‘দৈহিক’ প্রতিবন্ধী?
ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে মেট্রোয় চেপে গড়িয়া থেকে দমদম যাচ্ছি। ভিড় থাকার জন্য বয়স্ক নাগরিকদের সিটে বসি। ভিড় কমতে হঠাত্ চোখে পড়ল বয়স্ক নাগরিকদের পাশে লেখা ‘দৈহিক প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত’ আসন। অবাক হলাম। এটা কি অমনোযোগিতা, না সচেতনতার অভাব?
‘প্রতিবন্ধী’ দৈহিক ছাড়াও যে মানসিক হতে পারে, তা কি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের জানা ছিল না? ট্রামে, বাসে বা ট্রেনে শুধু ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি লেখা থাকে আসন সংরক্ষণের জায়গায়। এ ভাবে লেখা হলেও সমস্যা হত না। তা সমস্ত প্রকার প্রতিবন্ধীকে বোঝায়।
সব্যসাচী পড়ুয়া। কলকাতা-৭৫
টুনটুনি ও বাবুই
‘টুনটুনি এবং বিজ্ঞান’ শিরোনামে (১৯-২) লেখাটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। শঙ্করকৃষ্ণ দত্তের ফুড়ুত্ ফাড়ুত্ (আবাপ, আনন্দমেলা, ৪-১) লেখাটি পাঠ করে ধন্দে পড়ে টুনটুনি পাখির স্বভাব বা কর্মকাণ্ড বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে পত্রলেখক নতুন ধন্দের অবতারণা করে ফেলেছেন।
টুনটুনি পাখি আর বাবুই পাখির স্বভাবের মধ্যে খানিকটা গুলিয়ে গেছে। টুনটুনি তাল, নারকেল গাছে বাসা বানায় না। বাবুইপাখি তাল খেজুর নারকেল গাছে বাসা বানায়। টুনটুনি চওড়া বড় পাতাওয়ালা ছোট ছোট গাছের পাতা ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে ঠোঙার মতো দেখতে বাসা বানিয়ে তার মধ্যে মা পাখি ডিম পাড়ে। বাসাটি ওল্টানো হয় না। মা পাখি ডিমে তা দেয়, বাসা পাহারা দেয় বাবা পাখি খাবার জোগাড় করে যত দিন না ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। বাচ্চা বড় হয়।
বাবুই পাখি তাল খেজুর নারকেল ইত্যাদি লম্বা লম্বা গাছের সরু লম্বা পাতা ঠোঁট দিয়ে চিরে সরু সরু সুতোর মতো করে ঠোঁট দিয়েই নিপুণতার সঙ্গে বাসা বানায়। বাসাগুলো ওল্টানো কুঁজো জগ বা গুড়ের হাড়ির মতো দেখতে হয়। বাসার মধ্যে ছোট ছোট কুঠুরি থাকে। কোনওটাতে খাবার জমা থাকে, কোনওটাতে ডিম পাড়ে মা বাবুই। দোল খাওয়ার জন্য দাঁড়ও থাকে তাদের কোনও কোনও বাসায়। নরম কাদা বা গোবর এনে বাসায় কুঠুরিতে রেখে তার মধ্যে জোনাকি পোকার মাথা পুঁতে দেয়। সারা রাত আলোর অভাব হয় না তাদের। বাবুইপাখির পরিত্যক্ত বাসা দিয়ে অনেকেই ঘর সাজান।
রেখা বাগচী। কলকাতা-৫৫
বেহাল ডাক
অনলাইনের যুগে টেলিগ্রাম অচল বলে তা তুলে দেওয়া হয়েছে। বহু বছর ধরে ওই ব্যবস্থা যে পোস্ট অফিসের একটি অন্যতম পরিষেবা ছিল তা অনস্বীকার্য। এখন ফোনাফুনির যুগে কে যে কবে নিকট বা দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের হাতের লেখা চিঠি পেয়েছে তা গবেষণা করে বের করতে হবে। এর মূল কারণ ডাক বিভাগের পরিষেবা দানের ব্যর্থতা। চিঠিপত্র যদি সময় মতো হস্তগত হত তা হলে পত্রলেখার শিল্পটি বিলুপ্তপ্রায় হত না। প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই শিল্পকে পুনর্জীবন দান করতে হলে পোস্ট অফিসগুলিতে ইনল্যান্ড লেটার পোস্টাল খাম পোস্টকার্ড ডাকটিকট রেভিনিউ স্ট্যাম্প মানি অর্ডার ফর্ম ইত্যাদি যথেষ্ট সংখ্যায় মজুত রাখা উচিত। প্রতিটি সাব পোস্ট অফিসে রেজিস্ট্রি করে চিঠি পাঠানোর ব্যবস্থা রেজিস্টার উইথ এডি এমনকী স্পিড পোস্টের ব্যবস্থা রাখা উচিত। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে কিছু সাবেকি পদ্ধতি বজায় রাখা উচিত।
অমিয়কুমার মাইতি। সুতাহাটা, পূর্ব মেদিনীপুর
ন্যায্যমূল্যের দোকান
সরকারি হাসপাতালে গরিব রোগীদের সাহায্যার্থে সরকার পরিচালিত ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান রয়েছে। তমলুক জেলা হাসপাতালেও এ রকম একটি দোকান আছে। গরিব রোগীরা এর কথা শুনে আশান্বিত হয়েছিলেন। কিন্তু ওষুধ কিনতে গিয়ে তাঁদের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে সব আশা নিরাশায় পর্য়বসিত হয়েছে। খুব কম ওষুধ ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে পাওয়া যায়। অধিকাংশ ওষুধ বাজারে দোকান থেকে কিনতে হয়।
এ রকম ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান রাখার প্রয়োজনীয়তা কী?
বিনোদবিহারী মণ্ডল। ধারিন্দা, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy