Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

সম্পাদক সমীপেষু

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৪ ০০:২৪
Share: Save:

সমবায় সহজ নয়

বামপন্থীদের দুরবস্থার কারণ হিসেবে (সাক্ষাৎকার, ২৪-৬ ও ২৫-৬) পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বামপন্থীরা আইডিয়োলজি থেকে সরে গেছে এবং আমাদের দেশের সমাজ ও অর্থনীতির নতুন নতুন অবস্থাকে বুঝতে তারা ব্যর্থ। কিন্তু প্রতিকারের উপায় হিসেবে সমবায় প্রসারের কথায় পার্থবাবু খুব সম্মত হতে পারেননি।

কিন্তু সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমেই আইডিয়োলজি প্রসারের কাজটা একেবারে নিচুতলায় গ্রামীণ স্তরে হতে পারে। সমবায়ের চিন্তার মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যতের যৌথ নিরাপত্তাযুক্ত সমাজব্যবস্থার ভ্রুণ। সমবায়, উৎপাদিকা শক্তিকে শক্তিশালী করবে এবং উৎপাদন সম্পর্কের মধ্যে ক্রমশ পরিবর্তন আনবে যা ভবিষ্যতের উন্নততর সমাজের আধার হিসেবে কাজ করবে। সমবায়ের কাজটা ধৈর্যসাপেক্ষ, এবং কিছু পাইয়ে দেওয়ার কর্মসূচির মতো সহজ কাজ নয়, যথেষ্ট কঠিন।

সমবায় প্রচেষ্টা অতীতে পশ্চিমবঙ্গে সফল হয়নি বলে তাকে বাদ দেওয়া যায় না। অভিমুখ এবং প্রচেষ্টা থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। কাজটা কঠিন এবং সমস্যাপূর্ণ বলে বিনয় চৌধুরীরা এগোননি। এটাই আমাদের দেশের বামপন্থীদের দুর্বলতা। ছকের বাইরে সৃজনশীল ভাবে নতুন কিছু করার ইচ্ছা এবং চেষ্টা থাকে না। এটা আত্মবিশ্বাসের অভাব নয়, এটা হল উপলব্ধির দারিদ্র। রাশিয়ার অন্ধ অনুকরণের পথে না-গিয়ে মাও জে দং চিনের অবস্থা অনুযায়ী গ্রাম দিয়ে শহর-ঘেরা সংগ্রাম করে সফল হয়েছিলেন। অসুখের চিকিৎসা জটিল বলে তো ডাক্তার হাল ছাড়তে পারে না। সেখানেই তো হাতুড়ের সঙ্গে দক্ষ ডাক্তারের পার্থক্য।

পুঁজিবাদের বিরোধিতা বামপন্থীরা করবে, কিন্তু পাশাপাশি পজিটিভ কর্মসূচি (অর্থাৎ বিকল্প নির্মাণ, বস্তুগত উন্নয়ন এবং উন্নততর সমাজ ব্যবস্থার জন্য মানসিক আকাঙ্ক্ষা) না-থাকলে সাধারণ মানুষ কোন বাঁধনে সংঘবদ্ধ হবে?

আইডিয়োলজিবিহীন কোনও দল (এমনকী কোনও ব্যক্তিও) আসলে বালির স্তূপের মতো। বড় ঢেউয়ে ধুয়ে-মুছে যায়। কিন্তু সিমেন্ট বাঁধানো কংক্রিট স্ট্রাকচার ছোট হলেও অটুট থাকে। গ্রামীণ জীবনে কৃষি উৎপাদন সমবায় ছাড়াও পরিবহণের সমবায় (ভ্যান, রিকশা, অটো), নির্মাণ কর্মী সমবায় ইত্যাদির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উন্নততর লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হতে পারে।

কিছু জমি বিলিয়ে দেওয়া, নানা রকমের যৎসামান্য টাকার ভাতা দেওয়া, ক্লাবগুলোকে কিছু টাকা দেওয়া, বছরে কয়েক মাসের জন্য তথাকথিত কিছু অস্থায়ী চাকরি দেওয়া— এগুলো সবই হল দয়া-দাক্ষিণ্যের রাজনীতি। গোটা জাতটার বেশির ভাগ অংশই কি আসলে দাক্ষিণ্যপ্রত্যাশী ভিখারি হয়ে যাবে?

মৃগেন্দ্রনাথ গাঁতাইত। বোড়াল, কলকাতা-১৫৪

আশা জাগায়

চার দিকের এত মনখারাপ করা খবর পড়ে যখন হতাশ হয়ে পড়ি তখন কাণ্ডজ্ঞানহীন বন্ধওয়ালাদের বিরুদ্ধে সাহস করে দুই মহিলার এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ জানানোটা অভিনন্দনযোগ্য (‘অবরোধ তুললেন দুই মহিলা’, ২৬-৬)। প্রত্যেকের ভিতরেই তো শক্তি অন্তর্নিহিত থাকে। সেটাকে বের করে আনাটাই শক্ত কাজ। ভয় এবং সুবিধাবাদী মনোভাবই এই শক্তিকে পিছন থেকে টেনে ধরে।

অরূপরতন আইচ। কোন্নগর, হুগলি

রবীন্দ্রভারতী, উত্তরবঙ্গ

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনে (‘এখন উত্তরবঙ্গ ২০১৪’, ২৯-৬) উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে সেখানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (উত্তরবঙ্গ প্রাঙ্গণ)-এর কোনও উল্লেখ নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চারুকলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষাকল্পে বিগত ২০১০ সাল থেকেই পূর্বে ফাঁসিদেওয়ায় এবং বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক অফিসের (রাহুল সাংকৃত্যায়ন ভবন) মধ্যে অবস্থিত আবাসিক গৃহে অস্থায়ী ভাবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পঠনপাঠন হয়ে আসছে। পরিকাঠামোর কিছু সমস্যা সত্ত্বেও রবীন্দ্রসংগীত, কণ্ঠসংগীত ও নৃত্য বিভাগে সুষ্ঠু পঠনপাঠন চলেছে।

বিশ্বজিৎ দাস।রবীন্দ্রসংগীত বিভাগ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ প্রাঙ্গণ

গদ্যময়

সাম্প্রতিক কালে এই বোধহয় প্রথম একটা বাজেট বক্তৃতা শোনা গেল, যেখানে নেই কোনও উর্দু শায়ের, হাস্যরসের ছড়া, গানের ছন্দ, Joseph Stiglitz-এর উক্তি বা রবীন্দ্রনাথের কবিতার অংশ। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে ধন্যবাদ।

পুরণজিৎ মুখোপাধ্যায়।কলকাতা-২৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE