Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

হুইস্কি খাইয়ে শান্ত করে রাখা হত ‘জাম্বো’কে

জাম্বো লন্ডন চিড়িয়াখানায় আসে ১৮৬৫ সালে। দশ ফুট ছ’ইঞ্চির জাম্বোকে বলা হত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতি। ১৮৮২ সালে তাকে আমেরিকার এক সার্কাস কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

তারকা: জাম্বো-র ছবিওয়ালা পোস্টার

তারকা: জাম্বো-র ছবিওয়ালা পোস্টার

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:০০
Share: Save:

হুইস্কি খাইয়ে শান্ত করে রাখা হত ‘জাম্বো’কে

রানি ভিক্টোরিয়ার প্রিয় হাতি ছিল সে। তাঁর ছেলেমেয়েদের পিঠে চড়িয়ে ঘুরে বেড়াত। পরে যোগ দেয় সার্কাসে, লোকে ভিড় করত তাকে দেখতে। ব্রিটেন ও আমেরিকায় অসংখ্য ভক্ত হয়েছিল সুপারস্টার ‘জাম্বো’র। ওয়াল্ট ডিজনি তার উপর ভিত্তি করেই অ্যানিমেশন-ছবি বানিয়েছিলেন, ছবির নামও দিয়েছিলেন ‘ডাম্বো’। তবে তার শেষ জীবন ছিল ট্র্যাজিক। সেই ছবিই তুলে ধরা হবে স্যর ডেভিড অ্যাটেনবরো নিবেদিত তথ্যচিত্র ‘অ্যাটেনবরো অ্যান্ড দ্য গ্রেট এলিফ্যান্ট’-এ।

জাম্বো লন্ডন চিড়িয়াখানায় আসে ১৮৬৫ সালে। দশ ফুট ছ’ইঞ্চির জাম্বোকে বলা হত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতি। ১৮৮২ সালে তাকে আমেরিকার এক সার্কাস কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সঙ্গে গিয়েছিলেন ওর মাহুত, ম্যাথিউ স্কট। আমেরিকাতেও খুব নাম হয় জাম্বোর, অন্তত ২ কোটি মানুষ দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু ১৮৮৫ সালে তার মৃত্যুটা খুব করুণ। কানাডার অন্টারিয়ো-তে এক রেল ওয়াগনে তোলার সময় একটা মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু। সার্কাস কোম্পানি জানিয়েছিল, ওর মাহুত স্কট ও আর একটি হাতিকে বাঁচাতে গিয়ে জাম্বো মারা যায়। কিন্তু নিউ ইয়র্কের জাদুঘরে রাখা জাম্বোর কঙ্কাল পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জাম্বোকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা মারা হয়েছিল। খুব সম্ভবত সে পালাচ্ছিল। তথ্যচিত্রে দেখা যাবে, জাম্বোর জীবন আসলে খুব সুখের ছিল না। রাতে রাগে উত্তেজনায় সে খাঁচার গায়ে বড় বড় দাঁতগুলো ঘষত। দাঁতগুলো ক্ষয়ে গিয়েছিল, যন্ত্রণা হত। হাওদা বসে গিয়ে জখম হয়েছিল কোমরও। অবস্থা খারাপ হওয়ায় ২০০০ পাউন্ডে তাকে বেচে দেয় কর্তৃপক্ষ। দু’হপ্তার সমুদ্রযাত্রায় তাকে হুইস্কি খাইয়ে শান্ত রাখা হত। তার দু’বছরের মধ্যেই আসে মৃত্যু।

ইতিহাসের অঙ্গ

বিশ শতকের শুরুতে যখন বাঙালি আর অসমিয়ারা তাঁদের জন্মস্থান ছেড়েছুড়ে অচেনা একটা দেশে থাকতে এলেন, কেমন লেগেছিল তাঁদের? কেমন ছিল সেই যাত্রাপথ? ভয়ে-আশায় মেশা সেই মুহূর্তগুলো ওঁরা কী ভাবে প্রকাশ করতেন? তা-ই বুঝতে চেয়েছে ব্রিটিশ লাইব্রেরি। কর্তৃপক্ষ শুরু করেছেন ‘ভারতীয় মুদ্রণের দুই শতক’ নামে একটি প্রকল্প, ‘সাউথ এশিয়া কালেকশন’-এর অধীনে তাতে আছে অজস্র বাংলা ও অসমিয়া টেক্সট। আগামী সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে কিউরেটর লাইলি উদ্দিন দেখাবেন বিশ শতকের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত অভিবাসীদের লেখা গান, কবিতা। কী করে তাঁরা নতুন দেশে নতুন জীবন শুরু করেছিলেন, তারই ছবি এই লেখালিখিতে। এক প্রার্থনা-কবিতায় লেখা: ‘জানি না প্রভু কেমন তুমি, কোথা তুমি থাকো। কত মমতা কত স্নেহে আমায় তুমি রাখো...’ দুর্গম পথে, বিপদসংকুল সমুদ্রযাত্রায় ওঁদের সম্বল ছিল এই সব প্রার্থনা, গান।

বিয়ের পর ‘নট কট’

বিয়ের শপথ নেওয়া সাঙ্গ হলে প্রিন্স হ্যারি আর মেগান থাকবেন কেনসিংটন প্যালেস প্রাঙ্গণের মধ্যেই, ছোট্ট নটিংহাম কটেজ-এ (সংক্ষেপে যাকে ডাকা হয় ‘নট কট’ বলে)। এর আগে এখানে থাকতেন ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অব কেমব্রিজ— উইলিয়াম আর কেট মিডলটন। থাকার পক্ষে নট কট বেশ আরামদায়ক, আদুরে একটা জায়গা। দুটো শোবার ঘর, অভ্যর্থনাকক্ষ, একটা স্নানঘর আছে এ বাড়িতে, এক চিলতে বাগানও। ঘরের সিলিং নাকি এতটাই নিচু, প্রিন্স উইলিয়ামকে মাথা ঝুঁকিয়ে চলাফেরা করতে হত, পাছে ছাদে মাথা ঠুকে যায়!

সাদা রক্ত, কালো রক্ত

পূর্বসূরি: রানি শার্লট

প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কল-এর বিয়ের জল্পনার মধ্যেই ইতিহাসবিদরা প্রমাণ করতে নেমে পড়েছেন, মিশ্র জাতির কোনও মানুষের সঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের কারও বিয়ের ঘটনা এই প্রথম নয়। মার্কল-এর বাবা শ্বেতাঙ্গ ককেসীয়, মা কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রো-আমেরিকান। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রিন্স হ্যারির রক্তেও এশীয় ও আফ্রিকান ধারা বহমান। প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানার এক পূর্বপুরুষ, ক্যাথরিন ফোর্বস ছিলেন অংশত ভারতীয়। ১৮১২ সালে সুরাতে তাঁর জন্ম। তাঁর মা এলিজা জন্মসূত্রে ভারতীয়-আর্মেনিয়ান। অঙ্কের হিসাবে তাই হ্যারির মধ্যেও ভারতীয়ত্বের ছিটেফোঁটা আছে। বাবার দিক থেকে দেখলে মিলবে আফ্রিকান যোগসূত্রও। প্রথম ‘মিক্সড রয়্যাল’ ছিলেন তৃতীয় জর্জের রানি শার্লট। বিশেষজ্ঞদের দাবি, পর্তুগিজ রাজপরিবারে এক আফ্রিকান নারীর অবৈধ পুত্রেরই বংশধর শার্লট। ১৭৬১ সালে ১৭ বছর বয়সে ব্রিটেনে আসার পর তাঁর আফ্রিকান মুখশ্রী ছিল জনসাধারণের আলোচনার বিষয়। শার্লট কিন্তু রাজার মন জয় করেছিলেন। দেশের মানুষেরও। মেগান অবশ্য এখনই রীতিমত স্টাইল আইকন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE