Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০-৬০০ জন যাত্রী এই খেয়া পারাপার করে। চণ্ডীপুরের পার্শ্ববর্তী দুটি গ্রাম বটতলী ও বিপ্রদাসপুরের মানুষও এই খেয়ার উপর নির্ভরশীল।

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০৫
Share: Save:

এই দুর্ভোগ দূর করুন

সোনাখালি ও বাসন্তীর উপর দিয়ে বয়ে চলা হোগল নদীর একটি শাখা নদী কর্তাল নদী। এই নদীর দু’পাড়ে দুটো অঞ্চল মসজিদবাটি ও চণ্ডীপুর। দুটি অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম নদী পারাপার করা একটি খেয়া নৌকা। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০-৬০০ জন যাত্রী এই খেয়া পারাপার করে। চণ্ডীপুরের পার্শ্ববর্তী দুটি গ্রাম বটতলী ও বিপ্রদাসপুরের মানুষও এই খেয়ার উপর নির্ভরশীল। এই নদী পার হয়ে গদখালি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে বাসে করে ক্যানিংয়ে আসতে হয়। এই রকম একটা ব্যস্ত নদীর উপর একটি মাত্র ছোট্ট ডিঙি নৌকা। তার উপর মসজিদবাটি ফেরিঘাটের বেহাল অবস্থা। ইটের ধাপ কেটে তৈরি ঘাট (সঙ্গের ছবিতে)। নদীতে ভাটার সময় জলস্তর অনেক নীচে নেমে যায়, যাত্রীদের ওঠানামা করতে খুবই অসুবিধা হয়। দুটি ঘাটে কোনও আলোর ব্যাবস্থা না থাকায় রাত্রিবেলা যাত্রী ও নৌকা চলাচল প্রবল ভাবে ব্যাহত হয়। দুই পারে যাত্রীদের জন্য কোনও প্রতীক্ষালয় নেই, ফলে রোদবৃষ্টিতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এই রকম একটা ব্যস্ত খেয়াঘাটের দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হয়। গড়ে উঠুক যাত্রী প্রতীক্ষালয়। আলো জ্বলে উঠুক দু’পারেই, আর হাসি ফুটুক যাত্রীদের মনে।

মেহেদি হাসান মোল্লা বটতলী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

স্বচ্ছ ভারত

গত ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর ‘স্বচ্ছ ভারত’ কার্যক্রমের তিন বছর পূর্ণ হল। প্রধানমন্ত্রী কার্যত বুঝে গিয়েছেন উপর থেকে চাপিয়ে এই দেশকে স্বচ্ছ করা যাবে না। ওই দিনের বক্তৃতায় বলেছেন একশো মহাত্মা গাঁধী, এক হাজার নরেন্দ্র মোদী, দশ হাজার মুখ্যমন্ত্রী মিলেও দেশকে স্বচ্ছ করতে পেরে উঠবেন না, যদি না একশো পঁচিশ কোটি ভারতবাসী পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে।

শুধু শৌচালয় তৈরি করে ভারত স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন কলুষমুক্ত হবে না, কিংবা নেতা মন্ত্রী সরকারি আমলা সংবাদমাধ্যমের সামনে একটুখানি জায়গায় ঝাঁটা হাতে হাত ঘোরালেই রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন হবে না। মানুষকে বুঝতে হবে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করার প্রয়োজনীয়তা, অনাবিল আনন্দ উপলব্ধি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও দিল্লি ঘুরে এলাম। শহরগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল ছাড়া সাধারণের বসবাসের স্থান, পথঘাট গলিরাস্তা অপরিচ্ছন্ন, দেওয়াল জুড়ে গুটখা খইনির পিক, রাস্তার যেখানে সেখানে থুতু কফ আর স্টেশনচত্বরগুলো যেন ডাস্টবিন। এই বাংলাও একই রকম দোষে দুষ্ট, তবে এ ধরনের নোংরা যেন কিছুটা কম। দিল্লি মেট্রোতে থুতু ফেললে দুশো টাকা জরিমানার কথা লেখা আছে কিন্তু বাইরের রাস্তা দিয়ে থুতু বাঁচিয়ে হাঁটা কঠিন।

জনগণ তাদের অভ্যাস যদি না পাল্টাতে পারে, সুপরিবেশে বসবাসের মানসিকতা তৈরি না করে, পরিচ্ছন্নতার মূল্য সম্বন্ধে সম্যক উপলব্ধি না ঘটে, তা হলে হাজার চেষ্টাতেও এই দেশ স্বচ্ছ হবে না। তথ্য বলছে, নগর-ভারত প্রতিদিন এক লক্ষ একান্ন হাজার আটশো একত্রিশ টন কঠিন বর্জ্য উত্পন্ন করে। পরিবেশ সুস্থ রাখতে এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ঠিকমত সংগ্রহ এবং তার পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণ দরকার। সর্বোপরি, স্বচ্ছ ভারতের জন্য চাই স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সুস্থ মানসিকতা।

ত্রিদিব মিশ্র শান্তিনিকেতন, বীরভূম

স্কুলের শিক্ষকরা?

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর সম্প্রতি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের (কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি বা সরকার অনুমোদিত) শিক্ষকদের সপ্তম পে-কমিশন অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি প্রদানের কথা ঘোষণা করেছেন (১১-১০)। তিনি জানিয়েছেন, এই স্তরের শিক্ষকদের বেতনবৃদ্ধির ফলে উচ্চশিক্ষার প্রভূত মানোন্নয়ন ঘটবে।

দেশের শিক্ষা দফতরের নাম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। স্কুলশিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত পুরো শিক্ষা ব্যবস্থারই মূল নীতি নির্ধারক হলেন এই মন্ত্রণালয়। তা হলে, শিক্ষার মূল ভিত্তি যে ‘স্কুলশিক্ষা স্তর’ বলে বিভিন্ন ‘শিক্ষা কমিশন’ বা ‘ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি’তে খুবই জোরের সঙ্গে মত প্রকাশ করা হয়েছে, সেটা কি দেশের শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে কেবলই কথার কথা? তা যদি না হবে, তা হলে শিক্ষা মন্ত্রক কেবল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনবৃদ্ধির কথা বলছেন; কিন্তু, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি রচয়িতা রাজ্যের স্কুলশিক্ষকদের বেলায় পে-কমিশনের বিষয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক নীরব কেন?

বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা জারি ও তা পালনের ক্ষেত্রে রাজ্যের স্কুলশিক্ষকদের বাধ্য করা হয়! যেমন ১) স্কুলশিক্ষকদের কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিই নির্ধারিত যোগ্যতা মান থাকতে হবে; ২) কেন্দ্রীয় সরকারি নিয়মানুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হওয়া বাধ্যতামূলক; ৩) স্কুলে পড়াতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী অর্থাৎ, স্কুলের পাঠক্রম রচনা ও রূপায়ণের ক্ষেত্রে এটাকেই অনুসরণ করতে হয়; ৪) স্কুল শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশিকার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং-এর নির্দেশিকা মানতে হয়। অথচ, দীপাবলির রোশনাই প্রজ্বলনের ব্যাবস্থা কেবল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য, রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের প্রাপ্য ঘন অমাবস্যা! কার্যত, স্কুলে পাঠদান কার্যে কর্মরত ব্যক্তিদের ‘শিক্ষক’ বলতেই যেন রাজি নন দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক! বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, এই মন্ত্রকের কাছে ‘শিক্ষক’ মানে কি যাঁরা কেবল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান?

সাবির চাঁদ রেজিনগর, মুর্শিদাবাদ

চাই সংযম

হাজার কুর্নিশ রিচার্ড এইচ থেলারকে, যিনি এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। যুক্তিহীন অর্থের অপচয় এখন সারা পৃথিবীতে সংক্রামক রোগের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের অধ্যাত্মবাদের দেশেও ভোগবাদের রমরমা ব্যবসা। আয় বুঝে ব্যয় করার দর্শন এখন ক’জন মেনে চলেন? এই অপচয়ের নেশা কিন্তু ব্যবসাভিত্তিক বিজ্ঞাপনের ফসল। ইচ্ছাকে দমন করতে হবে। অবশ্য অনাবশ্যক ইচ্ছা। এই নীতি শুধুমাত্র অর্থনীতির ক্ষেত্রেই নয়, সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আগ্রাসন, অন্যের ক্ষতিসাধন, আকাশছোঁয়া আকাঙ্ক্ষা, কোনও ক্ষেত্রেই অহেতুক ইচ্ছাকে ডানা মেলতে দেওয়া যাবে না। এই অহেতুক ইচ্ছার দাস হয়ে মানুষ তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। ‘উদারপন্থী নিয়ন্ত্রণবাদ’-এ সংযমের বাণী শুনিয়েছেন থেলার। অর্থনীতির সঙ্গে মনস্তত্ত্বের মিশেলে তৈরি হয়েছে এই নীতি। দেখা যাক, কতটা ফলপ্রসূ হয়।

অর্চনা ভট্টাচার্য স্ক্রুকেড লেন, চুঁচুড়া, হুগলি

মোহরকুঞ্জ

‘অবহেলার মোহরকুঞ্জে বিকল ঝরনা’ সংবাদটি (১১-১০) পড়ে মন ভারাক্রান্ত হল| মনে পড়ে গেল ২০০৫ সালের এক বৈশাখী সন্ধ্যার ঘটনা| মোহরকুঞ্জে সুরেলা ঝরনাটির প্রস্তুতিপর্ব চলছিল| যে সংস্থা সেটি প্রস্তুত করছিল, রাত দশটা নাগাদ তাদের এক জনের সঙ্গে অন্ধকার জনশূন্য কুঞ্জের নির্মীয়মাণ সুরেলা ঝরনাটির কাছে এলাম| আসার উদ্দেশ্য, বাছাই পর্বের পর, ঝরনাটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া আমার গাওয়া একটি গান একান্ত ভাবে শোনা। ঝরনার জলের সঙ্গে আলো আর সংগীতের অসাধারণ মিশ্রণ মুগ্ধ হয়ে দেখলাম, শুনলাম| কিছু দিন পর যখন সুরেলা ঝরনাটি সকলের জন্য অবারিত হল, খবর পেলাম সেটি খুব জনপ্রিয় হয়েছে অনেকের মাঝে বসে দুদিন উপভোগ করলাম আলোকিত ঝরনার বিভিন্ন ভঙ্গিমার সঙ্গে মিশ্রিত বিখ্যাত সব গান, নিজেরটিও।

এ সব অনেক দিন আগের কথা। হঠাৎ বেশ কিছুদিন আগে শুনলাম, ঝরনাটি নাকি বিকল হয়েছে, সারানো হবে| জানতাম না ওটা এখনও বিকল হয়ে আছে। আশা করব খুব শীঘ্র চালু হবে।

দেবনাথ চৌধুরী কলকাতা-৯৪

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE