Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: স্বামীজির পাঠ

বিবেকানন্দ দেখেছিলেন হিন্দু, মুসলমান, মুচি, মেথরদের নিয়ে এক গৌরবময় ভারতের স্বপ্ন। তিনি বৈদান্তিক মস্তিষ্ক ও ইসলামিক দেহের সমন্বয়ে এক মহান ভারত গড়ার কথা বলে গেছেন।

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:০৩
Share: Save:

শিকাগো ধর্মমহাসভায় বিবেকানন্দের বক্তৃতা ও তাঁর গেরুয়া পোশাকে গাম্ভীর্যপূর্ণ সৌন্দর্য সহজেই বলে দেয় যে বিবেকানন্দ নাস্তিক ছিলেন না, হিন্দুই ছিলেন। কিন্তু এই ‘বিবেকানন্দের হিন্দু মুখ প্রচারে বিজেপি’ (২৯-১) যে দায়িত্ব নিয়েছে, তা স্বামীজির জীবনদর্শনের ব্যাপকতার কাছে সংকীর্ণ। কারণ বিবেকানন্দের প্রচারিত হিন্দুত্বের
সঙ্গে আজকালকার স্বঘোষিত হিন্দুত্ববাদী নেতাদের হিন্দুত্বের আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

বিবেকানন্দ দেখেছিলেন হিন্দু, মুসলমান, মুচি, মেথরদের নিয়ে এক গৌরবময় ভারতের স্বপ্ন। তিনি বৈদান্তিক মস্তিষ্ক ও ইসলামিক দেহের সমন্বয়ে এক মহান ভারত গড়ার কথা বলে গেছেন। শুধু তা-ই নয়, বিবেকানন্দ প্রথম কুমারীপুজো করেছিলেন মুসলিম মহিলাকে। এ-সব কিছু থেকে সহজেই বোঝা যায়, বিবেকানন্দের হিন্দুত্ব ছিল মানবতাবাদী হিন্দুত্ব, তার সঙ্গে রাজনৈতিক হিন্দুত্বের মিল নেই।

আর বিবেকানন্দকে নাস্তিক বলে প্রতিপন্ন করতে চাওয়াটাও বোকামি। বিবেকানন্দের একটা কথা পড়েছিলাম, ‘যে ধর্ম বা যে ঈশ্বর বিধবার অশ্রুমোচন করতে পারে না, বা অনাথ শিশুর মুখে এক মুঠো অন্ন তুলে দিতে পারে না, সে ধর্ম বা সে ঈশ্বর আমি বিশ্বাস করি না।’ তার মানে এই নয়, তিনি নাস্তিক ছিলেন। আসলে এগুলি গভীর ভাবের কথা, তা উপলব্ধি করা রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষে সম্ভব নয়, এর জন্য কত সাধক সংসার ছেড়ে রামকৃষ্ণ মঠ-মিশনে বছরের পর বছর অনুশীলন করছেন।

আমরা বিবেকান্দের পাঠ নিতে হলে তো তাঁদের কাছেই নেব, কোনও রাজনৈতিক বিবেকানন্দ-বিশারদ নেতার কাছে নয়। দোহাই আপনাদের, রাজনীতির নোংরা আবর্তে টেনে এনে স্বামী বিবেকানন্দের পবিত্রতাকে নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না।

ফিরোজ আলি কাঞ্চন গলসি, বর্ধমান

অযান্ত্রিক

‘অযান্ত্রিক’ শীর্ষক (রবিবাসরীয়, ২৮-১) রচনায় আমার পিতা শরৎচন্দ্র বসুর ‘স্টুডিবেকার’ গাড়ির কথা লেখা হয়েছে। বাবার গাড়ির শখ ছিল এবং সব সময়ই গ্যারাজে দু’তিনখানা গাড়ি থাকত। ‘স্টুডিবেকার’ গাড়িটা অন্যতম। তবে একটি গল্প তার সঙ্গে লেখা হয়েছে, সেটা ঠিক নয়। আমরা মেয়েরা পড়তাম ডায়শেসান স্কুলে, সেটা বাড়ির কাছে তখনকার ল্যান্সডাউন রোডে অবস্থিত ছিল। ঠিকই, আমরা মাঝে মাঝে গাড়ি চড়ে স্কুলে যেতাম, প্রায়ই কিন্তু আমরা আমাদের পুরনো পরিচারক বুজিলালের সঙ্গে হেঁটেই স্কুলে যেতাম।

শিশির বসু কখনওই ‘স্টুডিবেকার’ চড়ে ডাক্তারি করতে যেতেন না। ওই ধরনের বাবুয়ানি পিতা শরৎচন্দ্র কখনওই পছন্দ করতেন না তো বটেই, কাউকে ওই রকম অভ্যাস করাতেন বলে আমার মনে হয় না। আইনজ্ঞ হিসাবে পিতার বিরাট রোজগার থাকলেও ছেলেমেয়েদের কখনওই জমিদারি স্টাইলে মানুষ করেননি। শরৎচন্দ্র বসুর চরিত্র সম্বন্ধে এ ধরনের মন্তব্য করা আমি উচিত মনে করছি না।

চিত্রা ঘোষ কলকাতা-১৯

প্রতিবেদকের উত্তর: কলকাতায় আসা দুটি ‘স্টুডিবেকার’ গাড়ির দ্বিতীয়টির হদিশ পাওয়ার গল্প আমি শুনি কাশিমবাজার রাজবাড়ির পল্লব রায়ের কাছ থেকে। তিনি যখন নেতাজির মহানিষ্ক্রমণে ব্যবহৃত ওয়ান্ডারার গাড়িটির সংস্কারের জন্য এলগিন রোডের নেতাজি ভবনে যান, তখন আপনাদের পারিবারিক সূত্রেই শ্রদ্ধেয় শরৎচন্দ্র বসুর ‘স্টুডিবেকার’টির কথা জানতে পারেন। ওই গাড়ি যে কলকাতা শহরে বিশেষ পরিচিত ছিল, যে কারণে মহানিষ্ক্রমণের জন্য গাড়িটি ব্যবহার করা সম্ভব ছিল না, সেটা বোঝাতেই শ্রদ্ধেয় শিশির বসুর ওই গাড়ি চড়ে মেডিক্যাল কলেজ যাওয়ার প্রসঙ্গটি ওঠে। যেমন আপনি বলেছেন, আপনারাও মাঝে মাঝে বাড়ির কাছের স্কুলে গাড়ি করে যেতেন, তেমনই শিশিরবাবুও হয়তো কখনও এই গাড়িতে মেডিক্যাল কলেজ গিয়েছেন। তিনি যে নিয়মিতই তাই করতেন, এমন ইঙ্গিত, বা অন্য কোনও কটাক্ষ করতে প্রসঙ্গটি লেখায় আসেনি। এ ব্যাপারে যদি সামান্যতম ভুল বোঝাবুঝিও হয়ে থাকে, সেটা আমার বোঝানোর অক্ষমতা। সে জন্য আন্তরিক দুঃখিত।

পুজো মানেই

আজকাল কলকাতায় দুর্গাপুজো ছাড়া অন্যান্য পুজোও প্রায় চার বা পাঁচ দিন ধরে চলছে! প্রতিমা মণ্ডপে আসার দিন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত প্রচণ্ড জোরে মাইক বাজানো হচ্ছে রাত্রি ১২টা অবধি, বা তারও বেশি সময় ধরে। সে গানের সঙ্গে নাচ, প্রকাশ্যে মদ্যপান ও মাতলামি তো আছেই! প্রতিবাদ করার কোনও উপায় নেই, কারণটা সবার জানা।

উত্তমকুমার দে মাজিদা, পূর্ব বর্ধমান

বাংলা আজ যা

‘পদ্মাবত’ মুক্তির আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই প্রথম বলেছিলেন তাঁর রাজ্যে নির্বিঘ্নে সিনেমাটা দেখানো হবে। তার পর সেন্সর বোর্ড ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গোটা দেশে মুক্তি পায়। ‘অর্থাৎ বাংলা আজ যা করছে ভারত কাল তা করবে।’

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তেলেভাজা, মুড়িভাজা শিল্প। আর আজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল পকোড়া বিক্রি করাও চাকরি। অতএব, বাংলার ভাবনায় ভাবিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী— তাই বাংলাই এগিয়ে।

ভাস্কর মান্না ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর

নিউ গড়িয়া

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় নিউ গড়িয়া স্টেশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নামখানা, ডায়মন্ড হারবার ও ক্যানিং শাখার অগণিত যাত্রী এই স্টেশনটিকে ব্যবহার করে থাকেন কলকাতার প্রবেশপথ হিসাবে। কারণ, এই নিউ গড়িয়াতে নামলেই পাওয়া যায় মেট্রোরেলের কবি সুভাষ স্টেশনটিকে। অধিকাংশ ট্রেনের স্টপেজ এই স্টেশনে থাকলেও, কোনও অজ্ঞাত কারণে শিয়ালদহ থেকে নামখানা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে চলাচলকারী দু’জোড়া গ্যালপিং ট্রেনের স্টপেজ এখানে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীদের সোনারপুর বা যাদবপুরে নেমে অন্য ট্রেন ধরে এই স্টেশনে আসতে হয়।

সৌম্য বটব্যাল দক্ষিণ বারাসত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

রুটটা আবার

দমদম (মেট্রো) স্টেশন থেকে বারাসত যাবার একমাত্র বাস ডিএন৯/১ (ডিএন৯ উধাও) পাওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। প্রায় ৫-৬ বছর আগে একটা বাস চলত ১১এ বাসস্ট্যান্ড (অধুনা যেখানে অটো-র রমরমা, ডিপোও বলা যায়) থেকে, রুট: দমদম-বারাসত। এই রুটটা কি আবার চালু করা যায় না? বিশেষ করে অফিসটাইমে এবং সন্ধের দিকে!

আশীষ দাস কলকাতা-১৩২

ত্রিফলা এখন

কলকাতার রাস্তায় আলো ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ত্রিফলা বসানো হয়েছিল। এখন ত্রিফলাগুলি চাপা পড়ে গেছে বিভিন্ন কোম্পানি, কোচিং সেন্টার, খাদ্যসামগ্রী, সিনেমা, শো-রুম, ইত্যাদির বিজ্ঞাপনে। আবার কোথাও ত্রিফলা বাল্‌বহীন, কোথাও ভেঙে জঞ্জালস্তূপের সঙ্গে মিশে গেছে। কোথাও দ্বিফলা বা একফলাতে পরিণত হয়েছে।

শিবপ্রসাদ জানা নামখানা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

ট্রেনে ধূমপান

নজরদারি, ধরপাকড় এবং জরিমানার ফলে কয়েক বছর আগে লোকাল ট্রেন এবং প্লাটফর্মে ধূমপানের প্রবণতা কমে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার যথাপূর্বম্। রেল কর্তৃপক্ষ কি আবার উদ্যোগী হবে?

রতন দত্ত ই-মেল মারফত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Swami Vivekananda Politics BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE