Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

জহর সরকার (‘অধুনা প্রোমোটার ভরসা’, ১৮-৯) বিশ্বকর্মা পুজোর কথা লিখেছেন। কিন্তু বাংলা, ওড়িশা, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ডের জনজাতিদের কর্মাপুজোর আদি বহমান ধারার কোনও উল্লেখ করেননি।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৩৫
Share: Save:

করম উৎসবের কথাও যেন না ভুলি

জহর সরকার (‘অধুনা প্রোমোটার ভরসা’, ১৮-৯) বিশ্বকর্মা পুজোর কথা লিখেছেন। কিন্তু বাংলা, ওড়িশা, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ডের জনজাতিদের কর্মাপুজোর আদি বহমান ধারার কোনও উল্লেখ করেননি। ভাদ্র শুক্লা একাদশী থেকে করম বা হলুদ গাছের ডাল পুঁতে অথবা ঘটে দেশজ ডাল স্থাপন করে এই পুজো হয়। অরণ্যমায়ের রক্ষক করম গাছের ডাল থেকে কুঠার, রং, আসবাব, কাগজ, বাক্স ও নানা হস্তশিল্প তৈরি হয়। নানা ব্রতকথা, করম ও ধরম দুই ভাই অনেক বিবাদ, যুদ্ধের পর অবশেষে বুঝতে পারে যে তারা একে অন্যের পরিপূরক, শুভকর্মই ধর্ম।

লিপিহীন আদিবাসীদের মধ্যে করম, জাঁওয়া (অঙ্কুরোদ্গম) রান্নাপুজোর উৎসব ও ব্রতকথা চলে আসছে। পুববাংলা থেকে আগত মা দিদিমার মুখে শুনেছি চিলচিলনির রূপকথা। চিলনির কাছে পালিতা কন্যা রন্ধননিপুণা হয়। করমদেব নিহত চিলনিকে বাঁচিয়ে তোলেন। অসমে করমপুজোয় একই কথা শুনেছি। বিশ্বকর্মা পুজো বা আগের দিন নানা উপচারে রান্নাপুজো অনেকেই পালন করেন। কাজের মেয়ের ছুটি নেওয়ার সুবাদে কলকাতাবাসীরা ‘দখনে’দের আন্নাপুজোর কথা জানেন। সেখানেও মূর্তি নয়, মনসাডালের পুজো হয়। অনুষ্ঠানের আগে রান্না, কৃষি, আসবাব, কাঠের কাজ, দড়ির খাটিয়া বোনা, চিকিৎসা, যাবতীয় কর্ম, সর্বোপরি বৃক্ষরোপণ হয়। রোপণের পরে ভরা ভাদ্রে ঘরে বসে এই কর্মযজ্ঞ অর্থকরী কাজেরও উৎস। মেয়েরা বিভিন্ন উদ্ভিদ ও শস্যের জাঁওয়া বা অঙ্কুরোদ্গম করে। পুজোর পরে পরস্পরকে করমডোর বা রাখি পরিয়ে দেয়। করমসখিরা কর্মস্থলে একে অপরকে রক্ষা করে। জঙ্গলে পাখির ডাকের নকলে ‘করমড্যের’ ডেকে বিপদ জানায়। করম নাচে গৃহকাজ কৃষিকাজ ফুটিয়ে তোলা হয়। করম বিনতিতে নাচে গানে করমগাছ, পঞ্চভূত ও অরণ্যমায়ের কাছে শিশু ও জীবজগতের সুরক্ষা প্রার্থনা করা হয়। এই বিশ্বকর্মা কর্ম ও উদ্ভিদ কেন্দ্রিক। বিশ্বপ্রকৃতির রূপ রস রঙের উৎসবে নৃত্যগীতের বাতাবরণে কোনও কৃত্রিম আয়োজনের প্রয়োজন হয় না। (তবে অরণ্যমায়ের রক্ষক দেবতার রূপ জহর সরকার বর্ণিত ‘কাত্তিক’-এর মতো হতেই পারে।) করম পরবে করম, শাল, কদম, মহুয়া, নিম ইত্যাদি দেশি গাছ ও অঙ্কুরিত শস্যের বন্দনা হয়। এই উৎসব যেন রবীন্দ্রনাথের বৃক্ষরোপণ হলকর্ষণ ও শিল্পোৎসবের সম্মিলিত রূপ।

রাঢ় অঞ্চলে গ্রামগুলির কাছাকাছি জাহেরা (সাঁওতালি) বা সারণা (ওঁরাও) বা ধরতী মায়ের (মুন্ডা) থানে অন্তত পাঁচটি স্থানীয় প্রাচীন বৃক্ষ দেখা যায়। কোনও কৃত্রিম আয়োজন, এমনকী ঝাঁট দেওয়াও নিষিদ্ধ। এই মা প্রাণের পুণ্যে ভরা শক্তি, পঞ্চভূত মাটির জল তাপ বাতাস আকাশ জীববৈচিত্র নিয়ে তার প্রতিষ্ঠা। বাঙালির কলাবউ নবপত্রিকা শাকম্ভরী মা দুর্গা। বিল্ববৃক্ষমূলে ডালিম কদলী কচু শস্য দূর্বাঘাস, অর্থাৎ চার পাঁচ স্তরে বনস্পতি বৃক্ষ গুল্ম নিয়ে মাটি পাথর আঁকড়ে ধরা অরণ্য মা সিংহ হাতি ময়ূর হাঁস পেঁচা সর্প মহিষ নীলকণ্ঠ পাখি প্রাণিকুল নিয়ে দশ হাতে দশ দিক থেকে অসুর-অশুভ থেকে সৃষ্টি রক্ষা করে চলেছেন। ছৌ নাচে সবচেয়ে বেশি হয় মা দুর্গার অসুরবধ।

জহরবাবু সরস্বতীকে আধুনিক বলেছেন। আদিকাল হতে রাঢ় অঞ্চলে মাঘের সূর্যকে পুজো দিয়ে পলাশকুঁড়ি ও বাহা পরবে শালফুলের অর্ঘ্য দিয়ে বন্দনা করা হয় যে বাসন্তী অরণ্যমায়ের, তিনি কি আধুনিক? পাঁচ হাজার বছর আগে হরপ্পায়, দু’হাজার বছর আগে বৌদ্ধ যুগে বৃক্ষপুজোর প্রচুর স্মারক দেখা যায়। অরণ্যসংস্কৃতির ধারায় প্রকৃতি সুরক্ষার এই করম উৎসব যেন হারিয়ে না ফেলি।

অর্চনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুলু, শান্তিনিকেতন

॥ ২ ॥

জহর সরকারের লেখাটি সম্বন্ধে কিছু কথা।

১) পৌষ সংক্রান্তিতে বাঙালি ঘুড়ি ওড়ায় না। রায়-মানভূমে ওই দিনটিতেই বাঙালি ঘুড়ি ওড়ায়। ২) বেদ-পুরাণ-মহাকাব্যের সাদা দাড়ির বৃদ্ধ অবস্থা থেকে বিশ্বকর্মা তরুণ হয়েছেন। তাঁর বাহনের সংখ্যা কমেছে। কখনও বদলে রাজহাঁস হয়েছে। বাংলার বিশ্বকর্মা কোন পথে এমন ভাবে বদলে গেলেন? মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে তার কিছু নিশানা পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, মধ্যযুগে বিশ্বকর্মার বাহন ছিল ভল্লুক। ৩) পুরাণ-মহাকাব্য ঘেঁটে জহরবাবু বিশ্বকর্মার তিনটি কীর্তির উল্লেখ করেছেন। রাবণের স্বর্ণলঙ্কা, শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা আর পাণ্ডব রাজধানী ইন্দ্রপ্রস্থ গড়েছিলেন। এই সব কীর্তি ময় তথা ময়দানবের বলে জানতাম। ময় আর বিশ্বকর্মা কি তবে একই? বিশ্বকর্মা কি তা হলে নাগ? খাণ্ডববন দহনের সময় কিছু নাগ সেখান থেকে চলে যায়। বেশির ভাগেরই মৃত্যু ঘটে। যাঁরা পরিত্রাণ পান তাঁদের দুই প্রতিনিধি তক্ষক আর ময়। দু’জনেই পাতালে নাগলোকে চলে যান।

বাংলার সাহিত্য ঐতিহ্যে বিশ্বকর্মা পাতালবাসী ত্বষ্টা বা নির্মাণী। শিবের স্খলিত বীর্য পেয়ে তিনি দেবী মনসাকে নির্মাণ করে নাগরাজ বাসুকিকে দিয়ে বলেন, ইনি তাঁর বোন।

‘মনসামঙ্গল’-এ বিশ্বকর্মা সাধারণত মনসার অনুগত। সিজুয়া পর্বতে তাঁর নগর পত্তন করেন বিশ্বকর্মা। এতে ময়দানবের কথা মনে আসে। ধর্মমঙ্গলে অনুরূপ কিছু প্রসঙ্গ আছে। বহু মধ্যযুগের রচনায় বন্দনা আছে বিশ্বকর্মার। মনসামঙ্গলে বেহুলার লোহার বাসর গড়েছেন চাঁদ সদাগরের নির্দেশে, আবার সেখানে ছিদ্র রেখে দিয়েছেন মনসার আদেশে।

বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটি ভাদ্র সংক্রান্তি। ওই দিন বাঙালি আরও দুটি পর্বে মাতে। মনসা পুজো আর ভাদু পুজো। দক্ষিণবঙ্গে ওই দিন রান্না পুজো। সেও মনসা পুজো। বিশ্বকর্মার মতো সরস্বতী পুজোকেও জহরবাবু অর্বাচীন মনে করেন। কিন্তু রামায়ণ-পাঁচালির কবি কৃত্তিবাসের আত্মকথায় ‘আদিত্যবার শ্রীপঞ্চমী পূর্ণ মাঘ মাস’-এ তাঁর জন্মদিন বলে উল্লেখিত। তা হলে?

অচিন্ত্য বিশ্বাস। কলকাতা-৯৪

॥ ৩ ॥

জহরবাবু লিখেছেন, ‘এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, এ কালের বিশ্বকর্মা পুজো শুরু হয়েছিল এই অঞ্চলে নানা রকম কারখানা তৈরির পর’। জহরবাবু এম এম ডানহিলের গবেষণা থেকে বোধহয় এই ধারণায় উপনীত হয়েছেন। তবে এই প্রসঙ্গে জানা যায়, বেদে বিশ্বকর্মা আমাদের পিতা ও জনক। পুরাণে বিশ্বকর্মা দেবশিল্পী। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে বিশ্বকর্মার জন্ম ব্রহ্মার নাভিদেশ থেকে। পুরাণান্তরে বিশ্বকর্মার জন্ম অষ্টবসুর অন্যতম প্রভাসের ঔরসে ও বৃহস্পতির ভগিনী বরবর্ণিনীর গর্ভে। রামায়ণে রামচন্দ্রের জন্য সমুদ্রবক্ষে সেতু নির্মাণকারী বানরশিল্পী নল বিশ্বকর্মার পুত্র। বিষ্ণুপুরাণ অনুসারে বিশ্বকর্মার পুত্র শিল্পী তুষ্ঠী। বায়ু ও পদ্মপুরাণ অনুসারে দৈত্যশিল্পী ময় বিশ্বকর্মার পুত্র। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে অপ্সরা ঘৃত্তাচীর অভিশাপে মর্তে এক ব্রাহ্মণীর গর্ভে বিশ্বকর্মার জন্ম হয় এবং বিশ্বকর্মার ঔরসেও মর্তে জন্ম নেওয়া গোপকন্যারূপী ঘৃত্তাচীর গর্ভে বিশ্বকর্মার কংস্কার, কর্মকার, কুম্ভকার, চিত্রকার, তন্তুবায়, মালাকার, শঙ্খকার, সূত্রধর ও স্বর্ণকার নামক নয় পুত্র জাত হয়। তাই, এ কালের বিশ্বকর্মা পুজো শুরু হয়েছিল এই অঞ্চলে কারখানা তৈরির পর, এটি বোধহয় ঠিক কথা নয়।

জহরবাবু সরস্বতী পুজো নিয়ে ‘বেশির ভাগ হিন্দুর স্বভাবে’র কথা বলেছেন, এবং এও বলেছেন, ‘বেদপ্রেমী হিন্দুদের...তথ্য মিলত’। দেবী সরস্বতী সম্বন্ধে যত দূর জানা যায়, তখন সৃষ্টির আদিকাল, পিতামহ ব্রহ্মা সৃষ্টির সংকল্প নিয়ে বসলেন ধ্যানে। জগৎ সৃষ্টির জন্য সৃষ্টি করলেন সাত জন মানসপুত্র। সৃষ্টির ধারাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে জন্ম দিলেন সাত জন মানসকন্যার। কন্যাদের মধ্যে এক জন দেবী সরস্বতী। সৃষ্টিকর্তা তাকে দেখেই মুগ্ধ হলেন। নিজের সৃষ্টিকে প্রশ্ন করে বসলেন, তুমি কে? দেবী উত্তরে জানালেন, আমি আপনার থেকে সৃষ্ট, তাই আমি আপনার কন্যা। আমার পরিচয় ও কাজ ঠিক করে দিন। তখন ব্রহ্মা বললেন, আজ থেকে তোমার অধিষ্ঠান হবে প্রথম রূপে পণ্ডিত ব্যক্তির জিহ্বাগ্রে। তোমার আশীর্বাদ পেলে মূর্খ পণ্ডিত হবে। দ্বিতীয় রূপে তুমি হবে নদী। তৃতীয় রূপে তুমি থাকবে আমার কাছে।

দেবীর আবির্ভাব নিয়ে নানা মত। বৃহৎ ধর্মপুরাণে দেখি, ব্রহ্মা ব্যাকরণ ছন্দ ইত্যাদি সৃষ্টির পর দেবীর আবির্ভাব হয়। ব্রহ্মা দেবীর কাছে তার আবির্ভাব বৃত্তান্ত জানতে চাইলে দেবী বলেন, শব্দব্রহ্ম থেকে তার উৎপত্তি, এবং তিনি ব্রহ্মার ভগ্নী। ব্রহ্মা তখন তাকে তুমি কবিদের মুখে বাস করো এবং নারায়ণের পত্নী হও বলে আশীর্বাদ করেন। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে মনসা ও সরস্বতীকে অভিন্ন কল্পনা করা হয়েছে। এই পুরাণে আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণই সর্ব প্রথম মাঘী শুক্লা শ্রীপঞ্চমী তিথিতে দেবীর পূজার প্রচলন করেন। শ্রীকৃষ্ণের কণ্ঠ হতে দেবীর উৎপত্তি। কিন্তু দেবী স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণকে কামনা করলে কৃষ্ণ তাকে নারায়ণের ভজনা করতে আদেশ করেন। নারায়ণের তাই লক্ষ্মী সরস্বতী ও গঙ্গা নামের তিন স্ত্রী। এক বার নারায়ণের প্রেম নিবেদন নিয়ে গঙ্গা ও সরস্বতীর মধ্যে প্রচণ্ড কলহ সৃষ্টি হলে পরস্পর পরস্পরকে মর্তে নদী হয়ে বাহিত হতে হবে বলে শাপ দেন। সেই থেকে মর্তে গঙ্গা ও সরস্বতীকে নদীরূপ ধারণ করতে হয়। জহরবাবু লিখেছেন, ‘বাংলায় ঘটা করে সরস্বতী পুজোর চল শুরু হয় স্কুল শিক্ষার প্রসারের পরিণামে উনিশ শতকের শেষের দিকে’। এই উক্তির যথার্থতায় সংশয় থেকেই যায়।

সুপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। রঘুদেবপুর, হাওড়া

॥ ৪ ॥

জহর সরকার লিখেছেন, ‘খাণ্ডবপ্রস্থকে তিনি (বিশ্বকর্মা) পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থে রূপান্তরিত করেছিলেন। সে মায়া এতটাই নিখুঁত ছিল যে, দুর্যোধন ভুলবশত একটা জলাশয়ে পড়ে যান।’ মহাভারতে কিন্তু ইন্দ্রপ্রস্থ বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেননি। দেবতাদের স্থপতি যেমন বিশ্বকর্মা, সে রকম দানবকুলের স্থপতির নাম ময়। এই ময় দানবই ইন্দ্রপ্রস্থ নগরী ও সভাগৃহ নির্মাণ করেন। দুর্যোধনও ভুলবশত জলাশয়ে প়ড়ে যাননি। মায়াময় সভাগৃহে স্ফটিকের বেদিকে জলাশয় ভেবে সাবধানে কাপ়ড় গুটিয়ে পা ফেলতে গিয়ে তিনি সশব্দে ভূপতিত হন।

বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায়। কুলটি, বর্ধমান

॥ ৫ ॥

জহর সরকার লিখেছেন, ‘একমাত্র বাঙালিই বিশ্বকর্মার পুজো করে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের একটি নির্দিষ্ট ধরাবাঁধা তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর।’ এমন তথ্য তিনি কোথায় পেলেন? বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটি ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে নির্দিষ্ট, ১৭ সেপ্টেম্বর নয়। ১৪১৮ ও ১৪২২ বঙ্গাব্দে ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো হয়েছিল।

অনাদি বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দুলী, বীরভূম

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

editorial
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE