Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

‘দঙ্গল’ ছবি সম্পর্কে প্রতিবেদনটি (‘কী দাপট!’, জাগরী বন্দ্যোপাধ্যায়, ১-১) পড়লাম। ছবির মুখ্য চরিত্র মহাবীর সিংহ ফোগতের স্বপ্ন ছিল তাঁর পুত্রসন্তান কুস্তিতে দেশের জন্য সোনা জিতে আনবে।

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

মন বুঝে তবেই তো

‘দঙ্গল’ ছবি সম্পর্কে প্রতিবেদনটি (‘কী দাপট!’, জাগরী বন্দ্যোপাধ্যায়, ১-১) পড়লাম। ছবির মুখ্য চরিত্র মহাবীর সিংহ ফোগতের স্বপ্ন ছিল তাঁর পুত্রসন্তান কুস্তিতে দেশের জন্য সোনা জিতে আনবে। চতুর্থবারও কন্যাসন্তান জন্মালে ওঁর আশার শেষ শিখাটিও নির্বাপিত হয়। কারণ, তিনি নিজেও সেই পিতৃতান্ত্রিক রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থার আর এক করুণ শিকার, যে মনে করে পালোয়ান মানে পুংলিঙ্গ। এর পর এক দিন পর্দার মহাবীরের হাড়ে-মজ্জায় সংক্রামিত পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কুস্তি লড়ে তাকে পরাজিত করে মহাবীরেরই নিয়মভাঙা মন। পালোয়ান-বাবা চিনতে পারেন ওঁর দুই মেয়ের শরীরের লম্বা বিনুনি আর সালোয়ার-কামিজের অভ্যন্তরে বসবাস করা পালোয়ানদের— যাঁদের প্রতিবাদের এবং প্রতিরোধের পদ্ধতি ছিল মারপিট করা। তাঁদের ভিতরে পালোয়ান হওয়ার সম্ভাবনা চিহ্নিত করার পরেই কঠিন অনুশীলন ও কড়া অনুশাসনের সমন্বয়ে শুরু হয় কুস্তির প্রশিক্ষণ, তার আগে নয়।

দ্বিতীয়ত, বাবা কন্যাসন্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যা ভাববেন, তাকেই শিরোধার্য করা উচিত— সিনেমায় এ জাতীয় কোনও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা দেখিনি। ছবির একটি দৃশ্যে গীতার সঙ্গে কথোপকথনে প্রতিবেশী নাবালিকাটি যা যা বলেছিল, সেই কথাগুলো অবশ্যই সমর্থনযোগ্য নয়। সে বাবা-মায়ের কাছে সন্তান হিসেবে নিজের অবস্থান সাপেক্ষে কথাগুলো বলেছিল। শুধু পিতৃঋণ শোধের উদ্দেশ্যে নয়। বরং এর পরে গীতা-ববিতার লড়াই শুরু হয় লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে। জীবনের প্রথম দঙ্গল লড়তে গিয়ে গীতা প্রতিদ্বন্দ্বীকে বলেছিল ‘ছোড়ি সমঝ্‌কে মত লড়না।’ অর্থাৎ, পালোয়ানের সঙ্গে পালোয়ানের প্রতিযোগিতা হোক। তার আত্মমর্যাদাবোধ তাকে দিয়ে এই কথা বলিয়েছিল।

পামেলা ভট্টাচার্য। কলকাতা-১৪৮

দাঁতখিঁচুনি

গাছপালা, জঙ্গল বেহিসেবি কাটার ফলে ঘরে বাইরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বানরকুল। মেদিনীপুরে এদের দৌরাত্ম্য অসহ্য। খাবার না পেয়ে গোপগড় এলাকা থেকে এরা পালিয়ে এসে রাঙামাটি, বিধাননগর, ইত্যাদি এলাকায় দিব্যি হাইজাম্প-লংজাম্প করছে। এদের দাঁতখিঁচুনি খেয়েই দিন শুরু করতে হয়। মুক্তি নেই?

সুদর্শন নন্দী। রাঙামাটি, মেদিনীপুর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE