Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

বাংলা তথা ভারতের গানের জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড সংরক্ষণের জন্য সংগ্রহশালা বা আর্কাইভ তৈরি করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

শতবর্ষের পথে হেমন্ত

• বাংলা তথা ভারতের গানের জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড সংরক্ষণের জন্য সংগ্রহশালা বা আর্কাইভ তৈরি করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই জন্য নিউটাউনে ‘রবীন্দ্রতীর্থ’ ধাঁচে তৈরি হোক ‘হেমন্ত তীর্থ’। এখানে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠুক ‘হেমন্ত সংগ্রহশালা’। সেই সংগ্রহশালায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সারা জীবনের কর্মকাণ্ড সংরক্ষণ করা হোক। এবং তা প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও হোক। ‘হেমন্তগীতি’ চর্চার জন্য একটি স্কুল করা হোক। এই ‘হেমন্ত তীর্থ’-র মধ্যে তাঁর নামে একটি প্রেক্ষাগৃহ (সিনেমা হল) তৈরি হোক। প্রতি বছর ১৬ জুন তাঁর জন্মদিন এবং ২৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদিন যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হোক। এবং ‘হেমন্ত-স্মৃতি পুরস্কার’ চালু করে, তা সঙ্গীতের কৃতী ব্যক্তিদের প্রদান করা হোক।

এক কথায় সম্পূর্ণ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়’কে চাই ‘হেমন্ততীর্থ’-র মধ্যে। তাঁর জন্ম ১৬ জুন ১৯২০ সালে। আর মাত্র দুই বছর পর ‘হেমন্ত মুখোপাধ্যায় জন্মশতবর্ষ’ শুরু হবে। সেই জন্য ‘হেমন্ত তীর্থ’ গড়ে তোলার তাগিদে আমি রাজ্যের শিল্পমনস্ক মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্তরিক অনুরোধ করছি।

বিশ্বনাথ বিশ্বাস কলকাতা-১০৫

মাইক বন্ধ হবে!

• যত দিন যাচ্ছে, আমরা সভ্য জীবনের শর্তগুলো হারিয়ে ফেলছি। (‘পিজি-তে রোগীরা অতিষ্ঠ...’, ২১-৪) হাসপাতালে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে, মেলা বসবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে বসবে বাজার, আবাসিক এলাকায় জনজীবন অতিষ্ঠ করে বাজবে মাইক, ফাটবে শব্দবাজি, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের ভান চলতে থাকবে, এখানে-ওখানে শব্দ মাত্রা পরিমাপ করা হবে, পরিসংখ্যান তৈরি হবে, এবং আমাদের জীবন চলবে আমাদের মতোই। মনে গেঁথে গিয়েছে, এটাই তো স্বাভাবিক। আশঙ্কা হয়, অন্য অনেক ঘটনার মতো পিজি-র ঘটনার পেছনেও হয়তো রাজনীতির ছায়া। চিকিৎসকরা অভিযোগ করলেও অধিকর্তা ব্যবস্থা নিতে কেন অক্ষম, সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়।

সৈকত রুদ্র কলকাতা-১১০

পুলিশের ভূমিকা

• শালবনি থানার ওসি’কে যে ভাবে গণ-পেটানো হয়েছে, তাতে একটা প্রশ্ন জাগে, কেন জনতা এতটা উত্তেজিত হল? যে দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা তার পেছনে পুলিশের কী ভূমিকা, সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত। এর আগে এই রকম একটি দুর্ঘটনার জন্যই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে কয়েকটি শিশুর প্রাণ গেছে। জনতা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। হাইওয়েতে পুলিশের যে গাড়িগুলো টহল দেয় তারা গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে ড্রাইভারদের খুবই হেনস্তা করে। এমন ঘটনা প্রায়শই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দেখি। এক জন পুলিশ কোনও একটি গাড়িকে দাঁড় করিয়ে, গাড়ির কাগজ চেক করছেন। বাকি দু’জন হাতে একটি লাঠি আর রাত হলে একটি টর্চ নিয়ে চলন্ত গাড়িগুলোকে দাঁড় করাবার চেষ্টা করেন। টর্চটা যে ভাবে ড্রাইভারের চোখে ফেলা হয় তাতে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশকে জিজ্ঞাসা করলে বলে যে, নাকা চলছে। নাকার হাত থেকে বাঁচতে ড্রাইভার/খালাসিরা দশ-কুড়ি টাকা পুলিশের হাতে গুঁজে দিয়ে খুব দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং অনেক সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তাই দুর্ঘটনা ঘটলে সব রাগ গিয়ে পুলিশের উপর পড়ে।

সমীরবরণ সাহা কলকাতা-৮১

নিয়োগ বন্ধ কেন

• স্বপনকুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, গোসাবা ব্লকের ৪৬টি মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে মাত্র ৬টিতে প্রধান শিক্ষক আছেন (‘সুন্দরবন’, সম্পাদক সমীপেষু, ১৬-৪)। রাজ্যের সর্বত্রই চিত্রটা প্রায় একই রকম। ২০১২-র পর স্কুল সার্ভিস কমিশন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য কোনও পরীক্ষা নেয়নি। সেই সময় ফাঁকা হওয়া স্থান পূরণ হয়নি। অথচ ওই পদে নিয়োগের পরীক্ষা বন্ধ থাকার কারণ অজ্ঞাত। অবিলম্বে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

পিন্টু ভট্টাচার্য বহিরগাছি, নদিয়া

শিরদাঁড়া সোজা

• ডা. সুব্রত গোস্বামীর (‘চাষিরা যদি শলভাসন করেন’, ১৩-৪) সুচিন্তার সূত্র ধরে সামান্য কিছু সংযোজন করছি। কৃষক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একই সমস্যায় ভয়ঙ্কর ভাবে আক্রান্ত বিড়ি শ্রমিক এবং তাঁত শিল্পীরা। দীর্ঘ সময় ঘাড় এবং কোমর নিচু করে কাজ করার জন্য স্বল্প সময়েই হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগে এঁরা আক্রান্ত হন। ঘাড়ের সমস্যা থেকে হাত ঝিনঝিন করে, শেষ পর্যায়ে অবশ হয়ে যায়। হাসপাতালের অস্থি বিভাগে এঁদের যখন পাওয়া যায় তখন অধিকাংশের কর্মক্ষমতা তলানিতে এসে ঠেকে। কাজের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

শুরুতে সামান্য কিছু পরামর্শ দিলে এঁদের কর্মক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা সম্ভব। বিড়ি শ্রমিকরা যেমন কোলের উপর কুলো রেখে বিড়ি বাঁধেন। শুরু থেকে একটা জলচৌকিতে কুলো রেখে বিড়ি বাঁধলে সমস্যা অনেক কম হবে। অর্থাৎ, ঋজু দেহভঙ্গিমায় কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। কাজের ফাঁকে সামান্য বিরতি দেওয়া প্রয়োজন। ঘাড় কোমরের কিছু ব্যায়াম, না হলে অন্তত দিনে ১০ মিনিট সাঁতার কাটার পরামর্শ দিলে সব ব্যায়ামের কাজ এক সঙ্গে হয়ে যাবে। এই ধরনের প্রাথমিক কিছু পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের ফিল্ডওয়ার্কার অথবা এনজিও মারফত পৌঁছে দিতে পারলে, এঁরা উপকৃত হতে পারেন।

সুজিত সাহা অশোকনগর, উত্তর ২৪ পরগনা

প্রথম মুখ্যমন্ত্রী

• ‘সংকটে শিলঙের ব্রাহ্মসমাজ’ (২৪-৪) শিরোনামে প্রকাশিত পত্রে বিধানচন্দ্র রায়কে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী লেখা হয়েছে। তথ্যটি ঠিক নয়। প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ।

মিহিরকুমার চক্রবর্তী কলকাতা-৯৭

কেরোসিন বন্ধ

• কেরোসিন তেল রেশনে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এখনও পশ্চিমবঙ্গে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁদের ঘরে গ্যাস রাখার ক্ষমতা নেই, তাঁরা কেরোসিন তেলে রান্না করেন। কেরোসিন তেল বন্ধ না করলে অনেক গরিব মানুষ উপকৃত হবেন।

সুরশ্রী চক্রবর্তী কলকাতা

জল পাব না?

• নদী থেকে সাড়ে ছয় কিমি দূরত্বে পাইপলাইন পাতার কাজ চলছে, অথচ রামনগর গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের গ্রামে একটা পানীয় জলের কল দাবি করছেন, তা তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না (‘প্রতিরোধে ফের বন্ধ পাইপ পাতা, ১৪-২)। পুরুলিয়ায় ওয়াটারওয়ার্কস স্থাপিত হয় ১৯৬৫ সালে। তার আগে আমরা সাহেব বাঁধের জল খেতাম। সাহেব বাঁধ খনন করা হয়েছিল ১৮৪৩-৪৮’এর মধ্যে। তারও আগে ১৮৩৩ সালে মানভূম জেলার জন্ম হয়। ১৮৩৩-১৮৪৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ পনেরো বছর এবং তারও আগে মানুষ কীসের জল পান করতেন আমার জানা নেই। হয়তো কুয়োর জল পান করতেন। আজও গ্রামের মানুষ কুয়োর জল পান করেন। রামনগর গ্রামের মানুষের কাছে যখন সুযোগ এল নদীর জল পান করার তখন তাঁদের বঞ্চিত করা হবে কেন?

গত দু’বছর ধরে পুরুলিয়া শহরে পাইপলাইন পাতার কাজ চলছে। বলা হয়েছিল ২০১৬ সালে ঘরে ঘরে জলের সংযোগ দেওয়া হবে। কোথায় কী?

অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় আমলাপাড়া, পুরুলিয়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE