোর মধ্যমে। কিন্তু এর ফলে উন্নয়নের প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি কেন্দ্র-নির্ভর হয়ে গেছে, ক্রমশ রাজ্যের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দের জায়গাটা একেবারে হারিয়ে যেতে বসেছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। এই অবাঞ্ছিত অবস্থা থেকে বেরনোর জন্য নতুন সরকার দু’টি পদক্ষেপ নিয়েছে। এক, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জায়গায় কেন্দ্রীয় অনুদান হিসেবে এখন থেকে রাজ্যগুলোকে যে-টাকা দেওয়া হবে, সেটা খরচ করার ব্যাপারে রাজ্যগুলোর অনেক বেশি স্বাধীনতা থাকবে। দুই, কেন্দ্র থেকে যে-অর্থ রাজ্যগুলো পায়, তার পরিমাণ এ বছরে তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের এই সদিচ্ছাকে স্বাগত জানাতেই হবে।

ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউট, কলকাতা’য় অর্থনীতির শিক্ষক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

post editorial avirup sarkar abhirup sarkar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE