Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

আমার মতন অনেকেই এর পরের দৃশ্য না দেখার আপ্রাণ চেষ্টায় অন্য দিকে তাকিয়ে আছি। এক ঝলক চেয়ে দেখলাম, প্ল্যাটফর্ম-ময় ছড়ানো বাদাম, চিঁড়ে...।

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:১৪
Share: Save:

উঠে দাঁড়ালেন

দিন কয়েক আগের ঘটনা। সন্ধে প্রায় ছ’টা। রিষড়া রেল স্টেশন। সবটাই ঘটেছে আমার চোখের সামনে। ট্রেন থামতেই ব্যস্ত মানুষের ওঠানামা। আরও ব্যস্ত রেলের হকাররা, যাঁদের লক্ষ্য থাকে ওইটুকু সময়ের মধ্যে এক কামরা থেকে অন্য কামরায় ওঠা। কখনও রানিং অবস্থাতেই ট্রেনে চড়তে হয় তাঁদের। আমার ঠিক হাত দশেকের মধ্যে এক বয়স্ক হকার ছুটছেন অন্য কামরায় উঠবেন বলে। হুইস্‌ল বেজে গেছে, নড়ে উঠল ট্রেন। গতি বাড়ছে একটু একটু করে। সেই মানুষটিও গতি বাড়িয়েছেন। এক হাতে প্যাকেট ভর্তি চিঁড়েভাজা, চালভাজা, সল্টেড বাদাম, কত কী! হঠাৎ ঝুপ করে আওয়াজ। প্ল্যাটফর্ম ভর্তি লোকজনের চিৎকার। হকারটি ট্রেনের নীচে। ট্রেন থামানোর জন্য মানুষজনের চিৎকার ড্রাইভারের কান পর্যন্ত পৌঁছয়নি। পৌঁছনোর কথাও নয়।

আমার মতন অনেকেই এর পরের দৃশ্য না দেখার আপ্রাণ চেষ্টায় অন্য দিকে তাকিয়ে আছি। এক ঝলক চেয়ে দেখলাম, প্ল্যাটফর্ম-ময় ছড়ানো বাদাম, চিঁড়ে...। সত্তর ছুঁই-ছুঁই মানুষটির এক পাটি চটিও গড়াগড়ি খাচ্ছে। ট্রেন বেরিয়ে গেল।

ভয়ার্ত মানুষের মুখের জ্যামিতি মুহূর্তে বদলে দিয়ে, উঠে দাঁড়ালেন হকারটি। প্ল্যাটফর্মের ধার ঘেঁষে সিঁঁটিয়ে ছিলেন তিনি। অক্ষত অবস্থায় উঠে দাঁড়ালেন। পুনর্জন্মের ঘোর তখনও চোখেমুখে লেগে। ধরাধরি করে তাঁকে প্ল্যাটফর্মে তোলা হল। বেশ কিছু ক্ষণ পর প্রথম কথা বলে উঠলেন তিনি, ‘আমার চিঁড়ে আর বাদামের প্যাকেটগুলো....?’

দেখতে দেখতে বছর শেষ। এই নির্মম দুনিয়ায় সত্তর বছরের বৃদ্ধকেও ছুটে বেড়াতে হয়! তবু এত কিছুর পরেও ওই বৃদ্ধের মতোই মাথা তুলে দাঁড়াক নতুন বছর।

সুদীপ বসু, শান্তিনগর, রহড়া

ব্রিজে সাইকেল

বালি ব্রিজ গঙ্গার দুই তীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু। সারা দিন অজস্র যানবাহন, বিভিন্ন রুটের বাস এই সেতু দিয়ে চলাচল করে। পথচারীদের চলার সুবিধার জন্য এখানে প্রশস্ত ফুটপাত আছে। কিন্তু দেখা যায়, সারা দিন ধরেই অনেক সাইকেল-আরোহী ও মোটর সাইকেল-আরোহী, পথচারীদের অসুবিধা ও নিরাপত্তাকে পরোয়া না করে, ফুটপাতের উপর দিয়ে বেপরোয়া ভাবে চলে যাচ্ছে। এ ঘটনা বেশি ঘটে, যখন ব্রিজে বেশি যানজট থাকে। পথচারীদের নিরাপত্তা ও তাদের বাধাহীন যাতায়াত নিশ্চিত করতে ব্রিজের দুই প্রান্তে কঠোর পুলিশি নিয়ন্ত্রণ দরকার।

দেবকীরঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়, উত্তরপাড়া

কৃষ্ণনগরের ট্রেন

শিয়ালদহ রেলওয়ে ডিভিশনের শিয়ালদহ নর্থ শাখায় শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগরের ট্রেন গত ৩০ বছরে হয়তো একটি বা দুটি বাড়ানো হয়েছে। কিন্ত যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে কয়েকশো গুণ। ফলে কৃষ্ণনগর বা শিয়ালদহ স্টেশন, উভয় প্রান্ত থেকেই যাত্রীদের ট্রেনে ওঠানামা করা দুরূহ ব্যাপার। বসার জায়গা পাওয়া দূরস্থান, সুস্থ ভাবে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোই দুষ্কর।

সম্প্রতি নভেম্বর ২০১৭-র পরিবর্তিত সূচিতে, শিয়ালদহ থেকে সকালের ৫-২০ মিনিটের লোকাল ট্রেনটিকে রবিবার দিন বাতিল করা দেওয়ায়, কৃষ্ণনগর ও সংলগ্ন অঞ্চলের যাত্রীদের অবর্ণনীয় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রেল ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, ওই বাতিল ট্রেনটিকে রবিবার দিনও চালু করুন এবং কৃষ্ণনগর লোকালগুলিকে সত্বর ১২ বগিতে রূপান্তরিত করে যাত্রীদের সমস্যার কিঞ্চিৎ সুরাহা করুন।

মলয়রঞ্জন বিশ্বাস, কলকাতা–৫৬

প্লাস্টিক অত্যাচার

গ্রাম থেকে শহর, শহর থেকে মেট্রো সিটি, প্লাস্টিকের ব্যবহারের চোটে নারকীয় অবস্থা। কারওরই হুঁশ নেই। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দর্শনীয় জায়গাগুলোও যদি এই অভ্যাসের ফলে নোংরা হয়ে ওঠে, বড্ড খারাপ লাগে। বেড়াতে গিয়ে, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য প্লাস্টিকের টুকরো পড়ে থাকতে দেখলাম। মনে হল, প্রকৃতিকে আমরা কি সত্যি হত্যা করব শেষ পর্যন্ত! এক জায়গায় দেখলাম দামি গাড়ি পার্ক করে কিছু ‘শিক্ষিত’ মানুষ ফোমের থালা পেতে খেতে বসেছে জঙ্গলের ফাঁকা জায়গায়। তাদের পাশের জায়গাগুলোও এঁটো ও পরিত্যক্ত ফোমের থালায় ভরে উঠেছে।

সুদর্শন নন্দী, রাঙামাটি, মেদিনীপুর শহর

অসুন্দর

বিক্রমগড়ের মোড় (ভারত পেট্রোলিয়ামের অফিস) থেকে ঝোড়ো বস্তি (গল্ফ ক্লাব রোড) পর্যন্ত এই রাস্তার দু’পাশের অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। কী ভাবে একটা সুন্দর জায়গাকে তাড়াতাড়ি খারাপ করা যায়, যেন তার প্রতিযোগিতা চলছে। মাদারতলা বস্তি, হঠাৎ বস্তি এবং ঝোড়ো বস্তি রাস্তার উপর উপচে পড়ছে। নিত্য নতুন দোকান ও মন্দির গজাচ্ছে। হাঁটাচলা বা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত নিতান্ত মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। কাদের মদতে এই সব সমস্যার সৃষ্টি?

রামধন পার্কের কাছে পাশাপাশি দুটো সুন্দর পুকুরের চার পাশে বাইরের দিকে নিত্য নতুন ঝুপড়ি ও দোকান বসানো হচ্ছে। এই এলাকার কাউন্সিলর ও বরো চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন, দৃষ্টি দিন।

স্বপনকুমার দত্ত, ই-মেল মারফত

সাধুবাদ, কিন্তু

যাদবপুরে ফুটপাত ও সাবওয়েকে রাস্তা-পার হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায়, কলকাতা পুলিশকে সাধুবাদ। এতে যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে। কিন্তু ফুটপাত তো হকারদের দখলে। সংকীর্ণ রাস্তাও ছাড়া নেই। প্রশাসন যদি ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের ব্যবস্থা করে, সুবিধা হয়।

পার্থপ্রতিম পৈড়্যা, যাদবপুর

বাঁশে ঘেরা

মাঝে মাঝে এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি বা অমন বড় মাপের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আসেন। তখন তিনি যদি কোনও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে কোথাও যান, ওই রাস্তায় যতগুলো কাট-আউট আছে, সব বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়, নিরাপত্তার কারণে। সেটা খুবই জরুরি। কিন্তু তার বেশ কিছু দিন পরেও দেখা যায়, বাঁশগুলো খোলা হয়নি। ফলে সেই অঞ্চলের মানুষেরা, বা যাঁরা ওই রাস্তায় চলাচল করেন, তাঁরা খুবই অসুবিধায় পড়েন। যাঁরা হেঁটে যাতায়াত করেন, তবু ফাঁকফোকর দিয়ে রাস্তা পেরোতে পারেন, কিন্তু যাঁরা স্কুটার, গাড়ি, এমনকী সাইকেলে যাতায়াত করেন, তাঁরা পড়েন মহা বিপদে। রাস্তা পেরনোর জন্য হয়তো পাঁচ কিলোমিটার ঘুরতে হল। যাঁরা রাস্তার একদম পাশে থাকেন, এ-পার থেকে ও-পার যেতেও প্রবল অসুবিধার মুখে পড়েন। প্রশ্ন উঠতে পারে, এক্সপ্রেসওয়েতে তো কাট-আউট থাকারই কথা নয়। ঠিক, কিন্তু যেখানে সার্ভিস রোড এখনও তৈরি হয়নি, সেখানে মানুষ কী করবেন?

সমীরবরণ সাহা, কলকাতা-৮১

চালকহীন মেট্রো

‘দিল্লিতে বেলাইন চালকহীন মেট্রো, প্রশ্ন সুরক্ষা নিয়ে’ (২০-১২) শীর্ষক খবরটি পড়লাম। যাত্রীসহ এ রকম কিছু হলে, ভয়ংকর ব্যাপার হত। আশঙ্কার কথা, কলকাতা মেট্রোতে চালু হতে চলেছে একই রকমের রেক এবং এখানেও চালকহীন যাত্রার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। দু’চার জন ড্রাইভারকে বসিয়ে, চালকহীন মেট্রো চালানোর ব্যাপারটি একটি অবাস্তব ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিকল্পনা। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করছি।

অসীমকুমার বসু, কলকাতা-১৯

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE