রসগোল্লার প্রদর্শনী চলছে ব্যারাকপুরে (আলোকচিত্র, ১৬-১)। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সাদা রসগোল্লার সঙ্গে হলুদ এবং সবুজ রসগোল্লার সহাবস্থান। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, রঙিন রসগোল্লায় অনুমোদিত রং ব্যবহার করা হয়েছে তো? ইদানীং ছোটবড় যে কোনও মিষ্টির দোকানে গেলেই দেখা যায়, রঙের ব্যাপক ব্যবহার। বোঁদে-জিলিপিতে রং আগেও দেখা যেত। বেশ কয়েক বছর আগে সচেতনতার প্রচারের পর ভাবা গিয়েছিল, রং দেওয়া মিষ্টি ক্রেতারা প্রত্যাখ্যান করবেন। ফলে বিক্রেতারা রং দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হবেন। কিন্তু তা হয়নি। আপনি হয়তো রং ছাড়া চমচম কিনে বাড়িতে খেতে গিয়ে দেখলেন, ক্যাটকেটে গোলাপি রং দেওয়া রয়েছে ভিতরে।
প্রতি ক্ষেত্রেই দোকানদার বলেন, অনুমোদিত রং ব্যবহার করেন তাঁরা। এক জন আবার অকপটে জানালেন, বেশির ভাগ খরিদ্দার রঙিন মিষ্টিই পছন্দ করেন। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তাঁরা রং ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
একটু অন্তরঙ্গ স্বীকারোক্তিতে আরও জানা গেল, অনুমোদিত রং ব্যবহার করলে মিষ্টির দাম বাড়বে অনেক। পড়তায় পোষাবে না। তাই সব জেনেশুনেও তাঁরা ক্ষতিকর বাজারচলতি রংই ব্যবহার করছেন।
অন্য দোকানের মতো মিষ্টির দোকানের লাইসেন্স দিয়ে থাকেন স্থানীয় প্রশাসন, নিরন্তর নজরদারির দায়িত্ব সেই কর্তৃপক্ষের হাতে। নিয়মিত পরীক্ষা করে যদি সেই অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে কাউন্টারে বাধ্যতামূলক হোক সেই অনুমতিপত্র প্রদর্শন।
বিশ্বনাথ পাকড়াশি শ্রীরামপুর-৩, হুগলি
জঞ্জালপুর
বহরমপুর শহরটা দিনে দিনে জঞ্জালপুরে পরিণত হচ্ছে। এক দিকে কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষ, অন্য দিকে কুকুর, গরু, ছাগলদের দৌরাত্ম্যে ছোট্ট শহরটা গণশৌচালয়ে পর্যবসিত। মান্ধাতা আমলের নিকাশি ব্যবস্থা, সংকীর্ণ রাস্তা, গ্রামগ্রামান্তর থেকে ছুটে আসা মানুষের পদদলনে শহরবাসীর নাভিশ্বাস উঠেছে। পুরসভার সাফাই কর্মচারীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না। নাগরিকরা চোখে ঠুলি পরে আছেন।
কৌশিক মুখোপাধ্যায় খাগড়া জয়চাঁদ রোড, বহরমপুর
এক্সাইড মোড়
রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন থেকে বাইরে এসে রাস্তা পার হয়ে নন্দন চত্বরে যাওয়া-আসা করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এক্সাইড মোড়ে, বিশেষ করে পশ্চিম দিক থেকে আসা বাস ও গাড়িগুলি জেব্রা ক্রসিং-এর উপরেই সবুজ আলোর অপেক্ষা করে। বেশ কিছু গাড়ি ও বাস আইনের তোয়াক্কা না করেই মানুষের রাস্তা পারাপার বিঘ্নিত করে। পার্ক স্ট্রিট মোড়ের মতো, এখানেও পারাপার নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবা যেতে পারে।
অজিত কুণ্ডু কলকাতা-৪০
বি এড
এখন উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিতে গেলে যে বি এড ট্রেনিং করতে হয়, তার সময়কাল দু’বছর। আগে যেটা এক বছর ছিল। এটি বাড়িয়ে দেওয়ার যৌক্তিকতা কী? দরিদ্র পরিবারের ছেলে বা মেয়ের পক্ষে দু’বছর ধরে যথেষ্ট ব্যয়সাধ্য ট্রেনিং করা সম্ভব?
মুন্সী মনিরুল হাসান পূর্ব বর্ধমান
বই পৌঁছয়নি
২০১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাস শেষের পথে। কিন্তু, বহু বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের হাতে একাধিক সরকারি বই এখনও পৌঁছয়নি। বিশেষ করে নব্য দশম শ্রেণির ছেলেমেয়েরা বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ, অন্যান্য ক্লাসের ছেলেমেয়েদের পুরনো বই দিয়ে সিলেবাস এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও, নব্য দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে তা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ পুরনো বইগুলো রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে।
প্রণবকুমার মাটিয়া পাথরপ্রতিমা, দক্ষিণ২৪ পরগনা
বাজে অভ্যাস
ঝাড়গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের মেড রোডের ধারে জনবসতি যথেষ্ট। তারই মাঝে একটুখানি ফাঁকা জমি পড়ে আছে। সেই জমিতেই দিনের পর দিন পাড়ার লোকজন প্রতি দিন প্রাতঃক্রিয়া করছে! ফলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে এলাকা।
মোহিনীমোহন পাঠক ঝাড়গ্রাম
পুকুর
গড়িয়া গাজিপুকুর এলাকায় একটা বড় পুকুর আছে, যেখানে পাড়ার বহু লোক স্নান করেন। পুকুরের পাড়েই ১১০ ওয়ার্ড কলকাতা পুরসভার অফিস। কয়েক বছর ধরে দেখছি, পুকুরটির জল খুবই নোংরা ও আবর্জনায় ভর্তি। পুকুরের পাড়টিও জঞ্জাল ও গাছে ভর্তি এবং অনেকেই যথেচ্ছ ভাবে বিভিন্ন আবর্জনা পুকুরের জলে ফেলেন। যেখানে সারা কলকাতা ডেঙ্গি নিয়ে তোলপাড়, সেখানে খোদ কলকাতা পুরসভার অফিসের সামনেই
এ জিনিস দেখে অবাক লাগে।
কুমার জানা কলকাতা-৮৪
বিজ্ঞাপনের গেট
ইদানীং বিজ্ঞাপনের বাড়বাড়ন্ত এমন পর্যায়ে, পাকা রাস্তার দু’ধার থেকে ভেতরের দিকে বাঁশ পুঁতে উঁচু গেটের মতো করা হচ্ছে। নীচ দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। ঠিক যেখানে গেটটা হচ্ছে সেই জায়গায় রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যানজট হচ্ছে।
কল্যাণকুমার দত্তচৌধুরী চাউলখোলা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
সুকন্যা সমৃদ্ধি
কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশানুযায়ী ব্যাংক ও ডাকঘরের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড সংযোজন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আমার জিজ্ঞাস্য, সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট, আধার সংযোজন আদেশের অন্তর্ভুক্ত কি না এবং সুকন্যা অ্যাকাউন্ট মেয়াদ শেষে চেক মারফত টাকা পেতে কোনও অসুবিধা আছে কি না? স্থানীয় ডাকঘর এ ব্যাপারে পরিষ্কার বলতে পারছে না।
নিমাইচন্দ্র মুখোপাধ্যায় কলকাতা-১২৯
নামটি ভুল
‘কলকাতার কড়চা’য় ‘কে প্রথম’ (৮-১) শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে, দিনাজপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের নাম হবে জি এইচ ড্যামন্ট। ডি এইচ ড্যামন্ট নয়।
শিশির মজুমদার কলকাতা-৩২
বাণীকুমার
বাগবাজারের রাস্তায় বাণীকুমারের আবক্ষ মূর্তির নীচে লিখিত কথাগুলি এ রকম— ‘মহিষাসুর মর্দিনীর অমর স্রষ্টা বাগবাজার বাসিন্দা, বাংলা সংস্কৃতিক অসামান্য রূপকার বাণীকুমার...’। বোঝাই যাচ্ছে এখানে ‘সংস্কৃতিক’ শব্দটি হওয়া উচিত ‘সংস্কৃতির’। এমন একটি প্রমাদ উদ্যোক্তাদের নজর এড়িয়ে গেল?
কুমারকান্তি বেরা কলকাতা-৫৫
রাখালদাস
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগ্রামে বিখ্যাত ইতিহাসবিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভিটেবাড়িটি অনাদরে, অবহেলায় ভগ্নদশাপ্রাপ্ত। ওটি সরকারি উদ্যোগে মেরামত করে সংরক্ষণ করা উচিত।
তিলক চট্টোপাধ্যায় বনগ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ই-মেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy