Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

কিন্তু এমন অনেক চিকিৎসক আছেন, যাঁরা একসঙ্গে চার-পাঁচ জন রোগীকে চেম্বারে প্রবেশের অনুমতি দেন। এর পর সামনে বসে থাকা রোগীদের মধ্যে থেকে এক-এক জন করে চিকিৎসা করেন।

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

একাধিক রোগী কেন

চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে শুধুমাত্র এক জন রোগীরই প্রবেশাধিকার থাকে। প্রয়োজনে রোগীর সঙ্গে তাঁর পরিবারের এক জন প্রবেশ করতে পারেন। বেশির ভাগ চিকিৎসকই তাঁর চেম্বারে এ ভাবেই রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকেন।

কিন্তু এমন অনেক চিকিৎসক আছেন, যাঁরা একসঙ্গে চার-পাঁচ জন রোগীকে চেম্বারে প্রবেশের অনুমতি দেন। এর পর সামনে বসে থাকা রোগীদের মধ্যে থেকে এক-এক জন করে চিকিৎসা করেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে চিকিৎসক রোগীর কাছে তাঁর সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চাইলে রোগী তা অবশ্যই জানাবেন। কিন্তু রোগীর এমন অনেক বিষয় থাকে, যা চিকিৎসককে নিঃসঙ্কোচে বলা গেলেও, বাইরের লোকের সামনে বলা যায় না। তাই যে সব চিকিৎসক এই ভাবে রোগীর চিকিৎসা করেন, তাঁরা দয়া করে বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবুন।

সত্যকিংকর প্রতিহার যমুনা, দেশড়া, বাঁকুড়া

আর এসো না মা

গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় দীঘা থেকে বাসে গড়িয়া ফিরছিলাম। রাত পৌনে ন’টা নাগাদ মালঞ্চ সিনেমা হলের সামনে বাস থমকে দাঁড়াল। কারণ, সামনে মা দুর্গার ভাসানের মিছিল যাচ্ছে। ভুল বললাম, মিছিল যাচ্ছে না, আসলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর দুটি ক্লাবের মধ্যে আতসবাজি পোড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান রাস্তাটির উপর সমস্ত যানবাহনকে নিশ্চল করে দিয়ে। শব্দদূষণ? বায়ুদূষণ? পরিবেশ দূষণ? আইন? ফুঃ!

রাস্তাটির দু’পাশে গায়ে-গায়ে লাগানো হাইরাইজ, সামনে-পিছনে বিশাল যানবাহনের লাইন, তার মধ্যে আতসবাজি পোড়ানোর ধোঁয়ায় চতুর্দিক আবছা। বাসের মধ্যে মনে হচ্ছিল, অন্ধকূপে বসে আছি। শ্বাস নিতে প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল। বাসে প্রায় দশটি শিশু ছিল। সর্বকনিষ্ঠটি আট-ন’মাসের হবে। সবচেয়ে বড়টি বড়জোর বছর ছয়েকের। তাদের অবর্ণনীয় কষ্ট চোখে দেখা যাচ্ছিল না। সাইকেডেলিক আলো, বিশাল বিশাল বক্স থেকে বেরনো উদ্দাম হিন্দি গানের সুর, মাথায় ফেট্টি, কানে দুল পরা ডিজের নৃত্যবিভঙ্গ উন্মত্ত করে তুলছে মিছিলকে।

কোথায় যেন শুনেছিলাম, বিসর্জনের মিছিলে ডিজে নিষিদ্ধ! সে বোধ হয় আমাদের এখানে নয়, অন্য কোথাও। যা-ই হোক, বেশি ক্ষণ নয়, মাত্র এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিট ধরে আমাদের এই যমযন্ত্রণা সইতে হয়েছে। এত দিন বিসর্জনের সময় মনে মনে বলতাম, ‘আসছে বছর আবার এসো মা’। এ বার বললাম, ‘আর এসো না মা’।

পরিমল সমাদ্দার কলকাতা-৯৬

টিকিট দেখুন

দিন কয়েক আগে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটি। টিকিট কেটে দেখি ইস্যু করার সময় সকাল ৫টা। যার বৈধতা ৭টার সময় শেষ হয়ে গেছে। কনফার্ম করার পর হাতে ঠিক সময় লিখে সই করে দিল, যার আসলে কোনও মূল্য নেই। হাতে সময় ছিল না বলে ঝামেলা করতে যাইনি। টিকিট কাউন্টার সংগৃহীত টিকিট দিয়ে কি দু’নম্বরি ব্যবসা চালাচ্ছে? উত্তর জানা নেই। কিন্তু সবাইকে অনুরোধ করছি, টিকিট কাটার সময় লক্ষ রাখবেন। টিটিই/টিসি ধরলে কাউন্টারের সই কিন্তু মানবে না।

অনির্বাণ ভট্টাচার্য বেঙ্গালুরু

পদ্মের মুকুল?

কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হবার সময় থেকেই দিদির পাশে বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গী হিসাবে ছিলেন মুকুল রায়। দীর্ঘ বাম জমানার অপশাসন দূর করে বাংলার বুকে নতুন সরকার গঠন করার সময়ও দিদির সেনাপতি ছিলেন মুকুল রায়। দল ক্ষমতায় আসার কয়েক বছরের মধ্যেই দলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীদের নাম সারদা-নারদার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়। সেই সঙ্গে এই সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের নামও যুক্ত হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউ দোষী প্রমাণিত হয়নি, তবুও সারদা-নারদার ইডি-সিবিআইয়ের তদন্তের নামে যা চলছে, তাতে অনেক নেতাই ভীত-সন্ত্রস্ত। এক দিন যাঁরা বাংলার পরিবর্তনের জন্য দিদির সেনাপতির ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁরা আজ দলে ব্রাত্য। মদন-মুকুল-মমতা আর কেউ বলবে না। একটা দল মাত্র ছ’বছর ক্ষমতায় এসে এত কেন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হবে? দলের নেতা-মন্ত্রীরা এত বিপুল সম্পত্তির মালিকই বা হলেন কী ভাবে?

আমার মনে হয় মুকুলবাবু ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। বাংলার মানুষ চোরকে তাড়াতে গিয়ে যে ডাকাতকে নিয়ে এসেছে, সেটা উনি বোধ হয় বুঝেছেন। উন্নয়ন হয়তো অনেকটাই হয়েছে। কিন্তু সরকারের দেনা বাম জামানার থেকে অনেক বেশি। কারণ পরিকল্পনাহীন দান-খয়রাতি আর উৎসব-অনুষ্ঠান করে দেনা যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেটা বাংলার মানুষ এ বার বোধ হয় বুঝতে পারবে।

মুকুলবাবু বিজেপিতেই যাবেন এবং তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলায় আবার পরিবর্তনের জোয়ার আনবেন। তাই জোড়া ফুলের মুকুল ঝরে গেলেও বাংলায় উনি পদ্ম হয়ে ফুটবেন।

চিত্তরঞ্জন মান্না ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর

সন্ত্রাসের সংজ্ঞা

মিহির কানুনগোর লেখায় (‘ঠিকই তো করেছে’, সম্পাদক সমীপেষু, ৭-১০) দু’একটি জিনিস পরিষ্কার হলে ভাল হত। রোহিঙ্গা বিতাড়নে হতাশা বোধ করছেন না ‘বাকি কোটি কোটি মানুষ’— এই পরিসংখ্যান তিনি কোথা থেকে পেলেন? যারা ‘মানবাধিকারের পূজারী’, তারা নিশ্চিত ভাবেই উগ্র জাতীয়তাবাদের ওপরে মানুষকে স্থান দেন। বীর সৈনিকরা নিহত হলে তাঁরা কষ্ট পান; কষ্ট পান অ‘জঙ্গি’ কাশ্মীরি মেয়েদের ছররা গুলিতে অন্ধ হয়ে যেতে দেখেও।

মোদী সরকারের সমালোচনা শুধু প্রতিবেশী দেশেরই অধিকার? যাঁদের ভোটে এই সরকার স্থাপিত হল, প্রতিবাদ করলেই তাঁরা ‘তথাকথিত’? পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র— ঠিকই; কিন্তু এর সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যার যোগ কোথায়? মিহিরবাবুর একটি বক্তব্যে আমি একমত। একশো জন সন্ত্রাসী ধর্মীয় আবেগ দিয়ে দশ হাজার জনকে সন্ত্রাসী করে তুলতে পারে। গত তিন বছর এই আবেগের বহিঃপ্রকাশ সারা দেশ জুড়ে দেখছি। নরেন্দ্র দাভোলকার, গোবিন্দ পানসারে, এম এম কালবুর্গি, গৌরী লঙ্কেশ...। সন্ত্রাস মানেই কাশ্মীর, সন্ত্রাসবাদী মানেই আইসিস— এই সংজ্ঞা কিন্তু পালটে যাচ্ছে।

দেবাশিস মিত্র কলকাতা-৭০

মুগ্ধ হতে হয়

আমরা সব সময় বলি পৃথিবীটা অ-সুন্দর হয়ে গিয়েছে। শুধু মানুষে মানুষে হানাহানি, রেষারেষি আর হিংসা। কেন এ রকম হল?

কয়েক দিন আগে আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘সম্পাদক সমীপেষু’ বিভাগে একটা চিঠি পড়ে অবাক হয়ে গেলাম। সেই সময় মুম্বইয়ে অবিরাম বর্ষণ ও সমুদ্রস্ফীতির কারণে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কথা জেনে আমরা শিউরে উঠছি। এক ভদ্রলোকের ছেলে মুম্বইবাসী এবং তাঁর কর্মস্থল কুরলায়। কিন্তু সে দিন প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে তিনি কুরলা থেকে কোনও ভাবে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে পারেননি। ৯-১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকতে বাধ্য হন। আরও কয়েক জনের অবস্থাও তথৈবচ। যা-ই হোক, সেখানকার অধিবাসীদের ওই বিপদগ্রস্ত মানুষগুলির প্রতি আন্তরিক ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হতে হয়। ওঁরা যে যার ঘরে খিল তুলে দেননি, বরং পরম মমতায় ওঁদের জন্য খাবার বানিয়ে, খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেন। সর্বোপরি তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও করে দেন। একি গল্প না সত্যি? সেই সব ভাল মনের মানুষদের ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করব না, ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জানাব।

অলি বন্দ্যোপাধ্যায় নদীকূল, নিমতা

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE