গুগল কাকুর ভোজ আর হাইটেক ঝোঁক
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় বাংলার এক মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ছিলেন ‘মিনিস্টার-ইন-ওয়েটিং’। সারা ক্ষণ ঘুরেছেন হাসিনার সঙ্গে। বাংলার আর এক মন্ত্রী সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়াও হাসিনার সফরসঙ্গী বাংলাদেশের পাঁচ সাংবাদিককে নিজের বাড়িতে ভূরিভোজ করালেন। বাংলায় সড়গড় এই পঞ্জাবি মন্ত্রীর আয়োজনে প্রাতরাশে আলুর পরোটা, সবজি, ঘরে তৈরি মাখন, গুড়ের পায়েস, দই, চাটনি, চা— কিছুই বাদ যায়নি। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, মোদী সরকারের মন্ত্রীর আতিথেয়তায় তাঁরা মুগ্ধ। শুধু মন্ত্রী নিজে নন, তাঁর দুই পুত্রবধূও খাবার পরিবেশন করেন। মন্ত্রীর হাইটেক ঝোঁক দেখেও চমকে যান তাঁরা। অহলুওয়ালিয়াকে অনেকেই ডাকেন ‘গুগল কাকু’ বলে।
গৃহকর্তা: সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া
জাহ্নবীর গাঁধী
প্রয়াত কংগ্রেস নেতা জিতেন্দ্র প্রসাদের পুত্র জিতিন ‘টিম রাহুল’-এর সদস্য। তাঁর বোন জাহ্নবী একটি গ্রাফিক নভেল লিখেছেন, ‘টেল্স অব ইয়ং গাঁধী’। মোদীকে উপহারও দিয়েছেন। সঙ্গে ট্যুইট, ‘গাঁধীকে নবযুগের উপকরণের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি দুর্দান্ত।’ এমনিতেই মোদীর গাঁধীকে হাইজ্যাক করা নিয়ে কংগ্রেস চিন্তিত। জিতেন্দ্র রাজীব গাঁধী ও নরসিংহ রাওয়ের উপদেষ্টা ছিলেন। জিতিন যখন রাহুলের সঙ্গে, তখন বোনের মুখে মোদীর প্রশংসা! অস্বস্তিতে ২৪ আকবর রোড।
কমলনাথ
উত্তরপ্রদেশে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পর মধ্যপ্রদেশ দখলে মরিয়া বিজেপি। আর তাই তারা নিজেদের শিবিরে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমলনাথকে। সম্প্রতি বিজেপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল কমলনাথের সঙ্গে। এই মুহূর্তে দলের মধ্যে কিছুটা কোণঠাসা কমলনাথ। রাজ্যে দিগ্বিজয় সিংহের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মধুর নয়। আবার রাহুল গাঁধীও তাঁকে কিছুটা এড়িয়েই চলেন। সংসদে এখন কংগ্রেসের মুখ মল্লিকার্জুন খাড়গে। মনমরা কমলনাথের একমাত্র আড্ডার সঙ্গী আহমেদ পটেল। তবু কমলনাথ যে বিজেপি-তে যোগ দেবেন, এমন কথা তিনি দেননি সে দলের নেতাদের।
গরিবের রঘুরাম
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক ভিরাল আচার্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর হয়েছেন। ভিরাল রিজার্ভ ব্যাঙ্কে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অফিসার-কর্মীদের কাছে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এতটাই, যে, কার্যত উর্জিত বনাম ভিরাল ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। রঘুরাম রাজন গভর্নর থাকার সময় তিনিও কর্মীদের মধ্যে প্রবল জনপ্রিয় ছিলেন। এক সময় তাঁর সঙ্গে গবেষণাপত্র লিখেছিলেন ভিরাল। এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অন্দরমহলে তাঁর নাম হয়েছে ‘গরিবের রঘুরাম’। ভিরাল নিজে বলেন, রঘুরামের ৫-১০ শতাংশ হলেই তিনি গরিবের রঘুরাম হয়ে উঠতে পারেন।
বিজেপি-তে পা
জাফর শরিফের বিজেপির দিকে পা বাড়ানো নিয়ে কংগ্রেস চিন্তিত। কারণ, তিনি সুন্নি মুসলমান। বিজেপির মুসলমান নেতাদের মধ্যে মুখতার আব্বাস নকভি, নাজমা হেপতুল্লা, সকলেই শিয়া। বিজেপির শাহনওয়াজ হুসেন সুন্নি হলেও রাজনীতির দাবাখেলায় তিনি এখন পিছনের সারিতে। জাফর নিজের সঙ্গে সুন্নি সম্প্রদায়ের নেতাদেরও বিজেপিতে নিয়ে যেতে পারেন বলে কংগ্রেসের আশঙ্কা।
মাসতুতো
রিপাবলিকান: রামদাস আঠাওয়ালে
সংসদের সেন্ট্রাল হল। সাংসদ শরদ পওয়ারের সঙ্গে আর এক সাংসদ রামদাস আঠাওয়ালে-র গুজগুজানি দেখে অনেকেরই চোখ কপালে। মরাঠিতে গুজগুজ, তাই ধরতে পারছিলেন না অন্যরা। কথা শেষে রামদাস এগিয়ে যেতেই অট্টহাস্যে ফেটে পড়লেন শরদ পওয়ার। ব্যাপার কী? জানা গেল, আমেরিকা যাচ্ছেন রামদাস। তাই শরদ পওয়ারের কাছে আর্জি, তিনি যেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রামদাসের দেখা করিয়ে দেন। তাঁর বিশ্বাস, এক পওয়ারই তা করিয়ে দিতে পারেন। পওয়ার জানতে চেয়েছিলেন, কেন দেখা করতে চান রামদাস। রামদাসের উত্তর, ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি, আর রামদাস হলেন রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়ার নেতা। সম্পর্কে মাসতুতো ভাই। তাই দেখা করার ইচ্ছা!
মিষ্টিমুখ
কখনও ব্যাগ থেকে বের হয় ক্যাডবেরি। কখনও নারকেলের নাড়ু। জয়া বচ্চন রাজ্যসভায় এলে আলোচনা-বিতর্কের ফাঁকে অনেকেরই মিষ্টিমুখ করা হয়ে যায়। সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদবরা তো বটেই, সুখেন্দুশেখর রায়ের মতো তৃণমূল সাংসদরাও বঞ্চিত হন না। চুপচাপ তাঁদের হাতে ক্যাডবেরি বা মিষ্টি গুঁজে দেন জয়াদি।
জয়ন্ত ঘোষাল, অগ্নি রায়, অনমিত্র সেনগুপ্ত, দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমাংশু চৌধুরী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy