আর অন্য মাছেরা?
বেশ কিছু দিন ধরে সরকারি প্রচারমাধ্যমে ক্রমাগত প্রচার চালানো হয়েছিল— নয় ইঞ্চির কম দৈর্ঘের অথবা পাঁচশো গ্রামের কম ওজনের ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি করা, এমনকী কেনাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা নাকি সেই সময় বাজারে বাজারে হানা দিয়ে খোকা-ইলিশ বিক্রেতাদের ধরপাকড়ের বা আইনি সাজার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এই বছর পুজোর পরে ক’দিনের নিম্নচাপ বা অকালবর্ষণে অবশ্য দেড়শো-দুশো-আড়াইশো গ্রাম ওজনের খোকা-ইলিশে বাজার ছেয়ে গেছে।
বিশ্ব উষ্ণায়ন ছাড়াও, মাঠেঘাটে অত্যধিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাছেদের জীবনযাত্রাতেও পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। এই বছর আবার সেই পথ ধরে বে-টাইমে ছোটখাটো ইলিশের পেটেও ডিম দেখা দেওয়ায় মৎস্যবিজ্ঞানীরাও বিস্মিত।
এর পাশাপাশি বলি, আমাদের গ্রামেগঞ্জে নদীনালা খালবিলে যে অসংখ্য প্রকার মাছ পাওয়া যায়, বর্ষাকাল সেই সব দিশি মাছেরও প্রজনন কাল। তাই পেটে ডিম ভর্তি ট্যাংরা, বেলে, খলসে, দাঁড়কে মাছদের ধরা, বিক্রি করা, খাওয়া চলতে থাকলে কিছু দিনের মধ্যেই এই মিঠাজলের মাছেরা বাংলার পাত থেকে উধাও হয়ে যাবে। তাই মৎস্য দফতরের কাছে অনুরোধ, সুয়োরানি ইলিশকে নিয়ে লোক দেখানো বাড়াবাড়ি করুন ক্ষতি নেই, কিন্তু সমগ্র বর্ষাকালে কৃত্রিম ভাবে উৎপাদিত চাষের মাছ অর্থাৎ কমন কার্প (রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, সাইপ্রিনাস) ও সমুদ্রের মাছ ছাড়া সমুদয় মাছ ধরা ও বিক্রি করা নিয়ন্ত্রিত হোক, রক্ষা পাক গ্রাম বাংলার দুয়োরানি, মিঠাজলের মাছেরা। বাংলাদেশ যদি সদর্থক মৎস্যনীতি প্রয়োগ করতে পারে, আমরা কেন পারব না?
সঞ্জীব রাহা কৃষ্ণনগর, নদিয়া
ডি এল এড
কেন্দ্রীয় সরকারি নির্দেশ অনুসারে রাজ্যের সমস্ত সহায়ক/সহায়িকা/সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকাদের চলতি বছরে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ওপেন স্কুলিং (এনআইওএস)-এর অধীনে ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) কোর্সের জন্য ভর্তি হতে হয়েছে। তবে একটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রশিক্ষণ দেওয়ার যে কথা জানানো হয়েছিল, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যাচ্ছে না।
গত ২৬ অক্টোবর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের এসএসকে/এমএসকের নোডাল অফিসার দ্বারা একটি মেমো (Memo no-2521/ZP/SSK-MSK/CXI/17, dated-26/10/2017) জারি করা হয়। সম্পাদনকারী অফিসার/ বিডিও-কে নির্দেশিত এই মেমোতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখিত রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ শিশু শিক্ষা মিশনের নির্দেশ মাফিক সংশ্লিষ্ট সম্পাদনকারী অফিসারদের ১ নভেম্বর ২০১৭ সালের মধ্যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাম জানাতে হবে। মেমোটিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকৃতি কেমন হবে সে বিষয়ের বিস্তারিত উল্লেখও রয়েছে। কবে থেকে এই প্রশিক্ষণের ক্লাস শুরু হবে, সে বিষয়ে ব্লকে (জয়নগর-২) জানতে গেলে ব্লক থেকে জানানো হয়, এই ব্যাপারে তাঁরা কিছুই বলতে পারবেন না। আরও জানা যায়, তাঁরা পূর্ব উল্লেখিত মেমো কপিটিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কোনও ব্যবস্থা নেই জানিয়ে কপিটি জেলায় ফেরত পাঠিয়েছেন।
এই টালবাহানার জেরে সাধারণ সহায়ক/সহায়িকা/সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকারা প্রবল ধন্দে রয়েছেন। কেননা, এই কোর্সের প্রথম পরীক্ষার সময় আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্ধারিত। ইতিমধ্যে এনআইওএস তাদের ওয়েবসাইটে ডিএলএড কোর্সের জন্য বাংলায় স্টাডি মেটিরিয়াল প্রদান করা শুরু করেছে। এ ছাড়াও, স্বয়ংপ্রভা ডিটিএইচ চ্যানেল ও মোবাইল অ্যাপ-এর সাহায্যে ভিডিয়ো ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু খুব কম বেতনের এই চাকরিতে নতুন করে ডিটিএইচ বা স্মার্টফোন কিনে পঠনপাঠন শুরু করা এক জন সহায়ক/সহায়িকার পক্ষে বেশ সমস্যার।
এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গ শিশু শিক্ষা মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রতিটি ব্লকে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। এক দিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া কবে থেকে শুরু হবে তা যেমন জানা যাচ্ছে না, তেমনই এই প্রশিক্ষণের বিষয়টি নিয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় হাতের কাছে স্টাডি মেটিরিয়াল থাকলেও পঠন প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। এমত অবস্থায় উল্লেখিত ব্লকে প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া সত্বর শুরু করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা হোক।
ধীমান হালদার নলগোড়া, কুলতলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
কুভাষা শিক্ষা
অশ্লীল গালিগালাজ হল অবদমিত ইচ্ছের বহিঃপ্রকাশ। না পাওয়ার হতাশা থেকে, বঞ্চনার বিরুদ্ধে ক্ষোভে বা স্বার্থহানির প্রতিক্রিয়ায় দেশি বিদেশি কথ্য শব্দ সংমিশ্রণে যৌনদুর্গন্ধ যুক্ত অদ্ভুত শব্দাবলির ব্যবহার মানুষের মধ্যে বেড়ে চলেছে। রাজনীতির ক্ষেত্রে একে অপরের বিরুদ্ধে অনৃত ভাষার ব্যবহার, কাদা ছোড়াছুড়ি ছিল, এখন সেখানে অবক্ষয়িত সমাজের ভাষাকে নিজেদের মুখের ভাষা করে নেতারা। ‘আমি তোমাদেরই লোক’ বোঝাতে চান। আবার এই সব গালিগালাজ যাঁরা আশৈশব পরিবার পরিবেশ থেকে শুনে অভ্যস্ত এবং যাঁদের দৈনন্দিন কথাবার্তায় এগুলির আত্মীকরণ হয়ে গেছে, তাঁরা যখন নেতানেত্রী হয়ে ওঠেন, তাঁদের মুখে ওই সব অশ্রাব্য শব্দবন্ধ খুব সহজ স্বাভাবিক ভাবেই উচ্চারিত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রোতাদেরও এই ভাষা অশ্লীল মনে হয় না, বরং তাঁরা উল্লসিত হন। নেতৃবৃন্দও আমোদ লাভ করেন। তাই কুমার রাণা তাঁর (‘এই অশ্রাব্য রাজনীতি’, ২৭-১০) যে সাংস্কৃতিক গ্রাম্যতার কথা আক্ষেপ করে লিখেছেন, তার থেকে উত্তরণ সহজ নয়।
রুচিশীল সমাজ না চাইলেও কর্ণকুহরে নানা সময়ে কটু দুর্গন্ধময় শব্দ প্রবেশ করবেই। রাস্তাঘাটে শুনলে না শোনার ভান করে চলে যেতে হয়, সঙ্গে ছোট ছেলেমেয়ে পরিবার পরিজন থাকলে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়।
ত্রিদিব মিশ্র শান্তিনিকেতন
কর্মী নেই
কর্মীর অভাবে ধুঁকছে কোচবিহার ডিভিশনের ক্ষুদ্র কৃষি সেচ বিভাগ। জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের অধীন এই বিভাগের নিজস্ব ৪০টি গভীর নলকূপ নির্ভর সেচ প্রকল্প রয়েছে কোচবিহার ডিভিশনে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য এক জন অপারেটর ও এক জন সহকারী অপারেটর থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে গোটা ডিভিশনে রয়েছেন মাত্র ৪ জন অপারেটর ও ৮ জন সহকারী অপারেটর। ফলে কর্মীর অভাবে এ সবের অনেকগুলিই মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। এমনিতে কর্মীর সংখ্যা কম, তার ওপর অপারেটরদের ব্লক অফিসে কাজে লাগানোর অভিযোগও উঠেছে। জেলা দফতর সূত্রে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে প্রকাশ, তুফানগঞ্জে ৬ জন কর্মীর মধ্যে বর্তমানে সব ক’টি পদই শূন্য। একই অবস্থা মিজই এবং শীতলকুচি ব্লকের। দিনহাটা ২নং ব্লকের বড়শাকদলে ২টি প্রকল্পসহ বাজেজমা, শেওড়াগুড়ি, ছাটপিকনি ধারা কিশামত দশগ্রাম ইত্যাদি এলাকার জন্যও কোনও কর্মী নেই। কর্মী নিয়োগ করে সেচপ্রকল্পগুলো সচল রাখার ব্যবস্থা হোক।
অনল বসুনিয়া বড়শাকদল, দিনহাটা, কোচবিহার
৩ নম্বর
শ্রীরামপুর-বাগবাজার ৩নং রুটের বাস আগে যেখানে পাঁচ মিনিট অন্তর চলত, এখন তা আধ ঘণ্টা, কখনও এক ঘণ্টা দাঁড়িয়েও পাওয়া যায় না। সম্প্রতি আরও একটি খবর পেলাম। শ্রীরামপুর থেকে বাগবাজারগামী শেষ বাস ছাড়ছে সন্ধে সাড়ে ছ’টায়। মনে হচ্ছে কোনও প্রত্যন্ত গ্রামে যাচ্ছে!
তপনকুমার মল্লিক রিষড়া, হুগলি
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ই-মেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy