Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

প্রকৃত ঘটনা, ১৯০৬-’০৭ সালের শেষে পি মিত্রের সভাপতিত্বে নিখিল বঙ্গ বিপ্লবী দলের সম্মেলন হয়। এই জমায়েতে যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় যোগদান করেন। ক্রমশ কলকাতার প্রধান বিপ্লবী কেন্দ্রগুলি যতীনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্রমজীবী সমবায় বলে বিপ্লবী কেন্দ্রে নদিয়া জেলার পোড়াগাছা গ্রাম নিবাসী মুড়াগাছা হাইস্কুলের ছাত্র বসন্ত বিশ্বাস ও মন্মথ বিশ্বাস এসে যোগদান করে।

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৭ ০০:৪৩
Share: Save:

বয়সটা কিন্তু পড়ার

একটু ঝিরঝিরে বৃষ্টির শেষে মাঠের মধ্যে মাটির নীচে লুকিয়ে থাকা এক প্রকারের গুগলি (সাধারণ গুগলির চেয়ে বড়, স্থানীয় ভাষায় বলে ‘গ্যাড়া’) বৃষ্টিতে মাটির বাইরে অর্ধেক বেরিয়ে আসে। তা বাড়ি নিয়ে গিয়ে ভেতরের মাংসল অংশটাকে রান্না করে উত্তম খাদ্য হিসেবে পাতে পরিবেশিত হয়। সঙ্গের ছবিটিতে বাচ্চা মেয়েরা জমি থেকে গ্যাড়া সংগ্রহ করেছে। এই বয়সটায় কিন্তু ওদের পড়াশোনা ও খেলাধুলো করার কথা। অথচ বড়দের মতো এরাও ‘খাদ্যানুসন্ধান’ কী, তা রপ্ত করে ফেলেছে। তাই সঙ্গীতা-নন্দিতা-মলিনারা বাড়ির বাইরে খাবারের খোঁজে বেরিয়েছে। ছবিটি ৬০ নং জাতীয় সড়কের পাশে খড়্গপুর গ্রামীণের অন্তর্গত বালিগেড়িয়া মৌজার।

ফাল্গুনীরঞ্জন রাজ

খড়্গপুর

রাসবিহারী বসু

লেখা হয়েছে, বসন্ত ধরা পড়ার পরেই রাসবিহারীও বুঝতে পারেন সশস্ত্র আন্দোলন চালানো সম্ভব হবে না (‘বিপ্লবের পথে ভাস্কর’, আনন্দ প্লাস, ২৬-৬)। তাঁর মৃত্যুর পরও রাসবিহারী বসু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আন্দোলন ছেড়ে তিনি জাপানে পাড়ি দেন। এই তথ্য কিন্তু সত্য নয়। প্রকৃত ঘটনা, ১৯০৬-’০৭ সালের শেষে পি মিত্রের সভাপতিত্বে নিখিল বঙ্গ বিপ্লবী দলের সম্মেলন হয়। এই জমায়েতে যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় যোগদান করেন। ক্রমশ কলকাতার প্রধান বিপ্লবী কেন্দ্রগুলি যতীনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্রমজীবী সমবায় বলে বিপ্লবী কেন্দ্রে নদিয়া জেলার পোড়াগাছা গ্রাম নিবাসী মুড়াগাছা হাইস্কুলের ছাত্র বসন্ত বিশ্বাস ও মন্মথ বিশ্বাস এসে যোগদান করে। কর্মসূত্রে দেহরাদূন থাকার সময় থেকেই রাসবিহারী উত্তর ভারত, পঞ্জাব ও মহারাষ্ট্রে বিপ্লবী দল গড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। রাসবিহারী বসন্তকে দেহরাদূনে নিয়ে যান ও তাঁকে নিজের হাতে তৈরি করেন।

১৯১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর হিন্দুস্থানী মহিলার বেশে দিল্লিতে বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জের শোভাযাত্রা যাওয়ার পথের ধারে স্বয়ং রাসবিহারী মহিলার সাজে বসন্তকে সাজিয়ে রেখেছিলেন, যাতে বসন্ত বড়লাটের উদ্দেশ্যে বোমা ছুড়তে পারে। কিন্তু বড়লাট বেঁচে যান। পাঁচ মাস পর ১৯১৩ সালের ১৭ মে লাহৌরের লরেন্স গার্ডেনে বসন্ত বোমা রেখে আসে কোনও ইউরোপিয়ানকে হত্যার উদ্দেশ্যে। সেটাও ব্যর্থ হয়। এর পর বসন্ত পোড়াগাছায় ফিরে এলেও এক আত্মীয়র বিশ্বাসঘাতকতায় কৃষ্ণনগরে গ্রেফতার হন। দিল্লি ষড়যন্ত্রের অন্যতম আসামী হিসেবে পুলিশ তাঁকে দিল্লি পাঠায়। ১৯১৪ সালের ১৬ মার্চ বসন্ত বিশ্বাস, আমীরচাঁদ, অবোধবিহারী, বাল মুকুন্দ এবং আরও সাত জনকে রাজদ্রোহ, হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ১৯১৫ সালের ১১ তারিখে অম্বালা জেলে চার জনেরই ফাঁসি হয়।

উল্লেখযোগ্য, ১৯১৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে রাসবিহারী পঞ্জাবে গিয়েছিলেন অমৃতসরের পরিবর্তে লাহৌরে গোপন কেন্দ্র তৈরি করতে। পঞ্জাবের বিপ্লবীরা স্থির করেন, রাসবিহারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সেনা ব্যারাকে সশস্ত্র অভ্যুত্থান ও অন্যান্য কর্মসূচি রূপায়ণ করবেন। কিন্তু পুলিশের চর দলে ঢুকে দিনক্ষণ ফাঁস করে দেওয়ায় ২১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে আঘাত হানার দিন দু’দিন এগিয়ে আনা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হয়নি। তখন রাসবিহারীর সহযোগীরা সিদ্ধান্ত নেন তাঁকে এই দেশে রাখা ঠিক হবে না। বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যাল ‘বন্দীজীবন’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডে লিখছেন, ‘রাসুদা প্রথমে বিদেশে যাইবার প্রস্তাবে তেমন সম্মত হন নাই; তিনি আরও কিছু দিন অপেক্ষা করিতে চাহিতেছিলেন; কিন্তু আমাদের অনুরোধ শেষ পর্যন্ত অগ্রাহ্য করেন নাই। কেমন করিয়া, কবে এবং কোথায় যাইতে হইবে এ সব রাসুদার সহিত দেখা হইবার পর ঠিক করা হয়। কথা থাকে রাসুদা বিদেশে গিয়াই সর্বপ্রথম যথেষ্ট পরিমাণে মসার (Mausser) পিস্তল ও তাহার গুলি পাঠাইয়া দিবেন এবং পরে বিপ্লবের জন্য উপযুক্ত পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র পাঠাইবার বন্দোবস্ত করিতে পারিলেই তিনি দেশে চলিয়া আসিবেন।’

রাসবিহারী বসুর লেখা ‘রাসবিহারীর আত্মকথা’, যা বিপ্লবী মতিলাল রায় সম্পাদিত ‘প্রবর্তক’ পত্রিকায় ১৩৩১ সালের জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল, (যা মৎলিখিত রাসবিহারী বসুর ‘জীবনকথা ও রচনাসংগ্রহ’ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত), তিনি লিখছেন, ‘এ বার কিন্তু আমি নিজেই বিদেশে না গেলে নয়, এটা স্থির করি। তার কারণ দুইটি। একটি এই যে— আমার নিজের ‘experience’-এ দেখিয়াছি যে কেবল দেশীয় সেনার দ্বারা তখন আর revolution হইতে পারে না। Civilians-রা অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ যথেষ্ট পরিমাণে না পাইলে কখনই Successful revolution আমরা আনিতে পারিব না। দ্বিতীয় উদ্দেশ্য টাকার ব্যবস্থা করা।’ সুতরাং, সশস্ত্র বিপ্লবের প্রতি আস্থা হারিয়ে তিনি বিদেশে চলে যাননি।

সব শেষে, বসন্ত বিশ্বাসের ফাঁসি দিনই রাসবিহারী জাপান যাত্রা করেননি। বসন্ত বিশ্বাসের ফাঁসি হয় ১৯১৫ সালের ১১ মে আর রাসবিহারী বসু ১৯১৫ সালের ১২ মে ‘সানুকি মারু’ নামে জাহাজে জাপান যাত্রা করেন।

অসিতাভ দাশ

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, নদিয়া

স্কাইওয়াক

বরাহনগরে (ডালনপ) সুসংহত বাসস্ট্যান্ড ও স্কাইওয়াক দরকার। এখানে পাঁচ জায়গায় বাস দাঁড়ায়, তিনটি অটো স্ট্যান্ড, একটি রেলস্টেশন। শীঘ্র মেট্রো স্টেশনও চালু হতে যাচ্ছে। অদূরেই তিনটি বাসস্ট্যান্ডও রয়েছে।

প্রবীরকুমার সাহা

ডানলপ

জয়পুরিয়া কেন

‘ভর্তিতে টাকার খেলা, উদ্বেগ নেই প্রশাসনের’ (২৬-৬) সংবাদে জয়পুরিয়া কলেজের নাম যুক্ত করায় আমরা যৎপরোনাস্তি বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাদের কলেজের ভর্তি সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক। জয়পুরিয়া কলেজের মতো বৃহৎ একটি কলেজের ভর্তিতে অনলাইনের যে সুষ্ঠু ও ব্যাপক ব্যবহার সার্থক ভাবে অনুশীলন করা হচ্ছে, তা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বহু কলেজেই করা হচ্ছে না। তা ছাড়া আমরা এও নিশ্চিত করতে পারি যে, কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরের কোনও দুর্নীতি কলেজের অভ্যন্তরীণ ভর্তি প্রক্রিয়াকে কোনও ভাবেই প্রভাবিত করতে পারবে না।

অশোক মুখোপাধ্যায়

অধ্যক্ষ ও শিক্ষক পরিষদের সদস্যবৃন্দ

প্রতিবেদকের উত্তর: প্রতিবেদনে ডিএসও-র রাজ্য সহ-সভাপতি সামসুল আলম কলকাতার অন্য কয়েকটি কলেজের সঙ্গে জয়পুরিয়া কলেজেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। আমরা জানিয়েছিলাম, কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আপনার চিঠিতেও সেই দাবিই আবার করা হয়েছে।

দুটি ভুল

আমার ‘ভাষা চাপিয়ে দেওয়া যায় না’ (২১-৭) লেখাটিতে দুটি প্রমাদ থেকে গেছে। এক, ভারতের ‘ত্রিভাষা নীতি’ কোঠারি কমিশনের সুপারিশের পর ১৯৬৮ সালে প্রচারিত হয়েছিল। দুই, এখন ভারতের অষ্টম শিডিউলের ভাষা ২২টি। পাঠকদের কাছে মার্জনা চাই।

পবিত্র সরকার

কলকাতা-৮৪

ভ্রম সংশোধন

আনন্দ পাবলিশার্স ‘অশ্বনামা’ (পুস্তক পরিচয়, ২৩-৭ ) বইটির প্রকাশক,
পরিবেশক নয়। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Letters To Editor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE