Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রবন্ধ ১

এই ক্ষোভের উৎস অর্থনীতির গভীরে

অর্থনীতি ও জীবিকার প্রকারের গতি পরিবর্তনের ফলে বিপুল সংখ্যক তরুণের স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের অভিঘাতে প্রতি দিন ঘটে চলেছে সামাজিক মন্থন। গুজরাতের অশান্তি তারই পরিণাম। কখন কোন প্রান্তে জমাট বারুদে আগুন ধরে কে বলতে পারে।যাদের নাম শুনলেই মনে হয় বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী, পশ্চিম ভারতের শিল্প-বাণিজ্যের টিকিটি যাদের হাতে ধরা বলে আমাদের ধারণা, নিউ ইয়র্ক বা লন্ডন জাতীয় শহরের টেলিফোন ডিরেক্টরি খুললে পাতার পর পাতা চলতেই থাকে যে ভারতীয় গোষ্ঠীর নাম, সেই পটেলদের হঠাৎ হল কী? গুজরাতের সাম্প্রতিক ঘটনার কথা প্রথম যার কাছ থেকে জানলাম, আমদাবাদের সেই বন্ধুর ফেসবুক বার্তাটা বেশ মনে আছে: ‘শিক্ষা বা চাকরি, দুটি শব্দের কোনওটার সঙ্গেই যাদের মেলানো যায় না, সেই দুটি ক্ষেত্রে সংরক্ষণের দাবি তুলে গোটা গুজরাত জুড়ে এরা কী করতে চাইছে?’

অস্মিতার ডাক। গুজরাতে পতিদার আন্দোলনের সমর্থনে ভোপালে জনসমাবেশ, ৩১ অগস্ট। ছবি: পিটিআই

অস্মিতার ডাক। গুজরাতে পতিদার আন্দোলনের সমর্থনে ভোপালে জনসমাবেশ, ৩১ অগস্ট। ছবি: পিটিআই

ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:০৩
Share: Save:

যাদের নাম শুনলেই মনে হয় বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী, পশ্চিম ভারতের শিল্প-বাণিজ্যের টিকিটি যাদের হাতে ধরা বলে আমাদের ধারণা, নিউ ইয়র্ক বা লন্ডন জাতীয় শহরের টেলিফোন ডিরেক্টরি খুললে পাতার পর পাতা চলতেই থাকে যে ভারতীয় গোষ্ঠীর নাম, সেই পটেলদের হঠাৎ হল কী? গুজরাতের সাম্প্রতিক ঘটনার কথা প্রথম যার কাছ থেকে জানলাম, আমদাবাদের সেই বন্ধুর ফেসবুক বার্তাটা বেশ মনে আছে: ‘শিক্ষা বা চাকরি, দুটি শব্দের কোনওটার সঙ্গেই যাদের মেলানো যায় না, সেই দুটি ক্ষেত্রে সংরক্ষণের দাবি তুলে গোটা গুজরাত জুড়ে এরা কী করতে চাইছে?’
আন্দোলনের রূপ, তার আপাত অসঙ্গতি, এর পিছনে কংগ্রেস আছে না কি আরএসএস, সংরক্ষণের দাবি তুলে দেশটাকেই আরও পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি না, এই সব নিয়ে চুলচেরা আলোচনা হচ্ছে, আরও হবে। এগুলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপসর্গ মাত্র। দৃষ্টিটা এতেই আটকে রাখলে মূল রোগটা আমরা দেখতে পাব না। রোগ বুঝতে হলে প্রশ্নগুলো বড় করতে হবে, কেবল গুজরাতের কথা ভাবলেও চলবে না। গুজরাতের পটেল, রাজস্থানের গুজ্জর, হরিয়ানার জাঠ, মহারাষ্ট্রের মরাঠা: তথাকথিত উচ্চবর্ণ শ্রেণিগুলির মধ্যে এই অসন্তোষ দানা বাঁধার প্রবণতার কারণ কী, বোঝাটা এইখান থেকেই শুরু হতে পারে।
এ দেশের একটি রাজ্যে গত এক দশকে ৬০,০০০ ছোট শিল্প বন্ধ হয়েছে। দশ বছরে চাকরি বৃদ্ধির হার শূন্য। কৃষিক্ষেত্রে দেশের মধ্যে আট নম্বর। ব্যাঙ্কিং পরিষেবার প্রসারে ১৮ নম্বর। উচ্চশিক্ষায় ভর্তির হারে ১৩ নম্বর। স্কুল ও কলেজে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত জাতীয় গড়ের বেশ নীচে। গ্রাম ও শহর মিলিয়ে দারিদ্র সূচকে নীচের দিক থেকে নয় নম্বর। শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরির ক্ষেত্রে একেবারে তলানিতে। নারী-পুরুষ অনুপাতে দেশের মধ্যে ২৪ নম্বর।— কোনও কুইজ-এ যদি এই ‘হিন্ট’গুলো দিয়ে রাজ্যের নামটি জানতে চাওয়া হয়, কারও মুখে কি শোনা যাবে ‘গুজরাত’? মনে হয় না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন রিপোর্ট ও বিশ্লেষণে এই ছবিটাই উঠে আসছে, এমনকী গুজরাত সরকারের নিজের প্রকাশিত রিপোর্টেও। পরিসংখ্যান জিনিসটা একটু গোলমেলে, নিজের মতামত অনুযায়ী তাকে অনেকটাই ঘষেমেজে উপস্থাপিত করা যায়। তাই পক্ষ বা বিপক্ষ কোনও দিকের পরিসংখ্যানকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করাটা মুশকিল। কিন্তু এর মাঝামাঝি কোথাও তাকালেও একটা ছবি স্পষ্ট হয়ে যায়: গুজরাতের অবস্থা খানিকটা আমাদের হ্যারিসন রোডের ব্যান্ডপার্টিগুলোর মতো, ঝলমলে পোশাক, পেট্রোম্যাক্সের আলো, বাজনার জগঝম্পের নীচে জমাটঅন্ধকার ছায়া। এই কানাগলিতেই পথ হারিয়েছেন পটেলরাও, যাঁরা গুজরাতের অর্থনীতির প্রগতি বা মন্দগতি, দুটোর সঙ্গেই অঙ্গাঙ্গি ভাবে যুক্ত।

একটা সতর্কীকরণ। ঘটনার গতিতে যাঁরা খুশি হয়ে উঠছেন এই ভেবে যে, ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর ফানুস এই বার তবে গেল ফুটো হয়ে— তাঁরা বোধহয় সমস্যাটির অতিসরলীকরণ করে ফেলছেন। প্রচারের দুন্দুভি সরিয়ে রেখে যদি ধরেও নিই যে গুজরাত ভালয় মন্দয় মিশিয়ে গড়পড়তা একটি রাজ্য, তা হলেও এটা মনে করে নেওয়া ভাল যে সমস্যাটা গুজরাতের একার নয়। গোটা দেশ এই একই সংকটের বারুদস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে।

ভারত এখন পুরনো অর্থনীতি থেকে নতুন অর্থনীতিতে উত্তরণের সন্ধিক্ষণে। বিশ্বের অনেক দেশই তাই। সন্ধিক্ষণের নিজস্ব অনেক সমস্যা আছেই। তবে ভারতের ক্ষেত্রে আছে একটা অতিরিক্ত সমস্যা: তার জনসংখ্যার গঠন। অন্য অনেক দেশেই গড় বয়স বেড়ে চলেছে, এ দিকে ভারতের ৫০ শতাংশ মানুষ ২৫ বছরের নীচে, এবং ৬৫ শতাংশ ৩৫ বছরের নীচে। ২০২০ সালে দেশের গড় বয়স দাঁড়াবে ২৯ বছর। অন্য দিকে গ্রামীণ অর্থনীতিতে একটা বড় চ্যালেঞ্জ, কৃষি ক্রমশ অলাভজনক হয়ে উঠছে, কিন্তু কৃষির সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা খুব একটা কমছে না। আজও প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ কৃষি থেকে জীবন চালান, কিন্তু জাতীয় উৎপাদনে কৃষির অবদান কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে, যা ১৯৯১ সালেও ছিল ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ কৃষির সঙ্গে যুক্ত মানুষ উত্তরোত্তর গরিব হচ্ছেন। পটেল বা পতিদার শব্দটার অর্থই হল জমির মালিক। এক কালে যাঁরা কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে সম্ভ্রান্ত জায়গায় ছিলেন, তাঁদের প্রতাপ এখন দ্রুত কমতির দিকে। একই কথা হয়তো গুজ্জর বা জাঠদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পটেলরা বাণিজ্য বা ট্রেডিং-ও নিয়ন্ত্রণ করেছেন স্বাধীনতার পর কয়েক দশক, কৃষিপণ্যে, বস্ত্রশিল্পে, হিরা-জহরতে। কিন্তু অর্থনীতির উদারীকরণ আর বিশ্বায়নের পরে গত পনেরো-কুড়ি বছরে পরিস্থিতি অনেক পাল্টে গিয়েছে। আগের প্রজন্মের পেশা বা দক্ষতা এই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে এঁটে উঠতে পারছে না। নতুন অর্থনীতির গতিপথ বেশ কিছু কাল ধরেই হয়ে দাঁড়িয়েছে মূলত পরিষেবা-ভিত্তিক (পর্যটন, স্বাস্থ্য, টেলিকমিউনিকেশন ইত্যাদি) আর মেধাভিত্তিক (তথ্য-প্রযুক্তি ইত্যাদি)।

তাই গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত প্রচুর মানুষ, বিশেষত তরুণ প্রজন্ম, চলে আসছে শহরে, জীবিকার সন্ধানে। এই তরুণতরুণীদের চোখে স্বপ্ন, যে স্বপ্নকে উদার অর্থনীতির পরিবেশ প্রতিনিয়ত উশকে দিচ্ছে। জনসংখ্যার গড় বয়স কমে যাবার কারণে প্রতি বছর প্রায় দেড় কোটি তরুণতরুণী এসে পড়ছেন কর্মক্ষেত্রে। অথচ নতুন ধরনের জীবিকার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মতো স্কিল বা দক্ষতা তাঁদের নেই। স্কুল বা কলেজের শিক্ষা তাঁদের সেটা দিতে পারছে না। এটা আজ আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে দেশে সাধারণ স্নাতকদের মাত্র ১০ শতাংশই চাকরি করার উপযুক্ত, ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতকদের ক্ষেত্রে সেটা ১৮ শতাংশ। তার উপর আছে আরও একটা সমস্যা। মেধাভিত্তিক চাকরি, অর্থাৎ হোয়াইট-কলার কাজে বৃদ্ধির হার প্রায় শূন্য। বড় শিল্প কিছু কিছু হচ্ছে গুজরাতের মতো রাজ্যে, কিন্তু তা এত বেশি প্রযুক্তিনির্ভর যে কর্মসংস্থান সেই অনুপাতে নগণ্য।

কর্মক্ষেত্রে শ্রমনির্ভর বা হাতে-কলমে কাজের চাহিদা বাড়ছে, একেই আমরা ব্লু-কলার কাজ বলি। আজ দেশের অধিকাংশ শিল্প শ্রমনির্ভর কর্মীর অভাবে থমকে দাঁড়িয়ে। কিন্তু লক্ষণীয় যে, কর্মীদের ট্রেনিং-এর ব্যাপারে সংস্থাগুলির তীব্র অনীহা, কারণ ট্রেনিং-এ এক জন আনকোরা তরুণকে নিজের খরচে দক্ষ করে ফেলার পর অন্য কেউ তাঁকে অনেক বেশি মাইনে দিয়ে নিয়ে চলে যায়— দক্ষ শ্রমিকের এতই অভাব। ফলে এই তরুণ সমাজকে দক্ষ করে তোলার পুরো দায়ভার গিয়ে পড়ছে সরকারের উপর।

কৃষিক্ষেত্রের রক্তাল্পতা, অর্থনীতির গতিপথ ক্রমেই শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রবাহিত হওয়া, এবং চাকরিমুখী তরুণ প্রজন্মের বিপুল চাপ— এই ত্রিমুখী জাঁতাকলে ছটফট করছে পুরনো ভারত। নতুন ভারতে বসবাসকারীরা সব সময় এর আঁচ পায় না। নীতি আয়োগের অধিকর্তা বলছেন, কৃষি ছেড়ে শিল্পের অভিমুখে বইতে হবে তরুণদের। বলা সহজ, কিন্তু সামাজিক চালচিত্র যে পুরো উল্টো গতিতে বইতে চায়! যে ছেলেটি জন্মেছে, বেড়ে উঠেছে চাষির ঘরে, গ্রামের জলহাওয়ায়, তার পক্ষে হঠাৎ ছয় মাসের একটা ট্রেনিং কোর্স করে ওয়েল্ডার বা গ্যাস-কাটার হয়ে দূরের কোনও অচেনা শহরে গিয়ে শ্রমিক জীবনে ঝাঁপ দেওয়া খাতায় কলমে সহজ হতে পারে, বাস্তবে নয়। যে গোষ্ঠী আগে যত সম্ভ্রান্ত বা বিত্তবান ছিল, তাদের অস্মিতায় ততই ঘা লাগে, তাদের ছেলেকে শ্রমিক করে তুলতে ততই বাধা দেয় বাড়ির পরিবেশ। ন্যাশনাল স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন থেকে গুজরাত সম্পর্কে যে রিপোর্ট, তাতে দেখছি, যে সব ক্ষেত্রে গুজরাতে শিল্পে বড় বিনিয়োগ হয়েছে, তাতেও স্থানীয় তরুণদের জীবিকার বিশেষ ব্যবস্থা হয়নি! জাহাজ-ভিত্তিক শিল্পে অধিকাংশ কাজ করছে তামিলনাড়ু থেকে আসা শ্রমিক, নির্মাণ শিল্পে বিহার আর উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা। গুজরাতের সমস্যাটা আরও একটু বেড়ে যাওয়ার কারণ এই রাজ্যকে শিল্পবান্ধব করে তোলার লক্ষ্যে শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি নিচুতে বেঁধে রাখা। স্থানীয় তরুণরা তাতে শ্রমনির্ভর কাজে আরওই নিরুৎসাহ হয়েছেন।

সরকার সম্প্রতি চিন্তাভাবনা শুরু করেছে এই স্কিল তৈরির ব্যাপারে। কিন্তু সরকারি চিন্তাতেও স্কিল-কে তার সামাজিক গাড্ডা থেকে তুলে আনার কোনও দিকনির্দেশ নেই। আজ ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন রাজ্যের কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মাথাপিছু ফি নির্ধারণ করে ১২০-১৪০ টাকা প্রতি ঘণ্টা হারে। কিন্তু সেই ইঞ্জিনিয়াররা যে সব যন্ত্রপাতিনির্ভর শিল্প ‘পরিচালনা’ করবে, সেই একই যন্ত্রপাতি ‘চালানো’র জন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরির যে প্রশিক্ষণ, তার নির্ধারিত মূল্যমান কিন্তু ৩০-৪০ টাকা প্রতি ঘণ্টা। অর্থাৎ সরকারি নীতিই দেখিয়ে দেয় যে, ইঞ্জিনিয়ারদের তুলনায় স্কিল-কর্মীদের শ্রমদক্ষতা গড়ে তোলার পরিকাঠামো, যন্ত্রপাতির মান ও প্রশিক্ষকের মান হওয়া উচিত বেশ কয়েক দাগ নিচুতে। সরকারি নীতিই যদি এই দৃষ্টিভঙ্গিতে চলে, তা হলে শ্রমনির্ভর পেশা কখনওই সামাজিক সম্মান অর্জন করতে পারবে বলে মনে হয় না।

শ্রমনির্ভর দক্ষতার ক্ষেত্রে পিছিয়ে-পড়া সমাজে সমস্যা একটু কম। তারা জানে, বাঁচতে গেলে ‘করে খেতে হবে’। কিন্তু এত কালের এগিয়ে থাকা গোষ্ঠীরা পড়েছে মহা ত্রিশঙ্কুতে। কৃষি ধুঁকছে, সনাতন বাণিজ্যে মন্দা, নতুন শিল্পক্ষেত্রে ঢোকার দক্ষতা নেই। তরুণ প্রজন্ম শহরমুখী, তার বুকভরা উচ্চাকাঙ্ক্ষা, কিন্তু শহরে চাকরি নেই। পড়াশোনা করলেই যে চাকরি পাওয়া যাবে না, এই সাবধানবাণী তাদের বেড়ে ওঠার সময় কেউ শোনায়নি। শ্রমনির্ভর কাজ করতে সম্মানে লাগছে। সরকারি চাকরি ছাড়া গতি নেই, এ দিকে সেখানে অধিকাংশই সংরক্ষণের আওতায়।

ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে হতে আজ গুজরাতে এই বিস্ফোরণ। সেই গুজরাত, যেখানে নারী-পুরুষ অনুপাতের চেহারা হতশ্রী, ফলে উপযুক্ত পাত্রী পাওয়ার জন্য যুব-সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাল চাকরির জন্য রীতিমতো হুড়োহু়ড়ি।

এই ধরনের আন্দোলন যে আপাত-সহজ সমাধান খোঁজে সেটাই আমরা আবার শুনছি: শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ চাই। দাবিটা অন্যায় বা অসার বলেই দায় মিটবে না। এই দাবি কোথা থেকে আসছে সেটা ভাল করে বোঝা দরকার। একটা সামাজিক মন্থনের মুখোমুখি আমাদের দেশ। অর্থনীতি ও জীবিকার প্রকারের গতি পরিবর্তনের ফলে বিপুল সংখ্যক তরুণের স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের অভিঘাতে প্রতি দিন ঘটে চলেছে সেই মন্থন। কখন কোন প্রান্তে সেই জমাট বারুদে আগুন ধরে কে বলতে পারে।

ইনথিঙ্ক গ্রুপের অধিকর্তা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE